প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২২, ২০:৪৪
শাহরাস্তিতে মেম্বারের স্বাক্ষর জাল করে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
শাহরাস্তি উপজেলার সূচীপাড়া উত্তর ইউনিয়নে কাজ না করেই ২ ইউপি মেম্বারের স্বাক্ষর জাল করে বেনামে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
|আরো খবর
এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছেন ওই ইউনিয়নের এক সংরক্ষিত নারী মেম্বারসহ ২ মেম্বার।
এদিকে অভিযোগের কথা শুনে তড়িঘড়ি করে চেয়ারম্যান ওই প্রকল্পের কাজে হাত দিয়েছেন বলে দাবী অভিযোগকারীদের।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই ইউনিয়নে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ইউনিয়ন উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের আওতায় ৯ নং ওয়ার্ডের শোরসাক ফিশারী পুকুর পাড়ে গার্ড ওয়াল নির্মাণ কাজের জন্য ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষে যে কমিটি করা হয়েছে সেখানকার কেউ প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পর্কিত কিছুই জানেনা। উল্লেখিত প্রকল্পের কোনো প্রকার কাজ না করে বাস্তবায়ন কমিটির সকলের স্বাক্ষর জাল করে কমিটি জমা করে বেনামে প্রকল্প দেখিয়ে ইউনিয়ন কমিটির প্রত্যয়ন পত্র দেয়া হয়েছে। সরকারের উন্নয়ন কাজের অর্থ আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে এমনটি করা হয়েছে মর্মে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
সরেজমিনে সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ওই প্রকল্পের স্থান পরিদর্শনে গেলে দেখা যায়, শ্রমিকরা সেখানে কাজ করছে। এক পাশে ইট ও অন্য পাশে কাজের জন্য পিলার রাখা হয়েছে।
৯ নং ওয়ার্ড ইউপি মেম্বার মিরন হোসেন (শাহ মিরন) জানান, নির্বাচিত হবার পর থেকে চেয়ারম্যান আমাদের কোন প্রকল্প দেন নি। উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারি চেয়ারম্যান আমাদের নামে ভুয়া প্রকল্প কমিটি করে আমাকে সভাপতি ও সাবরিনা নুশরাত মেম্বারকে সেক্রেটারি করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট প্রকল্প কমিটি করেছে। যাতে প্রত্যেকের স্বাক্ষর জাল করে বিল উত্তোলনের জন্য দাখিল করেছেন। এ প্রকল্পে ৭/৮ মাস আগে গ্রামের লোকজন থেকে বাঁশ সংগ্রহ করে ৩ ট্রাক মাটি ফেলেছেন। এটা দেখিয়ে তিনি ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বিল তৈরি করেছেন। আমাদের অভিযোগের কথা শুনে তড়িঘড়ি করে গত ৪ ডিসেম্বর রাতে প্রকল্পের স্থানে পিলার এনেছেন এবং ৫ ডিসেম্বর কাজ শুরু করেছেন।
সংরক্ষিত নারী মেম্বার সাবরিনা নুশরাত জানান, চেয়ারম্যান আমার স্বাক্ষর নকল করে প্রত্যয়ন দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করার পরে তিনি তড়িঘড়ি করে কাজ শুরু করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা কামাল মজুমদার জানান, আমার ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক ব্যস্ততার কারনে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হতে দেরি হচ্ছে। এই প্রকল্পের কোন অর্থ উত্তোলন করা হয় নি। অভিযোগকারি মেম্বার ও মহিলা মেম্বার এই প্রকল্পের সভাপতি ও সেক্রেটারি নয়। কাজ সংক্রান্ত প্রত্যয়নে কারো স্বাক্ষর জাল করা হয় নি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমার সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে এসব প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে।