প্রকাশ : ২৯ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০
শাহরাস্তি উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে মাহবুব উল আলম হানিফ
বাংলাদেশের বড় সমস্যা বিএনপি-জামায়াত, তারা পাকিস্তানে চলে গেলে সবাই খুশি হবে
শাহরাস্তি উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, আওয়ামী লীগের কর্মী হওয়া গর্বের বিষয়। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। আপনারা ভেবে দেখুন, কী ছিলো বাংলাদেশ আর এখন কী হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। একসময় আমাদের মর্যাদা ছিলো না, আমরা ছিলাম ভিক্ষুকের জাতি, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। বিএনপি-জামায়াত অসত্য কথা বলে ক্ষমতায় আসতে চায়। তাদের স্বপ্ন কোনোদিন পূরণ হবে না। তাদের নেতা তারেক মুচলেকা দিয়ে চলে গেছে, এখন প্রধানমন্ত্রী হতে চায়।
|আরো খবর
তিনি বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন কোথায় নিয়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশকে ? আপনাদের আমলে উৎপাদন, বিদ্যুৎ, চিকিৎসায় বিপর্যয় ঘটেছে। শেখ হাসিনার হাত ধরে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে, উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন আর আমাদেরকে কেউ ভিক্ষুকের জাতি বলে না। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিশ্বে মন্দা সৃষ্টি হয়েছে, আমরা এ সমস্যা কাটিয়ে উঠবো। মির্জা ফখরুল ইসলাম বিভিন্ন সমাবেশে বলেছেন, রিজার্ভ শেষ হয়ে গেছে, দেশ শেষ হয়ে গেছে। দেশে ৩৯ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ রয়েছে। বর্তমানে আইএমএফের তথ্য অনুযায়ী রিজার্ভ রয়েছে ২৯ বিলিয়ন ডলার। বিএনপি-জামায়াত যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন দেশে সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ ছিলো। তখন দেশ শেষ হয় নি। এখন দেশে রপ্তানি আয় বেড়েছে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে।
তিনি বলেন, হাওয়া ভবনে কমিশন ছাড়া কোনো কাজ হয় নি। তারা দেশকে উগ্র-মৌলবাদী বানিয়েছে। তারেক রহমান সন্ত্রাসীদের গডফাদার। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তাদের শাসনামলে জনগণ দেখেছে জ্বালাও-পোড়াও করে দেশে কীভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছিল। শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড হামলা করে মেরে ফেলতে চেয়েছিলো তারা। একটি মামলা করতে দেয়নি, তারা আলামত নষ্ট করে দিয়েছে। এরা আবার মানবতার কথা বলে। তিনি আরও বলেন, জিয়া কখনোই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেন নি। তিনি ১৯৭১ সালে পাকবাহিনীর পক্ষে কাজ করেছেন। তিনি গোলাম আযমকে দেশে এনে নাগরিকত্ব দিয়েছেন। এখনো জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তানী সৈনিক হিসেবে কাজ করছে। জামায়াত-বিএনপি একই মায়ের পেটের দুই ভাই। বাংলাদেশের বড় সমস্যা হচ্ছে জামায়াত-বিএনপি। আপনারা পাকিস্তানে চলে যান, বাংলাদেশের মানুষ খুশি হবে।
বেলা ১২টায় মেহের ডিগ্রি কলেজ মাঠে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ। শাহরাস্তি উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তফা কামাল মজুমদারের সভাপতিত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান মিন্টুর সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সদস্য অ্যাডঃ নূরজাহান বেগম মুক্তা, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শামছুল হক ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল, সহ-সভাপতি মনজুর আহমেদ, শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসরিন জাহান চৌধুরী, পৌর মেয়র হাজী আঃ লতিফ প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ মোস্তফা কামাল মজুমদার। সভার শুরুতে সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান মিন্টু। শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তুষার।