প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২১, ০০:০০
জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন ফরিদগঞ্জের ফুটবলার তারিকুল ইসলামের
২০১৭ সালে গ্রীষ্মকালীন আন্তঃস্কুল-মাদ্রাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবলে জেলা চ্যাম্পিয়ন হয়ে আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় কুমিল্লা গিয়েছিলো। কুমিল্লা অঞ্চলে স্বাগতিক জেলা স্কুলকে তাদের মাঠে হারিয়ে হয়েছিলো আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়ন। সে দলের ৭ নম্বর জার্সি পরা একজন খেলোয়াড় নজর কেড়েছিলো সবার। সেই ছেলেটির নাম তারিকুল ইসলাম। খেলার মাঠে যে সবার কাছে 'তরিকুল' নামে পরিচিত। ফরিদগঞ্জ এআর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় সে বছর তরিকুলদের রাজকীয় সংবর্ধনা দিয়েছিলো। খেলোয়াড়দের গলায় ফুলের মালা দিয়ে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে পুরো উপজেলায় করেছিলো আনন্দ শোভাযাত্রা।
|আরো খবর
সেই দলের বহু খেলোয়াড় ঝরে গেলেও ঝরে যায়নি তরিকুল। নিজের খেলা ধরে রেখেছেন, মান রেখেছেন ৭ নম্বর জার্সির। তাইতো এ বছর বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে ছেলেদের ইভেন্টে উপজেলা চ্যাম্পিয়ন হয়ে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে স্বাগতিক চাঁদপুর পৌরসভাকে হারিয়ে নিজের দলকে করেছেন জেলা চ্যাম্পিয়ন। ২১ আগস্ট বিভাগীয় প্রতিযোগিতায় খাগড়াছড়ি দলটি যখন ২-০ গোলে এগিয়ে, তখন চাপ সামলে নিয়ে ম্যাচের ৫০ মিনিটে তরিকুলই প্রথম গোল এনে দিয়েছিলো দলকে। অসাধারণ সেই গোলটি দেখে শুধু চাঁদপুরের প্যাভিলিয়নই আনন্দে মাতেনি, বিস্মিত হয়েছে প্রতিপক্ষ খাগড়াছড়ির সমর্থকরাও। যদিও ২-২ গোলে সমতার ম্যাচে টাইব্রেকারে বিদায় নিতে হয়েছে চাঁদপুর জেলা দলকে।
জীবনের পথ চলায় প্রায় সবদিকেই চ্যাম্পিয়ন তরিকুল। পড়াশোনায় এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়ার মতো করেই এই ফুটবলার সময়ের পরিবর্তনে নিজের ফুটবল সামর্থ্যরে প্রমাণ রাখছেন বারবার।
চলতি বছরে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্টে ফরিদগঞ্জ দলের হয়ে গোল করেছেন ৫টি। ফরিদগঞ্জ পৌরসভা দল, ফরিদগঞ্জ উপজেলা দল, জেলা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কুমিল্লায় চাঁদপুর জেলা দলের প্রতিনিধিত্ব করা সব খানেই স্ট্রাইক প্রান্তের দিকটা বেশ ভালোই সামলেছেন তিনি। তার দুর্দান্ত গোলেই চাঁদপুর স্টেডিয়ামে স্বাগতিক চাঁদপুর পৌরসভার বিপক্ষে জেলা চ্যাম্পিয়ন হয় ফরিদগঞ্জ উপজেলা দল।
খেলার ক্যারিয়ারে স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠক জিয়াউর রহমান জিয়ার সহযোগিতা ও ফরিদগঞ্জ ফুটবল একাডেমীর তত্ত্বাবধানে ফুটবলের ব্যাকরণিক বিষয়ে খুঁটিনাটি শিখে নিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। ফুটবলে প্রিয় খেলোয়াড় মেসি হলেও মাঠের খেলায় কৌশলগত দিকে রোনালদোকেই ফলো করেন তিনি। সবসময় গায়ে জড়ান ৭ নম্বর জার্সি। নিজ দেশের ফুটবলার জামাল ভূঁইয়াও নিজের প্রিয় খেলোয়াড়দের একজন। ফরিদগঞ্জের মাটি থেকে জাতীয় ফুটবল দলের প্রতিনিধিত্ব করা রেজাউল, রাফির উত্তরসূরি হতে চান তারিকুলও। হাঁটিহাঁটি পা পা করে ক্রীড়াঙ্গনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছেন, স্বপ্ন দেখেন একদিন জাতীয় দলের হয়ে নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। এই স্বপ্নবাজ তরুণ মুখোমুখি হয়েছেন চাঁদপুর কণ্ঠের, জানিয়েছেন তার খেলোয়াড় জীবনের ইতিবৃত্ত।
চাঁদপুর কণ্ঠ : কেমন আছেন ?
