বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুরে রাজনৈতিক মামলায় আসামীদের আটক অভিযান অব্যাহত। যুবলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫ নেতা-কর্মী আটক
  •   ছেঁড়া তারে প্রাণ গেল যুবকের
  •   চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
  •   রাজধানীতে কচুয়ার কৃতী সন্তানদের সংবর্ধনা
  •   সম্প্রীতির চমৎকার নিদর্শন আমাদের বাংলাদেশ --------------জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকায় গুলিবিদ্ধ আকবরের পাশে পুলিশ

অনলাইন ডেস্ক
গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকায় গুলিবিদ্ধ আকবরের পাশে পুলিশ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার সাথে পুলিশের সংঘর্ষের সময় বিপরীত দিক থেকে ছোড়া গুলিতে বুক, হাত, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছররা গুলিবিদ্ধ হওয়া সিলেট মদন মোহন সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আকবর হোসেন অবশেষে উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছেন। দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে অর্থাভাবে আকবরের চিকিৎসা বঞ্চিত হওয়া সংক্রান্ত সংবাদ দেখে এগিয়ে আসেন চাঁদপুরের নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুর রকিব। তাঁর নির্দেশে ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে চাঁদপুর পুলিশ লাইনের একটি অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্যে আকবরকে নিয়ে যাওয়া হয়। ফরিদগঞ্জ থানার ওসি হানিফ সরকার জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ আকবর হোসেনের চিকিৎসাহীনতার সংবাদ চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুর রকিবের নজরে আসে। তাঁর নির্দেশে আমিসহ থানা পুলিশ আকবরের বাড়িতে গিয়ে তার বিষয়ে খবরাখবর নিয়ে চিকিৎসার বিষয়টি নিশ্চিত করি। পরে ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে চাঁদপুর পুলিশ লাইনের একটি অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্যে আকবর হোসেনকে পাঠানো হয়।

আকবর হোসেনের মা ফেরদৌসী বেগম জানান, পুলিশ আমাদের বাড়িতে গিয়ে আকবরের চিকিৎসার খোঁজখবর নেয়। শনিবার সকালে আমাদের ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে আসতে বলেন। এসপি ও ওসির সহায়তায় আমার ছেলের উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকা যাচ্ছি।আকবর হোসেন জানান, আন্দোলনে পুলিশ গুলি করলেও আজ পুলিশই আমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকা রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে পাঠাচ্ছে। গত ৪ আগস্ট পুলিশের ছোড়া ২শতাধিক ছররা বুলেট তার শরীরে ছিলো। সিলেটে ও চাঁদপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে দেড় শতাধিক বুলেট শরীর থেকে বের করা হলেও এখনও অনেক বুলেট রয়েছে। এ কারণে সে বারংবার অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

উল্লেখ্য, ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের দায়চারা গ্রামের দিনমজুর প্রতিবন্ধী রওশন আলী ও ফেরদৌসী বেগম দম্পতির ছেলে হচ্ছে আকবর। ৪ আগস্ট আহত অবস্থায় আকবরকে সিলেট সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্যে বলা হলেও অর্থাভাবে চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হয়। গত একমাস ধরে গুলির ক্ষত নিয়ে বাড়িতে বিছানায় পড়ে থাকলেও পঙ্গু বাবা ছেলের চিকিৎসা না করাতে পেরে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন।

গুলিবিদ্ধ আকবর হোসেনের বাবার হতাশাকে ফরিদগঞ্জের গণমাধ্যমকর্মীরা সংবাদের সময়োচিত উপজীব্য হিসেবে বেছে নেন। আর তাতেই হয়ে গেলো অনেক বড়ো কাজ। বস্তুত গণমাধ্যমকর্মীদের এই দায়িত্বশীল ভূমিকার কারণে অবশেষে আকবরের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলো পুলিশ। এতে নিশ্চয়ই সুস্থ হবে আকবর। সে আবার তার সহপাঠীদের কাছে গাজী হিসেবে ফিরে যেতে পারবে এবং তার ত্যাগ ও কষ্টকে দৃষ্টান্ত হিসেবে উপস্থাপন করতে পারবে। আমরা আকবরকে নিয়ে ফরিদগঞ্জের গণমাধ্যমকর্মীদের সংবেদনশীলতা এবং সংবাদ পরিবেশনের দায়িত্ববোধকে খুবই সময়োপযোগী বলে মনে করছি। এজন্যে তাদেরকে শুধু ধন্যবাদ নয়, পুরস্কার প্রদানের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়