মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০

শতবর্ষী হোক চাঁদপুর রোটারী ক্লাব

শতবর্ষী হোক চাঁদপুর রোটারী ক্লাব
অনলাইন ডেস্ক

১৯০৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আমেরিকার শিকাগোতে প্রতিষ্ঠিত ‘রোটারী’ হচ্ছে বিশে^র অন্যতম প্রাচীন সেবাধর্মী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান। এটির প্রতিষ্ঠাতা পল পার্সি হ্যারিস। বিশ্বের দু শতাধিক দেশ ও ভৌগোলিক এলাকায় প্রায় ৪৬ হাজার রোটারী ক্লাবে বর্তমানে ১.৪ মিলিয়নেরও অধিক সদস্য রয়েছে। প্রতিষ্ঠার ৩২ বছর পর ১৯৩৭ সালে ঢাকা রোটারী ক্লাব গঠনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে রোটারীর যাত্রা শুরু হয়। চট্টগ্রাম ও কুমিল্লাসহ বড় ক’টি শহরে রোটারী ক্লাব গঠনের পর ১৯৭০ সালের ২০ নভেম্বর দেশের ৭ম রোটারী ক্লাব হিসেবে চাঁদপুর রোটারী ক্লাব প্রতিষ্ঠা লাভ করে। দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছে শ্রদ্ধেয় একজন ব্যক্তিত্ব ডাঃ নুরুর রহমানকে সভাপতি করে এ ক্লাবের শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হয়।

একজন ভালো প্রধান শিক্ষক/অধ্যক্ষ/কর্ণধারের সুদক্ষ পরিচালনায় দেশের যেখানেই অবস্থান হোক না কেনো, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন সুখ্যাতি লাভ করে,তেমনি একটি সংগঠনের ভালো নেতা তথা কর্ণধারের হাত ধরে সে সংগঠনটি অনেক দূর এগিয়ে যায়, স্বীয় কর্মযজ্ঞে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা লাভ করে। এমন একটি সংগঠনই হচ্ছে চাঁদপুর রোটারী ক্লাব। এটি চাঁদপুরের প্রাচীন সংগঠনগুলোর মধ্যে টেকসই অস্তিত্ব নিয়ে ব্যাপক কর্মযজ্ঞে দিনের পর দিন ভালোভাবেই এগিয়ে চলছে।

বিত্তবানদের মধ্যে যারা চিত্তবান ও নিঃস্বার্থ তারাই রোটারী আন্দোলনের মাধ্যমে মানব সেবার ব্রত নিয়ে কেবলই এগিয়ে যায়। কোনোরূপ স্বার্থের পেছনে নয়, সমাজসেবায় আত্মনিবেদন নিশ্চিত করতে এই রোটারী ক্লাবের সদস্যরা নির্দ্বিধায় কাজ করে যায়। ‘সেবা স্বার্থের ঊর্ধ্বে’ রোটারীর এ প্রতিপাদ্যে উজ্জীবিত হয়ে ক্লাব সদস্যরা সমাজসেবায় ব্যক্তিগত দান-অনুদান এতো বেশি পরিমাণ করে যে, সেটা একটা এলাকার মানুষের নিকট আশাব্যঞ্জক ও দৃষ্টান্তমূলকই মনে হয়।

চাঁদপুর শহরে চাঁদপুর রোটারী ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি, সর্বজনশ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব রোটারিয়ান আলহাজ্ব ডাঃ এম.এ. গফুর এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, দেশের প্রথিতযশা ব্যবসায়ী রোটাঃ আলহাজ্ব মাজহারুল হক ভূঁইয়ার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ দান-অনুদানে রোটারীর সেবামূলক প্রকল্প হিসেবে দুটি হাসপাতাল গড়ে উঠেছে, যেগুলো চাঁদপুর জেলাবাসীর জন্যে আশীর্বাদ হিসেবেই বিবেচিত। একটি হচ্ছে চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতাল এবং আরেকটি হচ্ছে মাজহারুল হক বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতাল। চাঁদপুর শহরে ও শহরতলীতে রোটারী ক্লাব বিগত ৫১ বছরে অসংখ্য সেবামূলক কাজ করেছে, যেগুলোর মধ্যে উক্ত দুটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাই সেরা কাজ হিসেবে সকল শ্রেণীর মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য। উল্লেখ করার মতো বিষয় হচ্ছে, এ দুটি হাসপাতালের মুখ্য পরিচালনায় সেক্রেটারী হিসেবে দুজন প্রবীণ রোটারিয়ান যথাক্রমে রোটারিয়ান আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আখন্দ সেলিম ও রোটারিয়ান আলহাজ্ব এম.এ. মাসুদ ভূঁইয়া সম্পূর্ণ বিনা পারিশ্রমিকে অর্থাৎ অবৈতনিকভাবে বছরের পর বছর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

আজ চাঁদপুর রোটারী ক্লাবের ৫২তম জন্মদিন এবং ৫১ বছরপূর্তি তথা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। গত বছর করোনাকালে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ ক্লাবটি অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপন করেছে। আজ করছে ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন। পুরো বাংলাদেশে প্রায় চারশ’ রোটারী ক্লাবের মধ্যে ১০টিরও নিজস্ব বহুতল ভবন নেই। চাঁদপুর রোটারী ক্লাবের সেটি আছে এবং সেখানেই গত বছর ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপিত হয়েছে, আজকে ৫১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীও উদ্যাপিত হতে যাচ্ছে। এ ক্লাবটির স্থায়ী-অস্থায়ী যে সেবামূলক প্রকল্পগুলো রয়েছে, তার ধারাবাহিকতায় ও ক্লাব সদস্যদের সৌহার্দ্যপূর্ণ অটুট বন্ধনে এ ক্লাবটি ২০৩০ সালে ষাট বছরে হীরকজয়ন্তী, ২০৪৫ সালে ৭৫ বছর পূর্তি এবং ২০৭০ সালে শতবর্ষপূর্তি উদ্যাপন করতে পারবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এ বিশ্বাসের অনুকূলে ক্লাবটি শতবর্ষী হোক-আপাতত সে প্রার্থনা করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়