প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২১, ০০:০০
জেলা প্রশাসককে অভিনন্দন
২২তম বিসিএস ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে অঞ্জনা খান মজলিশ চলতি ২০২১ সালের ৩ জানুয়ারি চাঁদপুরে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ১৯তম জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। সে হিসেবে তিনি চাঁদপুরের ২০তম জেলা প্রশাসক এবং চাঁদপুর জেলার ইতিহাসে প্রথম নারী জেলা প্রশাসক। তিনি ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার বিখ্যাত খান মজলিশ বংশের কৃতী সন্তান। স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে এই খান মজলিশ বংশের লোকজনের গৌরবজনক অবদান রয়েছে। এই বংশের সামসুদ্দোহা খান মজলিশ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
|আরো খবর
আগামী পরশু ৩ জুলাই শনিবার জেলা প্রশাসক হিসেবে অঞ্জনা খান মজলিশের চাঁদপুরে যোগদানের ছয় মাস পূর্তি হবে। তিনি এই অল্প সময়ে চাঁদপুরে দৃশ্যমান কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন। তিনি গতানুগতিকতার বাইরে কাজ করতে পছন্দ করেন। তিনি মানুষের মুখের ভাষা শুধু নয়, চোখের ভাষা ও মনের ভাষা বোঝার চেষ্টা করে গুরুত্বপূর্ণ জনচাহিদা পূরণের প্রয়াস চালান বলে গত ছয় মাসে চাঁদপুরের সচেতন মানুষের পর্যবেক্ষণে মনে হয়েছে। নারী জেলা প্রশাসক হিসেবে তাঁর সামর্থ্য নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে যে সংশয় ছিলো সেটা কেটে যেতে শুরু করেছে।
এরই মধ্যে জানা গেলো, জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ তাঁর পূর্ববর্তী কর্মস্থল সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে উদ্ভাবনী কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কারের জন্যে মনোনীত হয়েছেন। গত ২৯ জুন মঙ্গলবার তিনি চাঁদপুর থেকে রাজধানী ঢাকার সচিবালয়ে গিয়ে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মোঃ নজরুল ইসলামের হাত থেকে পুরস্কার হিসেবে সনদপত্র, ক্রেস্ট ও একটি মোবাইল সেট গ্রহণ করেছেন। কেনো এই পুরস্কার পেলেন এ প্রসঙ্গে অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে কাজ করার সময় কর্মকর্তারা যাতে অনলাইনে তাদের এসিআর আপলোডের তথ্য যাতে জানতে পারেন, সে ব্যাপারে ইনোভেটিভ আইডিয়া দেই এবং বাস্তবায়নে কাজ করি। সেটা বাস্তবায়ন হওয়ায় আমি পুরস্কৃত হই।
আমরা চাঁদপুরের প্রথম নারী জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের সদ্য সাবেক কর্মস্থলে প্রদর্শিত কর্মদক্ষতার স্বীকৃতি স্বরূপ পুরস্কার প্রাপ্তির জন্যে চাঁদপুর জেলাবাসীর পক্ষে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। গত ছয় মাসে চাঁদপুরের কর্মস্থলে তাঁর যে কর্মদক্ষতা/পারঙ্গমতা লক্ষ্য করা গেছে, তাতে তিনি যে তাঁর কর্মকালে ব্যতিক্রম, উদ্ভাবনমূলক কিছু করবেন সে ব্যাপারে জেলাবাসীর বিশ^াস জন্মেছে। আমরা বিশ^াস করি, তিনি চাঁদপুর জেলায়ও তাঁর নূতন ইনোভেটিভ আইডিয়ায় কোনো ধরনের পরিবর্তন আনয়নে সক্ষম হবেন এবং জনপ্রশাসন পদকে ভূষিত হবেন। তিনি সুস্থ ও সর্বোচ্চ কর্মক্ষম থেকে চাঁদপুর জেলাবাসীর জন্যে তাঁর আন্তরিক সেবা যাতে বিলিয়ে দিতে পারেন সেজন্যে পরম করুণাময় আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা জানাচ্ছি।