সোমবার, ০৬ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:২৮

অবশেষে ক্ষমতাচ্যুত হাসিনাকে নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলো ভারত

মো: জাকির হোসেন
অবশেষে ক্ষমতাচ্যুত হাসিনাকে নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলো ভারত
ছবি : প্রতীকী

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনার মধ্যেই শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ভারতের অবস্থান নিয়ে কৌতূহল ছিল তুঙ্গে। অবশেষে ভারত সরকার তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এক বিবৃতিতে জানান, বাংলাদেশ তাদের “ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী” এবং ভারত সবসময় বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং স্থিতিশীলতার পক্ষে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, “যে কোনো পরিবর্তনই বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হওয়া উচিত এবং ভারত সবসময় বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে কাজ করবে।”

বিশ্লেষকদের মতে, শেখ হাসিনা ও তার সরকার গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকায় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক একটি ঘনিষ্ঠ মাত্রায় পৌঁছেছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের ফলে ভারতের কৌশলগত অবস্থানে পরিবর্তন আসার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে, বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কীভাবে গড়ে ওঠে, তা নিয়ে দুই দেশের রাজনীতি পর্যবেক্ষকরা গভীর নজর রাখছেন। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি কীভাবে এগোয়, তা ভারতের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকনির্দেশক হতে পারে।

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারত কোনো পক্ষ না নিয়ে বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতি সম্মান জানিয়ে একটি নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখার চেষ্টা করছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষণ

ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে এই পরিবর্তন শুধু দুই দেশের জন্য নয়, গোটা অঞ্চলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতি এবং অর্থনৈতিক দিকগুলো এই পরিবর্তনের ফলে প্রভাবিত হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশের জনগণ এখন ভারত থেকে কী বার্তা প্রত্যাশা করে এবং তা কিভাবে বাস্তবায়িত হয়, সেটাই ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্কের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়