বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫  |   ৩০ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২২, ০০:০০

জাতিসংঘ দিবস এবং আমাদের অর্জন
অনলাইন ডেস্ক

যেদিন রোম নগরী পুড়ে ছাই হলো, হরপ্পা-মোহেনজাদোরা মৃত্তিকার গহ্বরে ঠাঁই নিলো, হিরোশিমা নাগাসাকির লাখ লাখ আদম সন্তানের নাক থেকে খসে গেলো শেষ নিঃশ্বাস, সেদিনও কোকিল গলা ছেড়ে গান গেয়েছে, বকুল ফুল বুক উজাড় করে গন্ধ বিলিয়েছে, মাছেরা খেলা করেছে, ভ্রƒমর গুণগুণ করে গান গেয়েছে। অর্থাৎ প্রকৃতি তার নিয়মের ব্যত্যয় ঘটায়নি। যথাসময়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত, দিন-রাত, জোয়ার-ভাটা, অমাবস্যা ও পূর্ণিমা স্বাভাবিক নিয়মে হয়েছে। নিষ্ঠুর প্রকৃতিও নিয়ম মেনে চলে। মাঝে মাঝে অনিয়ম হলেই মানুষের সর্বনাশ বা বিপদ ঘটে। পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় অনিয়ম বা বিপর্যয়ের নাম হলো যুদ্ধ। যা শান্তিকামী মানুষের মোটেও কাম্য নয়। তবু যুগে যুগে, দেশে দেশে, জাতিতে জাতিতে, ধর্মে ধর্মে বা স্বার্থ ও ক্ষমতার জন্যে এ সংঘাত, লড়াই বা যুদ্ধ এখনও অব্যাহত রয়েছে। অতীতের কলিঙ্গ যুদ্ধের একটি ঘটনা দিয়েই আজ লেখা শুরু করছি।

সারা বিশ্বে যদি ছয়জন শ্রেষ্ঠ শাসকের নাম উল্লেখ করতে হয় তাহলে স¤্রাট অশোকের (৩০০-২৩২ খ্রিস্টপূর্ব) শৌর্য-বীর্য আর মহানুভবতার কথা লিখতে হবে। তিনি নিরানব্বই ভাইকে হত্যা এবং প্রথম জীবনে নিষ্ঠুর ও রাজ্যজয়ের নেশায় নির্মমভাবে শত্রুদের হত্যা করতেন। নিষ্ঠুরতাই ছিলো তাঁর কাছে বীরত্বের প্রতীক। কলিঙ্গের অসম যুদ্ধের পরাজয় নিশ্চিত জেনে তিনি দুর্ধর্ষ সেনাবাহিনীকে মহা উৎসাহে লুণ্ঠন ও পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দেন, যতোক্ষণ না পর্যন্ত যুদ্ধক্ষেত্র শ্মশানে পরিণত হয়। একতরফা নরহত্যা, বীভৎসতা, চারিদিকে কান্না আর আর্তনাদে গ্রামের পর গ্রাম, রাজপথ, নগর, বন্দর দাউদাউ করে জ্বলতে লাগলো। কলিঙ্গ নরকে পরিণত হলো। যুদ্ধের করালগ্রাস থেকে দরিদ্র মানুষ, শিশু, নারী, ব্রাহ্মণ, মঠ, মন্দির, তপোবন কোনো কিছু রেহাই পেলো না। কলিঙ্গে হাতীর পিঠে চেপে যেতে যেতে বিজয়ী অশোক চারিদিকে কেবল মানুষের আর্তনাদ আর মৃত্যুপথযাত্রীদের কাতর আবেদন শুনলেন। দেখলেন কেউ সামান্য পানির জন্যে ছটফট করছে এবং চারদিকে মাংসের লোভে আকাশে শকুনের দল ভিড় করছে। চারদিকে লাশ আর লাশ। বিভীষিকাময় দৃশ্য এবং জ্বলন্ত আগুন দেখে অশোক শিহরিত হয়ে মানসিক যন্ত্রণার শিকার হলেন। নিহত এক লাখ মানুষ নিষ্পলক ঘৃণাভরা দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে। স্বজনহারা দেড় লাখ নিরাশ্রয় মানুষ বন্দি হয়ে গোপনে তাকে অভিশাপ দিচ্ছে। আহত মানুষেরা প্রশ্ন করছে, ‘রাজা বলো কী আমাদের অপরাধ?’ তিনি নীরবে কলিঙ্গ থেকে বিদায় নিলেন এবং ভাবলেন এটা আমার জয় নয়, বরং চূড়ান্ত পরাজয়। অনুতাপের অনলে পুড়ে তাঁর অন্তরে নতুন এক প্রজ্ঞার আলো জ্বলে উঠলো। হত্যা, যুদ্ধ এবং হিংসা বিসর্জন দিয়ে চণ্ডাশোক অশোক রুপান্তরিত হলেন ধর্মাশোক বা মহামতি অশোকে। অবশেষে তিনি জৈন ধর্ম থেকে অহিংস বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করে মানবতার সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করলেন। আজ যারা পৃথিবীতে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা খেলছে, তাদের কি নিরীহ ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ধ্বংস দেখে বিবেক জাগ্রত হবে? হলে হতেও পারে, না-ও পারে।

