শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪  |   ৩০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২২, ০০:০০

জেলার অন্যতম বিখ্যাত ব্যক্তির জীবনাবসান

জেলার অন্যতম বিখ্যাত ব্যক্তির জীবনাবসান
অনলাইন ডেস্ক

দীর্ঘদিন চাঁদপুর শহরের নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগে গত শুক্রবার রাত প্রায় ৮টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আলহাজ্ব শেখ আব্দুল মান্নান। তিনি নিঃসন্দেহে চাঁদপুর জেলার একজন বিখ্যাত ব্যক্তি। তিনি চাঁদপুর সদর উপজেলার বহুল পরিচিত, বহু বিশিষ্টজনের জন্মস্থান মৈশাদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি এই ইউপিতে ১৯৭৩ সালের ১৪ মার্চ থেকে ১৯৭৭ সালের ১৬ মার্চ প্রথম মেয়াদে, ১৯৮৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৮৮ সালের ৭ জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় মেয়াদে এবং ১৯৮৮ সালের ৮ জুন থেকে ১৯৯২ সালের ২১ এপ্রিল পর্যন্ত তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্বপালন করেন। তিনি স্বীয় অভিজ্ঞতা, কর্মদক্ষতা ও কর্তব্যনিষ্ঠার মাধ্যমে তাঁর ইউনিয়নকে দেশের একটি মডেল ইউনিয়নে পরিণত করে সরকার কর্তৃক দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত হন।

শেখ আব্দুল মান্নান ছিলেন তাঁর পিতা আলহাজ্ব শেখ বজলুর রহমান ওরফে বজু শেখের যোগ্য উত্তরসূরি। তাঁর পিতা ১৯৬৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মৈশাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং তিন মেয়াদে ১২ বছর তিন মাস ২৩ দিন দায়িত্ব পালন করেন প্রভূত সুনাম অর্জন করেন। তিনি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উন্নয়নের রাজনীতিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত জাতীয় পার্টিতে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে চাঁদপুর জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মনোনীত হন এবং কিছুদিন দায়িত্বপালন করেন। তাঁর নিরলস প্রচেষ্টার কারণেই চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথে মৈশাদী অর্থাৎ তাঁর ইউনিয়নের নামে একটি রেল স্টেশন স্থাপিত হয়। উক্ত রেলপথের শুরুর দিকে হাজীগঞ্জ, মেহের ও চিতোষী নামক তিনটি ইউনিয়নের নামে রেল স্টেশন স্থাপনের প্রায় ৮ দশক পর অন্য আরেকটি ইউনিয়নের নামে স্থাপিত রেল স্টেশনটিই হচ্ছে মৈশাদী। এজন্যে মৈশাদী ইউনিয়ন স্বতন্ত্র ও বহুল পরিচিতিতে ঋদ্ধ হবার সুযোগ পায়। রেল স্টেশন স্থাপনের নেপথ্যে ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ আব্দুল মান্নানের বিপুল কর্মযজ্ঞ ও সাফল্য বিরাট প্রভাব ফেলে।

আলহাজ্ব শেখ আব্দুল মান্নান ছিলেন প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক। তিনি তিন মেয়াদে ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে কেবল অবকাঠামোগত উন্নয়ন দিয়েই মৈশাদী ইউনিয়নকে সমৃদ্ধ করেন নি। তিনি শিক্ষা ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করে ইউনিয়নবাসীকে টেকসই অগ্রগতি উপহার দেন। তিনি মৈশাদী ইউনিয়ন ফাউন্ডেশন গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে ইউপি চেয়ারম্যান পদে না থেকেও বহুবিধ সমাজসেবা ও প্রণোদনামূলক কাজ সম্পাদন করেন। তিনি তাঁর সুচিন্তার জন্যে মৈশাদী ইউনিয়নবাসীর হৃদয়ে শ্রদ্ধার আসন অলঙ্কৃত করতে সক্ষম হন। পঁচাশি বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু স্বাভাবিক। সেজন্যে গভীর শোক প্রকাশের চেয়ে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাতের জন্যে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা জানানোই উত্তম। আমরা পরপারে তাঁর জন্যে অনন্ত সুখের জান্নাত কামনা করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়