প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০
নির্মাণ সামগ্রীর যথেচ্ছ অবস্থান ও জনদুর্ভোগ
চাঁদপুর পৌরসভা মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শুক্রবার দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠে গোলাম মোস্তফার একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এ প্রতিবেদনে লিখা হয়েছে, চাঁদপুর পৌর এলাকার ১৪নং ওয়ার্ডের বাবুরহাট মডেল টাউন এলাকার বাসিন্দাদের সুবিধার্থে চাঁদপুর পৌরসভার অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়েছে একটি ড্রেন। সপ্তাহখানেক পূর্বে বাবুরহাট এলাকার একটি প্রভাবশালী গ্রুপ মডেল টাউনের সড়কের পাশে স্থানীয় এক ব্যক্তির সম্পত্তি জোরপূর্বক বালু ভরাট করে দখল করতে যায়। এ সময় তারা উক্ত ড্রেনটির একটি অংশ বালু দিয়ে ভরাট করে ফেলে। ফলে ড্রেনটি অকেজো হয়ে যায়। এ ড্রেনটিকে সচল করতে সচেতন এলাকাবাসী পৌর মেয়রের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
|আরো খবর
চাঁদপুর শহরের বাবুরহাট শুধু নয়, পুরো শহরেই নির্মাণ সামগ্রী হিসেবে বালু যেখানে সেখানে ফেলে রাখা হয়। স্লাবে ঢাকা ড্রেনের ওপর, এমনকি স্লাব ছাড়া ড্রেনের ওপরও বালু ফেলা হয়। এছাড়া ছোট-বড় সড়কের পাশে, অন্যের বাড়ির সামনে নির্মাণ সামগ্রী হিসেবে বালু, ইট, রড, কংক্রিট ইত্যাদি রাখার এবং পড়ে থাকার দৃশ্য প্রতিনিয়তই দেখা যায়। এজন্যে পৌর কর্তৃপক্ষ, বাড়ির মালিক কিংবা অন্য কারো অনুমোদনের তোয়াক্কা করে না নূতন বাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের উদ্যোক্তারা।
চাঁদপুর শহরে কোনো কোনো সড়কের পাশ দখল করে নির্মাণ সামগ্রী রেখে সেখানে শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করিয়ে যানজটসহ নানা জনদুর্ভোগ সৃষ্টির প্রবণতা লক্ষ করা যায় অনেকের মধ্যে। এ ব্যাপারে তারা বেপরোয়া মানসিকতাও লালন করে। জেলা প্রশাসন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এমন বেপরোয়া মানসিকতার লোকজনদের কাউকে কাউকে মোটা অংকের জরিমানা করার নজিরও রয়েছে।
একটি শহরের নাগরিকদের সুবিধাদি নিশ্চিত করা, তাদের ভালো-মন্দ দেখভাল করা, তাদের সমস্যাদি নিরসন করা, জনদুর্ভোগ লাঘবের প্রধান দায়িত্ব থাকে সিটি কর্পোরেশন কিংবা পৌরসভার নির্দিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের উদ্যোক্তা কিংবা ঠিকাদারের সাথে স্বার্থসংশ্লিষ্ট সম্পর্ক স্থাপন করে নির্মাণ সামগ্রীর যথেচ্ছ অবস্থান ও জনদুর্ভোগের বিষয়টিকে এড়িয়ে যান। এমনকি জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাউন্সিলরগণও এমন জনদুর্ভোগের বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামান না, বরং আপসকামিতায় নিশ্চুপ থাকেন, ভুক্তভোগীদের তাগিদ সত্ত্বেও নীরব ভূমিকা পালন করেন।
আমরা লক্ষ করেছি, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার নির্মাণসহ যাবতীয় উন্নয়ন কাজে অধিকাংশ প্রকৌশল বিভাগ নিজেদের সর্বেসর্বা ভাবে। নকশা অনুমোদন ও বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এরা বিভিন্ন সুবিধাপ্রাপ্তির নিশ্চয়তায় সঠিক দায়িত্বপালনে ফাঁকিবাজি করে কিংবা ঔদাসীন্য প্রদর্শন করে। নির্মাণ সামগ্রীকে কার জায়গায় রাখলো সেটি দেখার সুযোগ ও দায়িত্ব পালন তো দূরের কথা। আমরা এ ব্যাপারে মেয়র ও কাউন্সিলরগণের সুতীক্ষ্ণ নজরদারি ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাগ্রহণ প্রত্যাশা করছি।