তারিকুল ইসলাম : আলহামদুলিল্লাহ ভালোই আছি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে জেলা চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে খেললেন। অনুভূতি কেমন?
তারিকুল ইসলাম : জেলা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি এটাই আমার জন্য অনেক বড় একটা প্রাপ্তি। তার ওপর বিভাগীয় পর্যায়ে খেলা এটা আরো বড় একটা পাওয়া আমার জীবনে। অনুভূতিটা আসলে ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।
চাঁদপুর কণ্ঠ : টুর্নামেন্টে জেলা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতি কেমন ছিলো?
তারিকুল ইসলাম : আসলে আমরা ভাবতে পারিনি যে, আমরা জেলা চ্যাম্পিয়ন হতে পারবো। কিন্তু আমাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ছিলো যে, আমরা ভালো খেলবো। আমরা প্রতিটি ম্যাচেই পরিকল্পনা করেছি, তাই চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি। জেলা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতিটা আসলেই অসাধারণ।
চাঁদপুর কণ্ঠ : জেলার বাইরে ফুটবলে সর্বোচ্চ কতদূর গিয়েছেন?
তারিকুল ইসলাম : যখন হাই স্কুলে পড়ি, ফরিদগঞ্জ এআর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গ্রীষ্মকালীন টুর্নামেন্টে প্রথমে উপজেলা আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়ন, পরে উপজেলা চ্যাম্পিয়ন, পরবর্তীতে জেলা চ্যাম্পিয়ন হই। সেই বছরই চাঁদপুর জেলার প্রতিনিধি দল হিসেবে বৃহত্তর কুমিল্লা অঞ্চল প্রতিযোগিতায় কুমিল্লা জেলা স্কুলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। সেই টুর্নামেন্টে আমরা বাংলাদেশের সেরা ৪ দলের এক দল হয়েছিলাম। অর্থাৎ জাতীয় পর্যায়ে সেমি-ফাইনালে গিয়েছিলাম আমরা। আর এ বছর বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে জেলা চ্যাম্পিয়ন হয়ে চট্টগ্রাম বিভাগে খেলতে যাই। জেলার বাইরে যাওয়া দুটি টুর্নামেন্টই আমার জন্য সুখ-স্মৃতি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : ফুটবলের যাত্রা কবে থেকে শুরু?
তারিকুল ইসলাম : আমার ফুটবলের যাত্রা শুরু পঞ্চম শ্রেণী থেকে। তখন ফরিদগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়তাম। সে সময় স্কুল টুর্নামেন্টে স্কুল দলে আমাকে নেয়া হয়েছিলো। সেই থেকেই আমার ফুটবলের যাত্রা শুরু হয়। ছোট বয়সে তখনও সবাই প্রশংসা করেছিলেন। বলেছিলেন ধারাবাহিকতা ধরে রাখলে একদিন ভালো কিছু করতে পারবো।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আজকের তারিকুল ফুটবলে কীভাবে পরিচিতি পায়? ফুটবলে আপনার উত্থান কোথা থেকে?
তারিকুল ইসলাম : প্রাইমারি স্কুল শেষে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে যখন ফরিদগঞ্জ এআর পাইলট স্কুলে ভর্তি হই, তখন বড় একটা মাঠে খেলার সুযোগ পাই। আমি যখন হাই স্কুলে প্রথম ভর্তি হই, সে সময় এআর পাইলট মাঠে ফরিদগঞ্জ প্রিমিয়ার লীগ (এফপিএল) নামে বড় পরিসরে একটা ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। সে টুর্নামেন্টে আমাকে ‘দুরন্ত এইচসিএন’ দলে নেয়া হয়। ওই টুর্নামেন্টে দলের হয়ে আমি বেশ ভালোই খেলেছিলাম। সে টুর্নামেন্টে আমাদের দল ফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিল এবং আমরা চ্যাম্পিয়ন হই। একজন খুদে ফুটবলার হয়েও ওই টুর্নামেন্টে আমি ম্যান অব দ্যা টুর্নামেন্ট নির্বাচিত হই। সে থেকেই পরিচিত হয়ে উঠা।
চাঁদপুর কণ্ঠ : ফুটবলার তারিকুল হওয়ার পেছনে কাদের অনুপ্রেরণা ও অবদান বেশি?
