প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২০:৫২
চাঁদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যাচারের প্রতিবাদে চাঁদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে স্মরণ কালের বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২ ফেব্রুযারী বিকেলে চাঁদপুর শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কস্হ অঙ্গীকার পাদদেশে সন্মুখে হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে মিছিল শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলী আরশ্বাদ মিয়াজীর পরিচালনায় আয়োজিত সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ইউসুফ গাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডঃ মুজিবুর রহমান ভুইয়া, আলহাজ্ব মোঃ তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, চাঁদপুরের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করেত যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের রুখে দিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশের সৈনিকরা সব সময় সোচ্চার রয়েছে। বক্তারা আরো বলেন, স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ যখনই দেশ ও জনগণের স্বার্থে কাজ করে তখনই দল ও দলের বাইরে একটি কুচক্রীমহল অপপ্রচার চালিয়ে দল ও সরকারের সুনাম ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালায় ।
নেতৃবৃন্দ স্বাধীনতার পর চাঁদপুরের জনগণের স্বার্থে এতো উন্নয়ন কাজ আর কোনো সরকার করতে পারেনি। এগুলো সকল কিছুর সম্ভব হয়েছে চাঁদপুরের মাটি ও মানুষের নেএী শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির এমপির বদ্যনতায়। তাই একজন সজ্জন ও সৎ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে তাঁর রয়েছে শুধু দেশেই নয়,সারা বিশ্বেও।
নেতৃবৃন্দ অনতিবিলম্বে এ সকল অপপ্রচার বন্ধ করার জন্য ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতি আহবান জানান। অন্যথায় আওয়ামীলীগের তৃনমুলের কর্মীরাা দাত ভাঙ্গা জবাব দিবে। পদ্মা সেতু তৈরীর পূবে বিশ্ববৗাংক বলেছে দূর্নিতী হয়েছে। কিন্তু দেখেন আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতুতে কিছু দিনের মধ্যে যানবাহন চলবে। ঠিক তেমনি চাঁদপুর মেডিক্যাল কলেজ ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয়নহ সকল উন্নয়নকে বাধা গ্রস্ত করছে আমাদের ঘরের লোক। দীপু মনির সমালোচনা করা হলে শেখ হাসিনার সমালোচনা করা হয়। কারন তিনি মন্ত্রী, দলের যুগ্ম সম্পাদক ও এমপি। আমারা প্রতিবাদ করতে চাই বিরোধী দলের বিরুদ্ধে কিন্তু আজ দলের সভাপতি হয়ে নিজের দলের নেত্রীর বিরুদ্ধে বিবৃতি দিলেন। আপনারা এ বিষয়ে ক্ষমা চান তা না হলে আন্দোলন আরো বেগবান করা হবে।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট রনজিৎ রায় চৌধুরী, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মাসুদুর রহমান নান্টু, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল আজিজ খান বাদল, সাংগঠনিক সম্পাদক আইয়ুব আলী বেপারী, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, মোহাম্মদ আলী মাঝি, সদর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক হুমায়ন কবির সুমন, যুগ্ম আহবায়ক শিমুল হাসান শামনু, তাজুল ইসলাম মিয়াজী।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির উদ্দিন মিজি, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবিএম রেজোয়ান, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন গাজী, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা। ১নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন খান, ৫নং রামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আল মামুন পাটওয়ারী, ৭নং তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমাম হাসান রাসেল গাজী, ৯নং বালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিক উল্লা মাস্টার, ১১নং ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাশেম খান, ১২নং চান্দ্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু, ১৩নং হানারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছাত্তার রাঢ়ী, ১৪নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাজরাজেশ্বর হযরত আলী বেপারী।