সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০২১, ০০:০০

চাঁদপুরবাসী এ কলঙ্ক থেকে মুক্তি চায়
অনলাইন ডেস্ক

আজ ১৫ আগস্ট। বাংলাদেশের ইতিহাসে জঘন্যতম কালো অধ্যায় রচনার দিন। আজ থেকে ৪৬বছর আগে ১৯৭৫ সালের এইদিনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজধানী ঢাকায় তাঁর নিজ বাসভবনে সপরিবারে শাহাদাতবরণ করেন। ওইদিন স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের ষড়যন্ত্রের ক্রীড়নক হিসেবে ব্যবহৃত এক ডজনেরও বেশি বিপথগামী উচ্চাভিলাষী সামরিক কর্মকর্তাদের হাতে সংঘটিত হয় বিশ্ব-ইতিহাসের সবচে’ জঘন্যতম রাষ্ট্রনায়ক হত্যাকা-। এই হত্যাকা- সম্পন্ন করতে গিয়ে এই খুনিরা শুধু রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি, হত্যা করেছে তাঁর শিশুপুত্র রাসেলসহ ধানমন্ডীর ৩২ নম্বর বাড়িতে অবস্থানকারী পরিবারের অন্য সকল সদস্যকে, এমনকি রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বসবাসকারী বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনকেও। অথচ নিন্দিত, ঘৃণিত এসব খুনিকে শাস্তি এড়াবার সুযোগ প্রদানে ১ মাস ১১দিনের মাথায় অর্থাৎ ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) অধ্যাদেশ জারি করেন। পরবর্তীতে এদেরকে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের দূতাবাসে চাকুরি দিয়ে পুনর্বাসিত তথা পুরস্কৃত করা হয়।

১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর ২ অক্টোবর ধানমন্ডী থানায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করা হয়। ১২ নভেম্বর জাতীয় সংসদে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ সুগম করা হয়। এ বিচারের চূড়ান্ত রায় পেতে অপেক্ষা করতে হয় ১৩ বছর ১মাস ১৭ দিন অর্থাৎ ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত। ২০১০ সালের ২জানুয়ারি আপীল বিভাগে আসামীদের রিভিউ পিটিশন দাখিল এবং ২৭ জানুয়ারি খারিজ হলে ওইদিন মধ্যরাতের পর ২৮ জানুয়ারি ১২ খুনির মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়। এদের মধ্যে একজন বিদেশে পলাতক অবস্থায় মারা যায় এবং বাকি ছয়জন বিদেশে পলাতক। পলাতকদের একজনকে ধরে ২০২০ সালের ১২এপিল ফাঁসি কার্যকর করা হয়। বিদেশে পলাতকদের মধ্যে একজন হচ্ছে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী লেঃ কর্নেল (বরখাস্ত) এএম রাশেদ চৌধুরী, যে কিনা চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার এক কুলাঙ্গার এবং এজন্যে জেলাবাসী বিব্রত। জেলাবাসী এ খুনির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের মধ্য দিয়ে নিজেদেরকে কলঙ্কমুক্ত করতে চায়।

বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছে। তার মৃত্যুদণ্ড ঘোষিত হবার পর সরকার হাজীগঞ্জে তার ১.১৫ একর জমি জব্দ করে। যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচটি শহরে পর্যায়ক্রমে তার বসবাস। তাকে দেশে ফেরত এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সাথে বার বার যোগাযোগ করে আসছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ হাতে এ সংক্রান্ত চিঠির ফাইল যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে হস্তান্তর করেন। সেমতে রাশেদ চৌধুরীর রাজনৈতিক আশ্রয়ের বিষয়টি পুনরায় আইনগত পর্যালোচনার আওতায় আনা হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, এ পর্যালোচনায় শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সরকার খুনি রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশ সরকারের হাতে তুলে দেবে এবং তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে। এর মধ্য দিয়ে দেশ তো বটেই, চাঁদপুর জেলাবাসী কলঙ্কমুক্ত হবে বলে আমরা মনে করি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়