তারিকুল ইসলাম : অবদান অনেকেরই আছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আমার বাবা। যিনি সবসময় আমার ফুটবল খেলা নিয়ে অনুপ্রেরণা দেন। বাবা সাপোর্ট না দিলে আমার ফুটবল খেলাটাই হয়তো হতো না। তারপর বিশেষ করে অবদান আছে ফরিদগঞ্জ স্পোর্টস ক্লাবের জিয়াউর রহমান জিয়া ভাইয়ের। তাঁর অবদান আমার কখনোই ভোলার নয়। তারপর ক্লাবের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সজিব ভাই, হাই স্কুল জীবনের শিক্ষক মাহবুবুল আলম সোহাগ স্যার, রাসেল হাসান স্যার, আরো মাঠের বড় ভাইরা যারা আছেন, তাদের সবার সাপোর্টেই হয়তো আমার তারিকুল হয়ে ওঠা।
চাঁদপুর কণ্ঠ : স্কুল জীবনে পড়ালেখার পাশাপাশি খেলতে কোন্ কোন্ শিক্ষক বেশি অনুপ্রাণিত করতেন?
তারিকুল ইসলাম : স্কুল জীবনে পড়ালেখার পাশাপাশি খেলতে বেশি অনুপ্রেরণা দিতেন রাসেল স্যার এবং সোহাগ স্যার। তাঁরা সবসময় আমার ফুটবল খেলা নিয়ে পজিটিভ বার্তা দিতেন। বলতেন পড়ালেখা ঠিক রেখে খেলে যা মন দিয়ে। একদিন তুই অনেক দূর এগিয়ে যাবি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : এ পর্যন্ত ফুটবলের কতটি ম্যাচ খেলেছেন?
তারিকুল ইসলাম : এ পর্যন্ত তো অসংখ্য ম্যাচ খেলেছি। গাণিতিক সমীকরণে হিসাব রাখিনি, তবে সংখ্যাটা তিন থেকে চারশোর মত হবে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : ফুটবলের এ যাত্রায় পরিবারের সাপোর্ট কেমন পেয়েছেন?
তারিকুল ইসলাম : আমার ফুটবল খেলায় পরিবারের সাপোর্টটা ছিলো অতুলনীয়। আমি অনেক ভাগ্যবান, আমি এমন একটা পরিবার পেয়েছি, যেখানে সবাই আমাকে সবসময় সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে। বাবা, মা এবং বড় ভাই সবাই অনেক সাপোর্ট দিয়েছেন আমাকে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : খারাপ সময়ে কারা পাশে ছিলেন?
তারিকুল ইসলাম : এই ছোট্ট জীবনে এখনো অতোটা খারাপ সময়ে পড়তে হয়নি। কিন্তু তাও ছোট ছোট কিছু খারাপ সময়ে সবাই-ই মোটামুটি পাশে থাকেন। এর মধ্যে বিশেষ করে পাশে থাকেন জিয়াউর রহমান জিয়া ভাই। তিনি সবসময় আমার পাশে থাকেন। কোনো ম্যাচ খারাপ খেললে সান্ত্বনা দেন। বলেন, জাতীয় আন্তর্জাতিক তারকাদেরও খারাপ দিন আসে। ভুল থেকে শিক্ষা নাও। সামনে আরো ভালো করতে হবে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : কখনো বাধার সম্মুখীন হয়েছেন?
তারিকুল ইসলাম : নাহ! ফুটবলে তেমন বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি আমাকে। আল্লাহ ভালো রেখেছেন। আর বাকি সবার উৎসাহতো ছিলোই।
চাঁদপুর কণ্ঠ : ফুটবলে স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে কোন্ খেলোয়াড়দের অনুসরণ করেন?
