শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০

লিগ্যাল এইডের প্রচারণা আরো হোক
অনলাইন ডেস্ক

অতি সম্প্রতি বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ও লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন চাঁদপুর সফরে আসেন। তিনি প্রথমদিন চাঁদপুরে কিছু রুটিন ওয়ার্কে অংশ নেন। পরদিন ছুটে যান হাইমচরে। তিনি সেখানে ‘বিনা বিচারে নিন আইনি সহায়তা, শেখ হাসিনার সরকার দিচ্ছেন এই নিশ্চয়তা’ এমন প্রতিপাদ্য নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে আইনগত সহায়তা কার্যক্রমের বিস্তার ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলা ও ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটি এবং বিচারপ্রার্থী জনসাধারণের অংশগ্রহণে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

তিনি বলেন, ছোটখাট বিষয় নিয়ে আমাদের দেশে যে মামলা-মোকদ্দমা হয়, সেটাতো পারিবারিকভাবে সমাধান করা যায়, প্রতিহত করা যায়। ..........জনগণকে বোঝাতে হবে কোর্ট-আদালত ভালো জায়গা নয়। ........কাজেই আপনারা সচেতন হোন। আসুন না আমরা নিরীহ মানুষজনের জন্যে প্রচার করি। এ প্রচারের জন্যে প্রশাসন যদি দায়িত্ব নেয়, তাহলে আমরা অনেক দূর এগুতে পারবো। তিনি প্রচারের কারণ ও গুরুত্ব তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, এখনো গ্রামাঞ্চলের মানুষ বুঝে না লিগ্যাল এইড কী, লিগ্যাল এইডে কী হয়। লিগ্যাল এইডে পৌঁছতে গিয়েও কিন্তু তাদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। লিগ্যাল এইডে সরকারের টাকা দিয়ে অসহায় জনগণ আইনগত সহযোগিতা পায়-এটা গ্রামাঞ্চলের লোকজন জানে না। তাই আগে লিগ্যাল এইড সম্পর্কে গ্রামাঞ্চলের লোকজনকে সচেতন করতে হবে।

বস্তুত এমন সচেতনতা সৃষ্টিতে ব্যাপক প্রচারের কোনো বিকল্প নেই। সত্যি কথা বলতে কী, লিগ্যাল এইড সম্পর্কে প্রচার হয় সীমিত, তবে ব্যাপক নয়। প্রচারটাকে ব্যাপক করতে নিতে হবে কার্যকর বহুমুখী উদ্যোগ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিল বোর্ড স্থাপন, লিফলেট বিতরণ, পোস্টার লাগানো, জনস্বার্থে গণমাধ্যমে লিগ্যাল এইড সংক্রান্ত তথ্যাবলি যাতে বিনা খরচে প্রচার করা হয় সেজন্যে সম্পাদকগণকে অনুরোধ বা উদ্বুদ্ধ করা।

বলা দরকার, প্রতিটি নাগরিকেরই আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার রয়েছে। কেননা এটি তার অন্যতম মৌলিক অধিকার। বাংলাদেশ সংবিধানের ২৭ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনি আশ্রয় লাভের ক্ষেত্রে সমান অধিকারী। জাতিসংঘের ‘সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্রে’র ৭নং অনুচ্ছেদে কোনো ধরনের বৈষম্য ছাড়া আইনি প্রতিকার পাওয়ার ক্ষেত্রে সমান অধিকারের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। অসহায় ও দরিদ্র নাগরিকদের এই অধিকারকে কার্যকর করতে ২০০০ সালে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন-২০০০’ প্রণীত হয়। এই আইনের আওতায় সরকার জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা প্রতিষ্ঠা এবং এ সংস্থার অধীনে প্রত্যেক জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে আইনগত সহায়তা প্রদান করছে। এই অফিসের অবস্থান জেলা সদরে। একজন সিনিয়র সহকারী জজ বা সহকারী জজ পদমর্যাদার বিচারক লিগ্যাল এইড অফিসার হিসেবে নিযুক্ত। ধনী-গরিব নির্বিশেষে যে কেউ আইনি পরামর্শ পাওয়ার জন্যে সরাসরি লিগ্যাল এইড অফিসারের শরণাপন্ন হতে পারে। কিন্তু ব্যাপক প্রচার ছাড়া এই অফিসারের কার্যক্রমকে সার্থক করার বিকল্প নেই বলে আমরা মনে করি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়