প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
খেলাধুলায় অংশ নিতে মরিয়া স্থানীয় বিভিন্ন ইভেন্টের খেলোয়াড়রা
অনেকদিন ধরেই চাঁদপুর স্টেডিয়ামে বড় ধরনের কোনো টুর্নামেন্টের কিংবা লীগের আয়োজন চোখে পড়ছে না। বর্তমানে খেলাধুলায় অংশ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় বিভিন্ন ইভেন্টের খেলোয়াড়রা। তারা মনে করছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থা কিংবা ক্রীড়া সংস্থার অন্তর্ভুক্ত ক্লাবগুলো যদি ক্রিকেট, ফুটবল কিংবা ভলিবল ও বাস্কেটবল টুর্নামেন্ট ও লীগের আয়োজন করতো তাহলে আমরা খেলাধুলায় অংশ নিতে পারতাম।
করোনার কারণে জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে গত ২ বছরে তেমন কোনো টুর্নামেন্ট বা লীগেরও আয়োজন করা হয়নি। আবার এর মধ্যে গত ক’বছর আগে অনুষ্ঠিত বেশ ক’টি ক্রিকেট লীগের ও টুর্নামেন্টের ফাইনাল সম্পন্ন করতে পারেননি আয়োজকরা। কিন্তু এই বছরই চাঁদপুর স্টেডিয়ামে স্থানীয় একটি একাডেমী ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিতে দল গঠন করে সেই লীগের ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন করেছে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরেই জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে উদীয়মান ফুটবলার বা ক্রিকেটারসহ অন্য ক্রীড়া ভিত্তিক ইভেন্টগুলোর প্রশিক্ষণের তেমন ব্যবস্থা নেই বললেই চলে।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন কিন্তু রাজধানীতে ফুটবল খেলার আয়োজন করছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানেও করোনার পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হওয়ার পর খেলাধুলার আয়োজন চলছে বলে জানা গেছে। কিন্তু চাঁদপুরে খেলাধুলার ব্যাপারে তেমন আয়োজন কিংবা প্রশিক্ষণের বিষয়টি নজরে পড়ছে না। চাঁদপুর জেলা স্টেডিয়ামে দীর্ঘদিন খেলাধুলা না হওয়ার কারণে মাঠের ঘাসগুলোও বড় হয়ে গেছে। প্রায় সময় দেখা যায়, গবাদি পশুর জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে এসে কৃষকরা স্টেডিয়াম মাঠের ভেতরের ঘাস কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় ও সাবেক বেশ ক’জন খেলোয়াড়ের সাথে আলাপকালে তারা এ প্রতিবেদককে জানায়, দীর্ঘদিন ধরে খেলাধুলা নেই চাঁদপুরের মাঠে। বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল ও জাতীয় ফুটবল দলে জেলা চাঁদপুরের কয়েকজন খেলোয়াড় খেলছেন। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, এরা কিন্তু কেউই চাঁদপুর সদরের নয়। যে ক’জনই দেশের হয়ে ক্রিকেট ও ফুটবল খেলছেন তাদের প্রত্যেকেরই বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলায়। সম্প্রতি চাঁদপুর সদরের অনূর্ধ্ব-১৭ বালিকা দলটি বিভাগীয় পর্যায়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেচ্ছা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবল খেলায় অংশ নেয়। সেই খেলায় ৩-০ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে দলটি। জেলা পর্যায় থেকে যদি অন্য কোনো জেলায় কোনো খেলায় চাঁদপুর অংশগ্রহণ করার প্রস্তুতি নেয় তখন স্বল্প সময়ের জন্য বিভিন্ন স্থানের খেলোয়াড়দেরকে নিয়ে নামমাত্র কয়েকদিন অনুশীলনের ব্যবস্থা করা হয়। যদিও জেলা দল খেলাতে অংশ নেয়, এরপর আর অনুশীলনের কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না।
এ ব্যাপারে রোববার রাতে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবুর সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রজ্ঞাপন না আসা পর্যন্ত এবং মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত চাঁদপুর স্টেডিয়ামে কোনো কিছুরই আয়োজন করা সম্ভব নয়। আমরা সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ীই সকল কিছু করে থাকি। তবে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হয়তো খেলাধুলার ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন হতে পারে। আর যারা স্টেডিয়ামে খেলতে চায় কিংবা অনুশীলন করতে চায় তাদেরকে করোনা পরীক্ষার কাগজপত্র দেখাতে হবে।