প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০
এমন কঠোর পদক্ষেপ যথার্থ
জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে যে মূল্যস্ফীতি, তাতে অসহায়, দরিদ্র, মধ্যবিত্ত মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। এ সময় ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর কার্ড পদ্ধতিতে সাশ্রয়ী মূল্যে বিভিন্ন পণ্য এবং ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) পদ্ধতিতে চাল বিক্রিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি বোধ করছে। কার্ড থাকায় টিসিবি পণ্য নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে অভিযোগ পাওয়া যায় না বললেই চলে। তবে ওএমএসে চাল বিক্রিতে ডিলারদের বিরুদ্ধে চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে এবং দেশের নানা স্থানে প্রায়শই ছোট-বড় অভিযোগ পাওয়া যায়। যেমনটি পাওয়া গেছে মতলব দক্ষিণে।
|আরো খবর
চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, মতলব দক্ষিণ উপজেলার দিঘলদী মাস্টার বাজার এলাকা থেকে গত মঙ্গলবার দুপুরে ৪৫০ কেজি ওএমএসের চাল জব্দ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা হক। তিনি এ ঘটনায় ওএমএসের ডিলার মাহফুজ চৌধুরীর ডিলারশীপ বাতিলের নির্দেশ দেন এবং জব্দকৃত চাল খাদ্য গুদামে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
জানা যায়, ওএমএসের প্রত্যেক ডিলারকে প্রতিদিন ২ হাজার কেজি করে চাল দেয়া হয়। প্রতি ক্রেতাকে ৫ কেজি করে মোট ৪০০ ক্রেতার কাছে প্রতিদিন এ চাল বিক্রির বাধ্যবাধকতা রয়েছে। মাস্টার রোল পদ্ধতিতে ক্রেতাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেখে এই চাল বিক্রির নিয়ম। মতলবের দিঘলদী এলাকার ওএমএস ডিলার মাহফুজ চৌধুরী বিক্রির জন্যে গত রোববার স্থানীয় খাদ্য গুদাম হতে দু হাজার কেজি চাল উত্তোলন করে মাস্টার বাজার এলাকার একটি ঘরে রাখেন। সোমবার তার লোকজন ক্রেতাদের কাছে ১৫৫০ কেজি চাল বিক্রি করেন এবং বাকি ৪৫০ কেজি (১৫ বস্তা) চাল বিক্রি করেন নি। এ ব্যাপারে ওএমএস কমিটিকেও জানান নি। অবিক্রিত চালগুলো একটি ঘরে রেখে আত্মসাৎ করেন। খবর পেয়ে মঙ্গলবার ইউএনও ফাহমিদা হক অভিযান চালিয়ে আত্মসাৎকৃত চাল জব্দ করেন এবং খাদ্য গুদামে পাঠান। সাথে সাথে মাহফুজ চৌধুরীর ওএমএস ডিলারশীপ লাইসেন্স বাতিলেরও ব্যবস্থা করেন।
আমাদের জানা মতে, ওএমএসে চাল বিক্রিতে অধিকাংশ ডিলার কিংবা তার নিয়োজিত লোকজন ক্রেতাদের এনআইডি দেখার নিয়মটা যথাযথভাবে মেনে চলেন না। তারা নিজেদের খেয়াল খুশি মতো এমনকি মুখ চেয়ে এ চাল বিক্রি করেন এবং উদ্বৃত্ত চাল ওএমএস কমিটিকে না জানিয়ে বাড়িতে মূল্যে দোকানদার/চাল ব্যবসায়ী কিংবা পরিচিত জনের কাছে বিক্রি করে দেন। এটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জেনেও না জানার ভান করে এবং কঠোর পদক্ষেপ নিতে চায় না। মতলবের ইউএনও এক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন, যেটি যথার্থ বলে সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। আমরা এজন্যে তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।