সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০

কাজী মাহাবুবকে অভিনন্দন
অনলাইন ডেস্ক

বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করে সকলেই কোনো না কোনো জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। এঁদের কেউ সিনিয়র হলেই নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি), এসি (ল্যান্ড) কিংবা অন্য কোনো দায়িত্বপালনের সুযোগ পান। তারপর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব পালন শেষে উপ-সচিব হন এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আওতায় পদায়ন হয়। এঁদের মধ্যে স্বল্পসংখ্যই উপ-সচিব পদমর্যাদায় হতে পারেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ডিএম)। ডিসি ও ডিএম হওয়া উপ-সচিবগণ অবশ্যই বিশেষ যোগ্যতাসম্পন্ন ও সৌভাগ্যবান। এমনই একজন হচ্ছেন চাঁদপুর জেলার কৃতী সন্তান কাজী মাহবুবুল আলম, যিনি গত ৪ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিজ জেলা গোপালগঞ্জে জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেছেন।

২০০৫ সালে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ২৪তম ব্যাচে কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের পর গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক পদে যোগদানের পূর্ব পর্যন্ত বর্ণাঢ্য তাঁর চাকুরি জীবন। তিনি নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ২০১০ সালে এনডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগের তিনটি উপজেলায় ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী অফিসার) হিসেবে সুনামের সাথে এবং শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় দিয়ে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সালে নোয়াখালীতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি)-এর দায়িত্বপালনের পরবর্তী বছর ২০১৮ সালে উপ-সচিব হিসেবে পদোন্নতি পান এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে যোগদান করেন। ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটিতে এবং তারপর গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক পদে যোগদানের পূর্ব পর্যন্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব হিসেবে কর্মরত র্ছিলেন। এরই মধ্যে তিনি প্রধানমন্ত্রীর ১০টি উদ্যোগের বিষয়ে থিম সং রচনা এবং বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃক সম্পাদিত বাংলা ও ইংরেজিতে প্রকাশিত দুটি স্মারকগ্রন্থের সহকারী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বপালনের সুযোগ গ্রহণ করেন।

কাজী মাহবুব যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান হিসেবে পুরো শিক্ষাজীবন ও চাকুরিজীবনে তাঁর মেধার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর পিতা কাজী বজলুল হক ১৯৯৮ সালে দেশশ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক পুরস্কৃত একজন সর্বজনশ্রদ্ধেয় শিক্ষাবিদ, যিনি হাজীগঞ্জ পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজে দীর্ঘদিন প্রধান শিক্ষক ও পরবর্তীকালে অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত থাকাবস্থায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। ১৯৭৫ সালের ২ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণকারী কাজী মাহবুবুল আলম ১৯৯০ সালের এসএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে সম্মিলিত মেধা তালিকায় চতুর্থ এবং ১৯৯২ সালে একই শিক্ষাবোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগের মেধা তালিকায় প্রথম হন। তাঁর মেজো ভাই ডাঃ কাজী মোস্তফা সারোয়ার অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করেন এবং একমাত্র বোন তানজিয়া ফেরদৌস সরকারি বিজ্ঞান কলেজ, ঢাকা-এর ভাইস প্রিন্সিপাল পদে কর্মরত আছেন।

কাজী মাহবুবুল আলম তাঁর পিতার জীবদ্দশাতে পিতার অভিপ্রায় অনুযায়ী বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করে যেভাবে পেশাগত ক্যারিয়ার গড়ে মাত্র ১৭ বছরের ব্যবধানে জেলা প্রশাসক হবার যোগ্যতা প্রদর্শন করলেন, সেটি বিরলদৃষ্ট। অসাধারণ মেধাবী, নিরলস ও কর্মনিষ্ঠ হবার কারণে যে তিনি নির্বিঘেœ এগিয়ে চলছেন-সেটা বলাই বাহুল্য। তাঁর চাকুরি জীবনের যে দীর্ঘ সময় সামনে রয়েছে, তাতে তিনি পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় কমিশনার, সচিব, সিনিয়র সচিব হওয়াটা খুব কষ্টকর হবে বলে আমরা মনে করি না। এজন্যে তাঁর সততা, স্বচ্ছতা, নিষ্ঠা ও উদ্ভাবনী চিন্তা-চেতনাই হবে অনিবার্য বিষয়। আশা করি এমন অনিবার্যতা রক্ষায় তিনি সক্ষম হবেন। তাঁর জন্যে মহান স্রষ্টার দরবারে থাকলো বিনীত প্রার্থনা এবং আরো থাকলো নিরন্তর শুভ কামনা। তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর নিজ জেলা গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক হবার জন্যে চাঁদপুর জেলাবাসীর পক্ষ থেকে জানাচ্ছি হার্দিক অভিনন্দন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়