গত শতকে পৃথিবীতে দুই দুটি মহাযুদ্ধ সংঘটিত হয়। এতে অনেক দেশ জড়িয়ে পড়ে। প্রথম যুদ্ধটি চলে ১৯১৪ থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত এবং দ্বিতীয়টি ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত। দুটি যুদ্ধেই অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হয়। বহু শহর জনপদ ধ্বংস হয়। মানবসভ্যতার অগ্রযাত্রা থমকে দাঁড়ায় এ দুটি যুদ্ধের ফলে। যুদ্ধের ভয়াবহতা, নিষ্ঠুরতা ও ধ্বংসের ব্যাপকতা দেখে সারা পৃথিবীর চিন্তাশীল মানুষ ও রাষ্ট্রনেতারা বিচলিত হয়ে পড়েন। তাঁরা ভাবতে থাকেন কীভাবে পৃথিবীকে যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করা যায়। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দেশগুলোর মধ্যকার বিরোধ মীমাংসা এবং তাদের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তাঁরা একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯২০ সালে গঠিত হয় ‘লীগ অব নেশনস’ বা ‘জাতিপুঞ্জ’। কিন্তু বিভিন্ন দেশের স্বার্থপরতার কারণে এ সংস্থাটি স্থায়িত্ব লাভ করেনি। যুদ্ধের বিপদ থেকেও পৃথিবীকে রক্ষা করতে পারেনি। ফলে ১৯৩৯ সালে ঘটে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। এ যুদ্ধের ভয়াবহতা ছিলো আগেরটির চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। যুদ্ধের শেষদিকে ১৯৪৫ সালের ৬ ও ৮ আগস্ট জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরে যুক্তরাষ্ট্রের ফেলা আণবিক বোমার আগুনে পুড়ে দুই লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। আহত ও পঙ্গু হয় আরও কয়েক লাখ মানুষ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ব্যাপক ধ্বংসলীলা দেখে বিশ্ববাসী শঙ্কিত ও হতবাক হয়ে যায়। এ অবস্থায় যুদ্ধ চলাকালেই ১৯৪১ সালে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কেউ কেউ একটি নতুন ও অধিকতর শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। যা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে। তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল এবং আমেরিকা (যুক্তরাষ্ট্র)-এর প্রেসিডেন্ট ফ্রাংকলিন রুজভেল্টের সঙ্গে অন্যান্য দেশের নেতৃবৃন্দের দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার ফলে ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৪৮ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সভা, সেমিনার, পোস্টার, লিফলেট, আলোচনা, বিতর্ক, পুস্তক প্রদর্শন, চলচ্চিত্র-প্রদর্শন, সঙ্গীত, শিল্প মেলা, খাদ্য মেলা ইত্যাদির মাধ্যমে ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এই দিবসে জাতিসংঘের সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবস্থিত এর শাখা অফিস ও অঙ্গ-সংগঠনসমূহে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণের মাধ্যমে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। জন ডি রকফেলার জাতিসংঘের সদর দপ্তরে সতের একর জমি দান করেন।

জাতিসংঘের পতাকার রং হালকা নীল। মাঝখানে সাদার ভেতরে বিশ্বের বৃত্তাকার মানচিত্রের দু পাশে দুটি জলপাই পাতার ঝাড়। জলপাই পাতা শান্তির প্রতীক। ১৯৪৭ সালের ২০ অক্টোবর এই পতাকা নির্ধারিত হয়। জাতিসংঘের সরকারি ভাষা ইংরেজি, ফরাসি, চীনা, আরবি, রুশ এবং স্প্যানীস। এর উদ্দেশ্যসমূহ হলো আন্তর্জাতিক শান্তি নিরাপত্তা রক্ষা করা, সমানাধিকার ও আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের ভিত্তিতে বিভিন্ন জাতির মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা, আন্তর্জাতিক ভিত্তিতে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবিক সমস্যাগুলোর সমাধানের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সহযোগিতা গড়ে তোলা, মানুষের সমঅধিকার, স্বাধীনতা প্রভৃতি মৌলিক অধিকার রক্ষা করা, আন্তর্জাতিক বিবাদ বিষয়াদিগুলোকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে এবং আন্তর্জাতিক আইনুনাযায়ী মীমাংসা করা। জাতিসংঘের মূল সংস্থাগুলো হলো : সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ, সম্পাদকীয় দফতর, আন্তর্জাতিক আদালত ও অছি পরিষদ।