তারিকুল ইসলাম : ফুটবলে স্থানীয় খেলোয়াড় হিসেবে ফলো করি আনোয়ার ভাইকে। যিনি এলাকায় ‘টাইগার আনোয়ার’ নামে পরিচিত। জাতীয় দল হিসেবে ফলো করি জামাল ভূঁইয়া এবং আন্তর্জাতিকভাবে ফলো করি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে। তবে আমার প্রিয় খেলোয়াড় লিওনেল মেসি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : দেশের হয়ে জাতীয় দলে খেলতে চান?
তারিকুল ইসলাম : হুম। স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশের হয়ে খেলার। চেষ্টা করি সব সময় ভালো খেলার। সুযোগ আসলে অবশ্য কাজে লাগানোর চেষ্টা করবো। তবে লাল সবুজের জার্সি গায়ে জড়িয়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন অনেক আগে থেকেই।
চাঁদপুর কণ্ঠ : ফুটবল মাঠে প্রিয় বন্ধু কে? যাকে সতীর্থ হিসেবে পেলে খেলায় ছন্দ ফিরে পান?
তারিকুল ইসলাম : ফুটবল মাঠে আমার প্রিয় বন্ধু হলো সাইমুন। আমি সতীর্থ হিসেবে ওকে পেলে খেলাতে অনেক ছন্দ ফিরে পাই। ওর সাথে আমার খেলার টাইমিংটা ভালো মিলে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : ফুটবলের সবচেয়ে বাজে স্মৃতি কোন্টি?
তারিকুল ইসলাম : ফুটবলের সবচেয়ে বাজে স্মৃতি হলো কুমিল্লাতে গিয়ে সেমি-ফাইনালে হারা। ঐ খেলাটাতে আমরা অনেক দূর পর্যন্ত যাই এবং ঐ ম্যাচটা জিতলে আমরা ফাইনাল খেলতাম, আর ফাইনাল জিতলে আমরা সবাই ঢাকায় খেলার সুযোগ পেতাম। তাই ফুটবলে এটাই আমার বাজে স্মৃতি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : ফুটবল ছাড়া ক্রিকেটেও আপনি পারদর্শী। কোন্টি বেশি প্রিয়? এবং সেটি কেন?
তারিকুল ইসলাম : আমার কাছে ক্রিকেটের চেয়ে ফুটবল বেশি প্রিয়। কারণ ক্রিকেট হলো আমার কাছে ভালো লাগা, আর ফুটবলটা হলো আবেগ, যা আমার জীবনের সাথে মিশে আছে। ফুটবলের প্রতি আমার ছোট বেলা থেকেই অনেক আবেগ কাজ করে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : প্রায়ই আপনারা দুই ভাই এক সাথে খেলেন। তখন কেমন অনুভূত হয়? আপনার খেলায় বড় ভাই ঈর্ষান্বিত হন কি?
তারিকুল ইসলাম : আসলে এই অনুভূতিটা বলে বুঝানোর মতো নয়। সবার ভাগ্যে এমনটা হয় না। তাই আমি আমাকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। নাহ, আমার খেলায় আমার বড় ভাই কখনোই ঈর্ষান্বিত হন না। আমরা খেলার সময় একে অন্যকে অনেক সাপোর্ট করার চেষ্টা করি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার উপজেলায় অবকাঠামোগত কোন্ দিকটির উন্নয়ন ঘটালে আগামীতে আরো ভালো খেলোয়াড় গড়ে উঠবে বলে মনে করেন?
তারিকুল ইসলাম : আমার উপজেলায় ভালো খেলোয়াড় তৈরিতে উন্নতি করতে হলে প্রথমেই আমাদের একটি ভালো মাঠ প্রয়োজন। তারপর ভালো একজন পরিচালক দিয়ে ভালো ভালো ফুটবলার বাছাই করতে হবে এবং এই ফুটবলারদেরকে নিয়ে কিছুদিন ভালো কোচের মাধ্যমে ট্রেনিং দেওয়ালে আমার মনে হয় আমার উপজেলায় আরো ভালো খেলোয়াড় বেরিয়ে আসবে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার ফুটবল ক্যারিয়ারে আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা থাকবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
তারিকুল ইসলাম : আপনাকেও ধন্যবাদ।