প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০
ডাঃ মাহবুবের জন্যে শুভ কামনা
গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ডাঃ একেএম মাহবুবুর রহমানকে। গত বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়। সহসাই তিনি পদায়নকৃত কর্মস্থলে যোগদান করবেন এবং বর্তমান ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক (সিভিল সার্জন) ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহর নিকট থেকে দায়িত্ব বুঝে নেবেন। ডাঃ মাহবুব ইতিপূর্বে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তখন তিনি স্কলারশিপ পেয়ে যুক্তরাজ্যের স্কটল্যান্ডে যান এবং মাস্টার্স ইন পাবলিক হেলথ ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। যুক্তরাজ্য থেকে ফিরে তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগদান করেন এবং সহকারী পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন। এখানে কর্মরত থাকাবস্থাতেই তিনি উক্ত হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে নিয়োগাদেশ পেয়েছেন এবং নিজ জেলা সদরস্থ সবচে’ বড় হাসপাতালের শীর্ষ পদে দায়িত্বপালনের সুযোগ পেতে যাচ্ছেন।
|আরো খবর
ডাঃ একেএম মাহবুবুর রহমান রোগীবান্ধব একজন ক্লিন ইমেজের চিকিৎসক হিসেবে বহুল পরিচিত। তিনি মতলব (দঃ) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে উক্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়নে অভূতপূর্ব দক্ষতা প্রদর্শন করেন। যার সুফলস্বরূপ তিনি এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিকে সারাদেশের উপজেলা পর্যায়ে অন্যতম সেরা হাসপাতালের অভিধায় অভিষিক্ত করেন। তিনি মতলবে দায়িত্ব পালনকালে চাঁদপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান তথা সিভিল সার্জন পদে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে একাধিকবার দায়িত্ব পালনের সুযোগ পান।
ডাঃ মাহবুব আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সেবামূলক সংগঠন রোটারী ইন্টারন্যাশনালে যোগদান করে মতলব রোটারী ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রোটারীর ‘সেবা স্বার্থের ঊর্ধ্বে’ এই মূলমন্ত্রে বিশ্বাসী। আমাদের বিশ্বাস, তিনি ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক পদে যোগদান করে নানা সঙ্কট ও সীমাবদ্ধতার মধ্যেও এ হাসপাতালটিতে বিদ্যমান অনিয়ম দূরীকরণে আন্তরিক প্রয়াস চালাবেন। তিনি চাঁদপুর পৌরসভার মেয়রের নেতৃত্বে উক্ত হাসপাতাল পরিচালনায় গঠিত কমিউনিটি সাপোর্ট কমিটিকে পুনরুজ্জীবিত করবেন এবং স্থানীয় এমপিসহ অন্যান্য যাদের সহযোগিতা প্রয়োজন তাদের সহযোগিতা নিয়ে হাসপাতালটিকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যাবেন-এটাই আমরাসহ সচেতন অন্য সকলের হার্দিক প্রত্যাশা।