প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২২, ২০:৪৮
১০ বছর পর চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি
চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অনুমোদন দেয়ার দুই বছর পূর্ণ হওয়ার একমাস পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয়া হলো।
|আরো খবর
এদিকে দীর্ঘ ১০ বছর পর চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলো। এর আগে সর্বশেষ শেখ মোঃ মোতালেব ও ওবায়েদুর রহমান তৃপ্তির কমিটি ছিল পূর্ণাঙ্গ কমিটি। যা ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর অনুমোদন দেয়া হয়। তার আগে ২০১১ সালের ১০ জুন শেখ মোঃ মোতালেবকে সভাপতি এবং ওবায়েদুর রহমান তৃপ্তিকে সাধারণ সম্পাদক করে চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এর ১৫ মাস পর ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।
এরপর ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর আতাউর রহমান পারভেজকে সভাপতি ও পারভেজ করিম বাবুকে সাধারণ সম্পাদক করে আট সদস্যের কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। আর এই আটজনের কমিটি নিয়েই বিদায় নেয় তখনকার চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগ। অর্থাৎ আতাউর রহমান পারভেজ ও পারভেজ করিম বাবুর কমিটি আর পূর্ণাঙ্গ কমিটি পায় নি। পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছাড়াই তাদেরকে বিদায় নিতে হয়েছে জেলা ছাত্রলীগ থেকে।
আর এবার পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়া হলো সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অনুমোদনের দুই বছর পূর্ণ হওয়ার একমাস পর। ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি জহির উদ্দিন মিজিকে সভাপতি এবং সাদ্দাম হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ কমিটির জন্য অপেক্ষা করতে হলো দুই বছর। গতকাল ৫ মার্চ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দুই বছর এক মাস পূর্ণ হওয়ার দিন পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
এদিকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয়ায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। বিশেষত যারা কমিটিতে স্থান পেয়েছে তারা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। একইসাথে চাঁদপুর জেলার বৃহত্তর আওয়ামী পরিবার নবঘোষিত চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগকে অভিনন্দন জানিয়েছে। তাঁরা বলেছেন, অনেক দেরিতে হলেও চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সে জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিকে ধন্যবাদ জানাই।
চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির উদ্দিন মিজি ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, কমিটিতে কিছু বিতর্কিত নাম চলে আসলেও পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে তথ্য প্রমাণসহ উপস্থাপন করা হলে তাদেরকে কমিটি থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে বলে আশ^স্ত করেছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।