৫০টি দেশ নিয়ে জাতিসংঘ গঠিত হয়েছিলো। ওই সম্মেলনে পোল্যান্ড উপস্থিত না থাকলেও তাকে প্রতিষ্ঠাতাকালীন সদস্য হিসেবে গণ্য করা হয়। অর্থাৎ সনদ কার্যকর হওয়ার পূর্বেই পোল্যান্ড সনদে স্বাক্ষর করে ৫১তম সদস্য দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পায়। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ১৯৩। জাতিসংঘের মহাসচিব হচ্ছেন এর প্রধান প্রশাসনিক কর্তা, পর্তুগালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাতিসংঘের সাবেক উদ্বাস্তুবিষয়ক হাইকমিশনার আন্তেনিও গুতেরেস বর্তমান মহাসচিব। নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশক্রমে সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশের সদস্যের ভোটে পাঁচ বছরের জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব নির্বাচিত হন। মহাসচিবকে তাঁর কাজে সহায়তা করে ১২ জন অধঃস্তন সচিব এবং ১২ জনেরও অধিক সহকারী সচিব। মেয়াদ শেষে একজন মহাসচিব পাঁচ বছরের জন্যে নির্বাচিত হতে পারেন।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ ঘটে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ২৯তম অধিবেশনে বাংলাদেশ ১৩৬তম সদস্য দেশ হিসেবে অর্ন্তভুক্ত হয়। ওই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু প্রথমবারের মতো বাংলায় ভাষণ দেন। ১৯৭৯-৮০ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়। জাতিসংঘের চারজন মহাসচিব পাঁচবার বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। বাংলাদেশ সবসময় জাতিসংঘের বিশেষ নজরে থাকে। এ জাতির জন্যে সবচেয়ে আনন্দদায়ক সংবাদ হলো, ১৯৮৬ সালে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৪১তম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করায় বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সংখ্যাগত দিক থেকে আবারও শীর্ষ স্থানে অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশের সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। আমাদের সৈন্যরা রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব না করায় এদেশের সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে বিশ্বে পরিচিতি ও ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। সিয়েরা লিওনে বাংলা ভাষা দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা এবং আইভরি কোস্টে ‘বাংলাদেশ’ সড়ক নামে নামকরণ করা হয়েছে।

আলোচনা, সমালোচনা যা-ই থাক, যুদ্ধ-সংঘাত, বিশ্ব শান্তির প্রধান প্রতিবন্ধক। তাই বিশ্বের কোথাও যুদ্ধ বা সামরিক সংঘাত বাধলে জাতিসংঘ তা বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়। সংঘাতপূর্ণ এলাকায় শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো, বিশ্ব থেকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতা দূর করা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, পরিবেশ দূষণজনিত সমস্যা মোকাবিলা, জনসংখ্যা বিস্ফোরণ রোধ, নারী ও শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠা বিভিন্ন কার্যক্রমে জাতিসংঘের রয়েছে অনন্য ও অসাধারণ অবদান। শান্তির জন্যে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা হলেও আরব-ইসরাইল যুদ্ধ, কোরিয়া-আমেরিকা যুদ্ধ, ইরান-ইরাক যুদ্ধ, আমেরিকাণ্ডভিয়েতনাম যুদ্ধ। ইরাক, আফগানিস্তান ও সিরিয়ায় বিমান হামলা বন্ধ হলেও ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ চলমান। এর ফলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।

পৃথিবীর অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে পারমাণবিক বোমাসহ সকল প্রকার যুদ্ধের অস্ত্রের সরঞ্জামাদি এবং সৈন্য বেশি রয়েছে। সিকিম, হংকং ও ক্রিমিয়া ইচ্ছা-অনিচ্ছা বা চুক্তির মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের অংশে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘ কর্তৃক পুরস্কার পেলে আমরা এখনো আনন্দে আপ্লুত হই। বর্তমানে শক্তিশালী রাষ্ট্রসমূহ জাতিসংঘকে বন্ধু মনে করলেও ছোট ছোট স্বাধীন, সার্বভৌম, দুর্বল রাষ্ট্রসমূহ জাতিসংঘের মুখের দিকে তাকিয়ে তাকে অভিভাবক হিসেবে মেনে নেয়।

মোঃ কায়ছার আলী : শিক্ষক ও কলামিস্ট।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়