মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০

যেখানে পুলিশ সফল নয় কেন?

যেখানে পুলিশ সফল নয় কেন?
অনলাইন ডেস্ক

প্রায়শই গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয় যে, রাতের অন্ধকারে কিংবা দিনের আলোতে গোপনে কোনো পুকুরে/দিঘিতে কিংবা অন্য কোনো আবদ্ধ জলাশয়ে বিষ প্রয়োগে লাখ লাখ টাকার মাছ নিধন করা হয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট মৎস্যচাষী মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পথে বসেছে কিংবা তার স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়েছে। শত্রুতাবশত কিংবা ঈর্ষাবশত এমন মাছ নিধনের ঘটনার পাশাপাশি ইদানীং একই কারণে বাড়ন্ত গাছের চারা কর্তনের ঘটনাও ঘটে চলছে। এতে অনেকের বাগান করার স্বপ্ন উবে যাচ্ছে। হতাশা-নিরাশায় আচ্ছন্ন হয়ে অনেকে হাত গুটিয়ে রাখাকেই শ্রেয় মনে করতে বাধ্য হচ্ছেন। কারণ, মাছ/গাছ নিধনের হোতাদের চিহ্নিত ও শায়েস্তা করার কাজে দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই বললেই চলে। এক্ষেত্রে যুক্তি ও ভাবটা হলো এমন, মাছ/গাছ নিধন তো আর মানুষ খুনের সমতুল্য কোনো জঘন্য অপরাধ নয়।

মাছ নিধনে বিষ আর গাছ নিধনে ধারালো দা/কুঠার ব্যবহারের বিষয়টি এতোদিন সবার জানা থাকলেও গত রোববার গভীর রাতে কচুয়ায় সংঘটিত এক ঘটনায় জানা গেলো, গাছ নিধনে নূতন করে পুরানো পদ্ধতির প্রয়োগ শুরু হয়েছে। বিশাল বনে প্রাকৃতিকভাবে কিংবা উদ্দেশ্যমূলকভাবে দাবানল সৃষ্টি করা হয়। এতে বিরাট এলাকার গাছপালা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এমন দাবানলে একরের পর একর, বর্গমাইলের পর বর্গমাইল সবুজ বন এলাকা পুড়ে ফাঁকা হয়ে যায়। এতে জীব বৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

কচুয়ার বালিয়াতলী গ্রামে ওমান প্রবাসী জাকির হোসেন বাবুলের মালিকানায় কোনো বন নেই, আছে মাত্র ৭২ শতাংশ জায়গায় সৃজিত আম বাগান। তিনি ক’ বছরের প্রচেষ্টায় এ বাগানে রাজশাহী জাতের আমের বিপুল সংখ্যক গাছ লাগিয়ে ফলনোপযোগী করেছেন। এছাড়া অন্যান্য ফলের গাছও লাগিয়েছেন। সদ্য তিনি ছুটি নিয়ে ওমান থেকে দেশে ফিরেছেন এবং তার আম বাগানের পরিচর্যায় মনোযোগী হয়েছেন। গত ৭ নভেম্বর রোববার দিবাগত গভীর রাতে শত্রুতার জের ধরে কে বা কারা তার আম বাগানে আগুন লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে প্রায় ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় দমকল বাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে ওই বাগানের আড়াইশ’ আম গাছসহ বিভিন্ন জাতের ফলদ গাছ পুড়ে যায়। এতে প্রায় ৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

মাছ/গাছ নিধনে অন্যান্য স্থানে সংঘটিত ঘটনার প্রেক্ষিতে কচুয়া থানায়ও অভিযোগ/মামলা হবে। আমরা আশা করি, এ অভিযোগ/মামলায় অবশ্যই অগ্রগতি সাধিত হবে। যদিও পুলিশ মাছ/গাছ নিধনের হোতাদের চিহ্নিত ও আটক করতে তেমন সফল নয় বললেই চলে। কিন্তু কেন? পুলিশ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বা কৌশল ব্যবহার করে যেখানে ক্লুলেস মার্ডারের ক্লু বা রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারে, সেখানে মাছ/গাছ নিধনের হোতাদের ধরতে ও শায়েস্তা করতে পারবে না কেন? এক্ষেত্রে আইনের কি কোনো সীমাবদ্ধতা আছে, না অন্য কোনো কারণ নিহিত রয়েছে ?

 

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়