সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২১, ০০:০০

জলাবদ্ধতা নিরসনে সোচ্চার হতে হবে সময় মতো

জলাবদ্ধতা নিরসনে সোচ্চার হতে হবে সময় মতো
অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশের প্রখ্যাত পানি সম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত চাঁদপুরে সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট (সিএফএসডি) আয়োজিত এক কর্মশালায় চাঁদপুর এসে অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে মাঠ পর্যায়ে (ফিল্ড ট্রিপে) গিয়েছিলেন মতলব উত্তরের মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, উন্নয়নের প্রশ্নে এ সেচ প্রকল্পটি যথার্থ হয়নি। কারণ, মধ্যভাগ উঁচু এমন জায়গা নিয়ে সেচ প্রকল্প করলে সেটি সমস্যার আবর্ত থেকে সাধারণত বেরিয়ে আসতে পারে না।

ড. আইনুন নিশাতের বক্তব্যে উক্ত সেচ প্রকল্পের অভ্যন্তরীণ সমস্যার বিষয়টি আন্দাজ করা গেলেও বাইরের সমস্যা কিন্তু কম প্রকট নয়। এই প্রকল্পের বেড়িবাঁধ মেঘনা তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে বলা যায় সারাবছরই ভাঙ্গন আতঙ্কে বিপন্ন অবস্থায় থাকে। এতে সেচ প্রকল্পবাসীর উৎকণ্ঠায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষকে বেড়িবাঁধের ভাঙ্গন রোধে এতোটা ব্যস্ত থাকতে হয় যে, তারা অভ্যন্তরীণ সমস্যা বিশেষ করে জলাবদ্ধতাসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে যেনো নাক গলানোর সময়ই পায় না। বছরের যে কোনো সময় অতিবৃষ্টি হলেই এ সেচ প্রকল্পের অভ্যন্তরে সৃষ্টি হয় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। যে জলাবদ্ধতা নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় একের পর এক প্রতিবেদন। পাম্প হাউসের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের প্রয়াসেও এই জলাবদ্ধতা দ্রুত নিরসন হয় না। কারণ, পানি দ্রুত নেমে যাবার খালগুলো ভরাট ও দখল হয়ে আছে। খননের মাধ্যমে খালগুলোর গভীরতা বাড়ানো এবং দখলকৃত জায়গা পুনরুদ্ধারে কঠোর প্রয়াস নেই দীর্ঘদিন যাবৎ। এর ফলে খালগুলোতে পানি চলাচল বন্ধ হওয়ায় তথা পানি ধারণ ক্ষমতা পুরোপুরি হারিয়ে যাওয়ায় কার্যত খালগুলো অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে। এর অনিবার্য পরিণাম হচ্ছে জলাবদ্ধতা। ­

চাঁদপুর কণ্ঠে গত রোববার ও সোমবার দুটি সচিত্র প্রতিবেদনের শিরোনাম হয়েছে এমন-‘মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে মারাত্মক জলাবদ্ধতা : তলিয়ে গেছে ফসলি জমি, বাড়ি ও মৎস্য খামার’ এবং ‘আপনারা বহুত লেখছেন, এবার স্যারগো একটু কন’। দ্বিতীয় প্রতিবেদনে ছেঙ্গারচর বাজারের একটি বন্ধ খালের ছবি ছাপা হয়েছে, যে ছবিটি এর আগেও বহুবার ছাপা হয়েছে। বছরের পর বছর যাচ্ছে, ভরাট ও দখলকৃত এ খালটি খনন, পুনরুদ্ধার ও সচল করার পদক্ষেপ কোনো জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও পাউবো কর্তৃপক্ষ নেয়নি। সত্যি কথা বলতে কি, সাহস (!) দেখায় নি।

মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের জলাবদ্ধতা নিরসনে দলমত নির্বিশেষে মতলব উত্তরের সর্বস্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই বলে আমরা মনে করি। শৃঙ্খলার সাথে শান্তিপূর্ণ উপায়ে মানববন্ধন, স্মারকলিপি পেশ, সংবাদ সম্মেলন ইত্যাদি করে তীব্র জনমত গড়ে তুলতে হবে সময় মতো। স্মর্তব্য, চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ কাঁচা সড়ক পাকাকরণ, হাইমচরে মেঘনার ব্যাপক ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণের কাজ এ দুটি উপজেলাবাসীর ধারাবাহিক আন্দোলনের ফসল হিসেবেই হয়েছে। অতএব মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ এলাকাবাসীকে যে আন্দোলন করেই আদায় করে নিতে হবে-সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। কাউকে না কাউকে এ আন্দোলনের উদ্যোগ নিতেই হবে বলে আমরা মনে করি।  

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়