প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৫৩
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ পরিকল্পনার প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, "আমরা সবাই মিলে এমন একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলবো, যা হবে সবার জন্য ফেয়ার, ইনক্লুসিভ, বাসযোগ্য এবং উপভোগ্য।" শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আগারগাঁও এলজিআরডি মিলনায়তনে প্রতিবন্ধী নাগরিক শ্রেণির সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
|আরো খবর
তারেক রহমান বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে বলেন, "আপনাদের প্রতিবন্ধকতা আমাদের সবার প্রতিবন্ধকতা। আপনাদের পেছনে রেখে আমরা কখনও এগিয়ে যেতে পারি না, আর এগোতে চাইও না।" তিনি আরও বলেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য একটি মর্যাদাপূর্ণ, সক্ষম এবং সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তুলতে বিএনপি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিশেষ উদ্যোগের পরিকল্পনা
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি সরকার গঠন করলে জেলা পর্যায়ে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষায়িত স্কুল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করা হবে। এসব স্কুলে সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ, ব্রেইল এবং ইনক্লুসিভ এডুকেশনের আধুনিক পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। পাশাপাশি, কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে কর্মজীবনে প্রবেশের সুযোগ তৈরি এবং শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ ও প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি জানান, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জীবনের মানোন্নয়ন নিশ্চিত করতে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা, সামাজিক সক্ষমতা এবং মানবিক মর্যাদা নিশ্চিতের ভিত্তিতে ধীর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
স্বতন্ত্র অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার ঘোষণা
তারেক রহমান বলেন, "আমাদের চিন্তায় রয়েছে একটি স্বতন্ত্র অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা, যা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা পরিচালনার পাশাপাশি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কার্যক্রম সমন্বয় করবে।"
এছাড়া, প্রতিটি জেলা সদর হাসপাতালে বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা ইউনিট স্থাপন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে মোবাইল হেলথ ক্লিনিক চালু, সহায়ক উপকরণ তৈরির কারখানা স্থাপন এবং আমদানির ক্ষেত্রে কর মওকুফের পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, "দেশে কিছু বেসরকারি সংস্থা শারীরিক প্রতিবন্ধীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করে। তবে প্রশিক্ষণ শেষে চাকরির ব্যবস্থা করতে গিয়ে তারা হিমশিম খায়। এই সমস্যার সমাধানে বিএনপি উদ্যোগ গ্রহণ করবে।"
তারেক রহমানের বক্তব্যে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তোলার দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত হয়।