মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মিশরে ঈদে মিলাদুন্নবীর ঐতিহ্য ‘আরুসাত-আল-মোলিদ’ : জন্মদিনের পুতুল
  •   'বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনার রাজনৈতিক শক্তির বিকাশ অপরিহার্য'
  •   চাঁদপুরের ২৪তম পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব
  •   ফরিদগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে শোভাযাত্রা
  •   ওয়াইফাই সংযোগ দিতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের

প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

তারপরও সতর্ক না হলে দশ ফোঁড়ই লাগবে--

অনলাইন ডেস্ক
তারপরও সতর্ক না হলে দশ ফোঁড়ই লাগবে--

‘চাঁদপুর কণ্ঠে সংবাদ প্রকাশের পরও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের ॥ মাছের খামারে ধসে পড়ছে আঞ্চলিক মহাসড়ক ॥ যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড়ো ধরনের দুর্ঘটনা’--এটি গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠের অন্যতম শীর্ষ সংবাদ ছিলো। সংবাদটিতে শামীম হাসান লিখেছেন, আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে গড়ে তোলা মাছের খামারেই ধসে পড়েছে চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের একাংশ। গত ক'দিনের অব্যাহত ভারী বর্ষণে ফরিদগঞ্জ পৌরসভার চরকুমিরায় (ফরিদগঞ্জ সেতু এলাকায়) সড়ক ধসের এ ঘটনা ঘটে। জরুরি সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে মহাসড়কের এক অংশ মাছের খামারে পুরোপুরি বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এমনটি ঘটলে খুলনা, যশোরসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলোর সাথে চট্টগ্রামসহ দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলোর যোগাযোগ ব্যাহত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২০২৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের শেষ পৃষ্ঠায় ‘ফরিদগঞ্জ মাছের খামার গিলে খাচ্ছে মহাসড়ক’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। মুনাফালোভী মৎস্য খামারিরা মহাসড়কের সুরক্ষায় কোনো ব্যবস্থাগ্রহণ না করায় সড়কের পাশে থাকা গাছ, সুরক্ষা পিলার ও শোল্ডার (ফুটপাত) মাছের খামারে বিলীন হওয়ার তথ্য ওই সংবাদে প্রকাশ করা হয়েছিলো। আঞ্চলিক মহাসড়কের সুরক্ষা নিশ্চিত না করে খামার ইজারার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করার জন্যে দাবির কথাও তুল ধরা হয় সে সংবাদে। তা সত্ত্বেও আঞ্চলিক মহাসড়কের সুরক্ষায় সরকারের দায়িত্বশীল মহল কিংবা খামার কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

আমাদের বিশ্বাস, উপরোল্লিখিত সংবাদটি এবার সড়ক ও জনপথ (সওজ)-এর আওতাধীন চাঁদপুর সড়ক বিভাগের অবশ্যই নজর কাড়বে এবং তারা দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। তবে আট মাস আগে শুষ্ক মৌসুমে পূর্বের সংবাদটি দেখে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিলে সেটি সময়ের এক ফোঁড়ের মতোই কাজে লাগতো, যাতে ব্যয় হতো অনেক কম। কিন্তু চলমান বর্ষা/বন্যা মৌসুমে সড়কটি মাছের খামারের গ্রাস থেকে রক্ষা করতে গেলে সময় ও অর্থ বেশি লাগবে। আর এই সময়েও যদি কাজ করতে গড়িমসি করা হয়, তাহলে সড়কের বিরাট অংশ মাছের খামারে ধসে বড়ো দুর্ঘটনার জন্ম যেমন দেবে, তেমনি গণমাধ্যমের বড়ো ধরনের খবরের উপজীব্যে পরিণত হবে। আর সড়ক মেরামতে অসময়ের দশ ফোঁড়ের চাইতেও বেশি অর্থ ও সময় ব্যয় হবে। এজন্যেই প্রবাদে আছে, সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়। ইংরেজিতে যেটি হচ্ছে 'এ স্টিচ ইনটাইম সেভস্ নাইন'। কথা হলো, এ চিরন্তন সত্যটি জেনেও অনেকেই ইচ্ছাকৃত/ অনিচ্ছাকৃতভাবে, কখনো অবজ্ঞা, কখনো উদাসীনতা, আবার কখনো সচেতনতার সাথে উদ্দেশ্যমূলকভাবেই অল্পতে ক্ষত সারতে বা সারাতে চায় না, কিংবা মেরামত করতে বা করাতে চায় না। নিশ্চয়ই লাভালাভের প্রশ্ন তাতে নিহিত থেকে যায়--এটাই ওপেন সিক্রেট বিষয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়