মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০

ফরিদগঞ্জ উপজেলায় দুটি থানা হওয়া দরকার
অনলাইন ডেস্ক

সদর উপজেলা ব্যতীত চাঁদপর জেলার বাকি সাতটি উপজেলার মধ্যে মতলব উত্তর উপজেলা আয়তনে বড় এবং সেজন্যে এ উপজেলার থানার বাইরেও পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। তারপর কচুয়া উপজেলা। এখানেও থানার বাইরে সাচার পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। কচুয়ার প্রায় সমআয়তনের হলেও ফরিদগঞ্জ উপজেলায় থানার বাইরে আর কিছু নেই। অথচ ফরিদগঞ্জের চেয়ে অনেক ছোট উপজেলা হাইমচরে থানার বাইরে তদন্তকেন্দ্র/নৌপুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। শাহরাস্তি উপজেলা হাইমচরের চেয়ে ছোট হলেও এখানে থানার বাইরে উঘারিয়া তদন্তকেন্দ্র রয়েছে।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা চাঁদপুর জেলার অন্যান্য উপজেলার চেয়ে কতোটুকু বড় কিংবা ছোট সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। বিবেচ্য বিষয় হলো, এখানকার বিপুল সংখ্যক লোক প্রবাসে থাকেন, যাদের প্রেরিত রেমিটেন্সে তাদের পরিবারগুলো প্রাচুর্য ও সচ্ছলতায় ভোগেন। আর সে কারণে এ উপজেলায় ডাকাতের আনাগোনা অনেক বেশি। শীতের আমেজ শুরু হতে যা দেরি, এ উপজেলায় বেড়ে যায় ডাকাতের উপদ্রব। অবশ্য সিআইপি বেড়িবাঁধের ভেতরে হওয়ায় এবং চতুর্মুখী সড়ক যোগাযোগ সমৃদ্ধ হওয়ায় ফরিদগঞ্জ উপজেলায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শীত ছাড়াও বছরের অন্যান্য সময়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটে থাকে। থানার জনবল ও যানবাহন সঙ্কটের কারণে এ উপজেলায় ডাকাতিসহ অন্যান্য অপরাধ দমনে পুলিশ পুরোপুরি সফল হতে পারছে না। সেজন্যে এ উপজেলায় পুলিশ ফাঁড়ি বা তদন্তকেন্দ্র চালু হওয়া যেমন অত্যাবশ্যক, তারচে’ বেশি দরকার পৃথক একটি পূর্ণাঙ্গ থানা সৃষ্টি করা। কিন্তু এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ কিংবা এমপি মহোদয়ের পক্ষ থেকে সরকারের উচ্চ মহলে জোরালো আবেদন বা তদবির হয়েছে বা হচ্ছে বলে আমাদের জানা নেই।

চাঁদপুরের পাশর্^বর্তী কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও শরীয়তপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কিছু কিছু উপজেলায় আয়তনগত বিষয় বিবেচনাসহ সুষ্ঠু আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনে একাধিক পূর্ণাঙ্গ থানা রয়েছে। ফরিদগঞ্জেও তেমনটি হওয়া দরকার বলে অনেক বিজ্ঞজন মনে করেন। এজন্যে নিকারের সুদৃষ্টি আকর্ষণ অতি জরুরি হয়ে পড়েছে।

প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি অর্থাৎ ইংরেজিতে ন্যাশনাল ইমপ্লিমেন্টেশন কমিটি ফর অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রিফর্ম-এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে নিকার। সংক্ষেপে নিকারের কাজ হলো-নতুন ইউনিয়ন, পৌরসভা, থানা, উপজেলা, জেলা, বিভাগ, নূতন মন্ত্রণালয় কিংবা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একাধিক বিভাগ সৃষ্টি। এই নিকারের প্রধান হচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রীসহ অন্যান্য মন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদ সচিব ও অন্য কিছু সচিব এই নিকারের সদস্য। মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ নিকারকে সাচিবিক সহায়তা দিয়ে থাকে। আমরা নিকার সমীপে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যমান একটি থানার পাশাপাশি পূর্ণাঙ্গ আরেকটি থানা গঠন করার জন্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে মাননীয় এমপি, জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট অন্য সকলের প্রতি সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়