মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০

চাঁদপুরে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই

চাঁদপুরে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই
অনলাইন ডেস্ক

গত ১১ নভেম্বর চাঁদপুর কণ্ঠের প্রথম পৃষ্ঠায় ব্যানার হেডিং হয়েছে ‘দুই মন্ত্রণালয়ের টানাটানিতে ৭ বছর ফাইলবন্দী বড় স্টেশন মোলহেডে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ কাজ’। এটি হচ্ছে মূল শীর্ষ সংবাদের শিরোনাম। এই সংবাদে দুজন মন্ত্রীর সাক্ষাৎকার সংযোজন করা হয়েছে। সাক্ষাৎকার দুটির শিরোনাম হয়েছে এমন-‘পর্যটন কেন্দ্র রেল মন্ত্রণালয়ই করবে, অন্য কাউকে ভূমি দেয়ার সুযোগ নেই : রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন’ এবং ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি যেখানে আছে সেখানে পর্যটন কেন্দ্র হবেই : পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী’।

মূল সংবাদের সূচনাতে লিখা হয়েছে, চাঁদপুর বড় স্টেশন মোলহেডে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণে মুখোমুখি দুই মন্ত্রণালয়। পর্যটন মন্ত্রণালয় চাচ্ছে ত্রিনদী ঘেঁষা স্থলভাগে ১.০৬ একর জায়গার ওপর ইলিশকেন্দ্রিক হোটেল-মোটেল নির্মাণসহ আধুনিক মানের একটি পরিপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ করতে। কিন্তু মোলহেডের জায়গাটি রেল মন্ত্রণালয়ের হওয়ায় উদ্যোগ গ্রহণের ৭ বছরেও তা নির্মাণ সম্ভব হয়নি। রেল মন্ত্রণালয়ের দাবি, রেলের জায়গায় যদি পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ করতেই হয়, তবে তা রেল মন্ত্রণালয় নির্মাণ করবে। অন্য মন্ত্রণালয়কে সুযোগ দেয়ার প্রশ্নই উঠে না।

পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর সাক্ষাৎকারের শিরোনামে জোর আশাবাদ থাকলেও পড়তে গিয়ে শেষাংশে তাঁর অসহায়ত্ব প্রকাশের বিষয়টি জানতে পেরে পাঠককে হতাশই হতে হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, চাঁদপুরে আধুনিক মানের একটি পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি রয়েছে। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করেছি। জায়গাটি রেল মন্ত্রণালয়ের হওয়ায় ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আমরা কাজটি শুরু করতে পারিনি। মাত্র ১.০৬ একর জায়গা চেয়ে রেল মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানোর সাত বছরেও কোনো সাড়া মিলেনি। কেন মিলেনি সেই উত্তরও আমার জানা নেই। আপনারা চাঁদপুরবাসী খোঁজ নিন। চাঁদপুরের মাননীয় সাংসদরা খোঁজ নিয়ে দেখুক, কোথায় কেন আটকে আছে ভূমি হস্তান্তরের ফাইলটি। ‘যদি কোনো কারণে রেলওয়ে জায়গা না দেয়, তবে পর্যটন মন্ত্রণালয় পর্যটন কেন্দ্র করতে পারবে কি না’ এমন প্রশ্নের জবাবে পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি যেখানে আছে সেখানে পর্যটন কেন্দ্র হবেই। তিনি আরো বলেন, পর্যটন কেন্দ্র করতে আমাদের পর্যটন কর্পোরেশনের আগ্রহ ও ইচ্ছাশক্তির কমতি নেই। আমরা আমাদের পদক্ষেপ নিয়েছি। রেলওয়ে যদি ভূমি হস্তান্তর বা সেটি ব্যবহারের কোনো ক্লিয়ার ম্যাসেজ না দেয়, তবে তো আমাদের কিছু করার নেই।

পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যে চাঁদপুর বড় স্টেশন মোলহেডে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের ক্ষেত্রে রেল মন্ত্রণালয়ের প্রতিবন্ধক হিসেবে দাঁড়ানোর স্পষ্টতা প্রতিভাত হয়েছে। এ প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠক আয়োজন জরুরি হয়ে পড়েছে। এই আয়োজনের তাগিদ সৃষ্টিতে চাঁদপুর সদরের এমপি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনিকে মুখ্য ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার জন্যে আমরা সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাতে চাই। আমাদের বিশ^াস, তিনি এ বৈঠক আয়োজনে সক্ষম হবেন। যদি ব্যর্থ হন, তাহলে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শরণাপন্ন হয়ে চাঁদপুরে বহুল কাক্সিক্ষত পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইতে পারবেন। কেননা এটি যে প্রধানমন্ত্রীরই প্রতিশ্রুতি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়