প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০

দেশের অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগকে সংক্ষিপ্তকরণ প্রক্রিয়ায় চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর ও মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়ার মধ্যে বিদ্যমান সড়কে ‘মতলব উত্তর সেতু’ বাস্তবায়নের বিষয়টি এখন স্বপ্ন থেকে সত্যের পর্যায়ে রয়েছে। মতলব উত্তরের কৃতী সন্তান পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলমের উপস্থিতিতে এই সেতু বাস্তবায়ন উপলক্ষে স্টেক হোল্ডারদের সাথে মিটিংয়ের পর গত ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়নে এক মতবিনিময় সভা। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ হচ্ছে এই সভাটির আয়োজক।
মতলব উত্তর উপজেলাধীন সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন পরিষদ সভাকক্ষে আয়োজিত উক্ত সভার সভাপ্রধান ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান জোবায়ের আজিম পাঠান স্বপন। সভায় অনেক বড় মাপের পরিবেশ বিশেষজ্ঞগণের উপস্থিতি ছিলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এঁরা হচ্ছেন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের মাস্টারপ্ল্যান আন্তর্জাতিক পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ড. সমর কুমার ব্যানার্জী ও জাতীয় পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ড. মোঃ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। এঁরা সেতুটি নির্মাণে সম্ভাব্য পরিবেশ প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত বিষয় তুলে ধরেন এবং এই প্রতিক্রিয়া মোকাবেলায় করণীয় দিক সমূহ সম্পর্কে মতবিনিময় করেন।
যে কোনো বড় ধরনের উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও সম্পাদনের পূর্বে স্টেক হোল্ডারদের সাথে সভা এবং পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়নের মতবিনিময় সভা আয়োজন অনিবার্য দুটি দিক। কিন্তু এ সভাগুলোকে আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে ঘটা করে আয়োজন করা হয় না সাধারণত। এক্ষেত্রে যা করা হয় তা অনেকটা নামকাওয়াস্তেই করা হয়। কিন্তু ‘মতলব উত্তর সেতু’ বাস্তবায়নে এ সভাগুলো খুবই গুরুত্ব দিয়ে আয়োজন করা হয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে ভালো দিক।
সত্যি কথা বলতে কি, আমাদের দেশে অনেক উন্নয়ন সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্যে ভাবাবেগ তাড়িত হয়ে দ্রুত সম্পাদন করা হয়। যাতে প্রাক মূল্যায়নকে ধর্তব্য বিষয় বলে গণ্য করা হয় না। ফলে পরিবেশগত ও সামাজিক বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতে হয়। এই বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় কিছু উন্নয়ন টেকসই রূপ পরিগ্রহ করতে পারে না। সেজন্যে যে কোনো উন্নয়নের ক্ষেত্রেই সামাজিক প্রতিক্রিয়া ও পরিবেশ প্রতিক্রিয়া যাচাইয়ে প্রাক মূল্যায়ন অতীব জরুরি। ‘মতলব উত্তর সেতু’ বাস্তবায়নে এই প্রাক মূল্যায়ন দুটি সভার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি।