বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে 'আল্লাহু চত্বর'
  •   চাঁদপুর কণ্ঠৈর কলামিস্ট এএসএম শফিকুর রহমানের ইন্তেকাল
  •   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী
  •   জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
  •   মেঘনায় নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

দেশের ক্রান্তিকালে শিক্ষার্থীদের যতো ভালো কাজ!

অনলাইন ডেস্ক
দেশের ক্রান্তিকালে শিক্ষার্থীদের যতো ভালো কাজ!

কোটা সংস্কারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিণতিতে গত ৫ আগস্ট ২০২৪ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে দেশ ছাড়ার পর একদিকে চলে বিজয়োল্লাস, অন্যদিকে পুলিশ, থানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আওয়ামী লীগের অফিস, কিছু নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের বাসাবাড়িসহ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় চলে সুযোগসন্ধানী ও দুর্বৃত্তদের হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ। এর ফলে রংপুরের আবু সাঈদ সহ শত শত শিক্ষার্থীর প্রাণ বলিদানের মধ্য দিয়ে অর্জিত বিজয় বা সাফল্য কিছুটা হলেও ম্লান হয়। কিন্তু এই ম্লানিমা কিছুতেই মানতে রাজি নয় তারা। সেজন্যে একমাস পাঁচদিনের আন্দোলন শেষেও ওরা অক্লান্ত, নির্ঘুম ও নিরলস। তারা লুটপাট হওয়া মালামালের যতোটুকু সম্ভব উদ্ধারে চালাচ্ছে আন্তরিক প্রয়াস, আগুনের ধ্বংসচিহ্ন, সড়কসমূহের ক্ষতচিহ্ন সহ নানা জঞ্জাল পরিষ্কারে হচ্ছে গলদঘর্ম। পুলিশের কর্মবিরতিতে আইনশৃঙ্খলার অবনতিতে রাত জেগে চোর-ডাকাতের উপদ্রব প্রতিহত করছে, আর সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্নদের আক্রমণ থেকে হিন্দুদের বাড়িঘর ও মন্দির রক্ষায় কাজ করছে। এতে সাধারণ মানুষও তাদের প্রতি বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে।

পুলিশের উল্লেখযোগ্য অংশ হচ্ছে ট্রাফিক বিভাগ। পুলিশের কর্মবিরতিতে সড়কে নেই ট্রাফিক বিভাগের লোকজন। এমতাবস্থায় ছাত্ররাই কেবল নয়, ছাত্রীরাও সড়কসমূহে ট্রাফিক পুলিশের ন্যায় দায়িত্বপালন করছে। অসাধু কিছু ট্রাফিক পুলিশের কবলে পড়ে অতীতে যানবাহন চালকরা হয়রানির শিকার হলেও, বর্তমান সময়ে চালকরা তা থেকে রক্ষা পাওয়ায় যানবাহন চলছে সাবলীল গতিতে। যার ফলে অতীতের অন্য সকল সময়ের তুলনায় রাজধানী সহ বড়ো-ছোট সকল শহরে যানজট কমেছে। এদের পাশে আগ্রহী অনেক যুবক, স্কাউট ও রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরাও স্বেচ্ছাশ্রম দিতে এগিয়ে আসায় সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ খুবই সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে বলে সাধারণ মানুষ অনেক খুশি।

শহীদ মিনার ও ভাস্কর্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ এবং সড়ক ও দেয়ালে রংয়ের বাহারে গ্রাফিতি অঙ্কনের কাজও করে চলছে শিক্ষার্থীরা। শুধু কি তা-ই? তারা তাদের প্রিয় শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ সুন্দর করার কাজেও দিয়েছে হাত। এজন্যে তারা ফটকে লাগাচ্ছে নোটিস, ছাত্র রাজনীতির নামে নোংরামি বাদ দেয়ার এবং স্বৈরাচারী, তল্পিবাহক ও দুর্নীতিবাজ প্রতিষ্ঠান প্রধানকে অপসারণের দাবিতে নিচ্ছে কঠিন পদক্ষেপ। এজন্যে শিক্ষকদের সাথে করে চলছে মতবিনিময়।

দেশের ক্রান্তিকালে সচেতন ও দেশপ্রেমিক শিক্ষার্থীদের এতসব ভালো কাজ দেখে কার না ভালো লাগে। এই ভালো কাজগুলো দিনবদলের ইতিহাস লেখা হলে নিশ্চয়ই তাতে পাবে উজ্জ্বল স্থান। আমরা প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদেরকে শিক্ষার্থীদের ভালো কাজে প্রণোদনা দেয়া এবং অনাগত দিনে এসবকে দৃষ্টান্ত হিসেবে উত্তরসূরিদের কাছে উপস্থাপনের অনুরোধ জানাচ্ছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়