শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২২, ০০:০০

উৎসবটি কিছুটা ব্যতিক্রম বটে

উৎসবটি কিছুটা ব্যতিক্রম বটে
অনলাইন ডেস্ক

সাধারণত কোনো ক্লাব বা সংগঠন যে কোনো উৎসব সচরাচর আয়োজন করে থাকে। চাঁদপুরে চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠন ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ইলিশ উৎসব পালন করে আসছে। গেলো অগ্রহায়ণে সাহিত্য একাডেমী, চাঁদপুর করেছে নবান্ন উৎসব। একই মাসে বিভিন্ন সংগঠন করেছে পিঠা উৎসব। মে মাসে চাঁদপুর রোটারী ক্লাব করেছে ফল উৎসব। শিল্পকলা একাডেমীসহ সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো করে সাংস্কৃতিক উৎসব। আর নাট্য সংগঠনগুলো করে নাট্যোৎসব। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক মেলার আয়োজন করলেও সাধারণত উৎসব পালন করে না। তবে ১ জানুয়ারি সরকারিভাবে অনুষ্ঠিত হয় বই উৎসব, যে উৎসবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং সমমানের মাদ্রাসাগুলো শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ করতে গিয়ে উৎসবে মেতে উঠে।

চাঁদপুর সরকারি কলেজ একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। এখানে গতানুগতিকভাবে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, আলোচনা সভা ইত্যাদি অনুষ্ঠিত হতে দেখা যায়। তবে উৎসবে তেমন মেতে উঠতে দেখা যায় না। এবার গতানুগতিকতা ভেঙ্গে এই কলেজে কিছুটা ব্যতিক্রমভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে ফল উৎসব-২০২২। এর স্লোগান ছিলো ‘নিজেকে জানুন, দেশকে জানুন’। গত রোববার এ উৎসবে ৪৩ প্রজাতির ফলের সমাহার ঘটানো হয়েছে। বর্তমান প্রজন্ম যেসব ফলের নামই কখনো শোনেনি, সেসব ফল বাস্তবে দেখেছে তারা। বাঙালিয়ানাকে প্রজন্মের সামনে তুলে ধরাটাও ছিলো এ ফল উৎসবের উদ্দেশ্য।

ফল উৎসবটিতে প্রধান অতিথি ছিলেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, মধু মাসে চাঁদপুর সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষের ফল উৎসব আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়। উৎসবে এসে বিভিন্ন প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় ফলের সংগ্রহ দেখলাম। এগুলোর মধ্যে অনেক ফল আমরা খেয়েছি, আবার অনেক ফল খাওয়ার সুযোগও হয়নি। কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ বলেন, আজকের এ ফল উৎসব আয়োজনের লক্ষ্য হচ্ছে নতুন প্রজন্মকে দেশী ফলের সাথে পরিচিত করা এবং ফলগুলো কীভাবে সংরক্ষণ করতে হয় তা হাতেকলমে শিক্ষা দেয়া।

চাঁদপুর সরকারি কলেজের ফল উৎসবে কলেজের ১৭টি বিভাগের স্টলে ৪৩ প্রজাতির ফল প্রদর্শন করা হয়। এগুলো হচ্ছে : লটকন, দেশী গাব, বিলাতি গাব, কলা, নারিকেল, ডাব, বেতুন, বৈঁচি, বেলুম্ব, কাঠ বাদাম, তালের শাঁস, আনার, ডালিম, জামরুল, ডুমুর, দেশী খেজুর, হরিতকি, আমলকি, বহেরা, আড়বরই, জাম্বুরা, কামরাঙ্গা, বেল, পেঁপে, ডেউয়া, কাউ, নুইন্যা, করমচা, গুটিজাম, তরমুজ, আনারস, ছাগলনাদি, জগডুমুর, আমড়া, বুতিজাম, আম, লিচু, পেয়ারা, কাঁঠাল, জাম, সফেদা, চালতা, তেঁতুল ও লেবু।

আমাদের দেশে গতানুগতিকভাবে যে ফল উৎসব হয়ে থাকে, তাতে জনপ্রিয় ও সুস্বাদু সব ফলের সমাহার ঘটিয়ে কার্যত সেগুলো খাওয়ার আনন্দ উপভোগ করা হয়। চাঁদপুর সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ এ গতানুগতিকতার বাইরে এসে ‘নিজকে জানুন, দেশকে জানুন’ স্লোগানে ৪৩ প্রজাতির ফলের সমাহারে যে উৎসব করেছে, সেটা কিছুটা ব্যতিক্রমই হয়েছে। এই ব্যতিক্রম আয়োজনের পেছনে অধ্যক্ষসহ যাঁদের উদ্ভাবনী চিন্তা-চেতনা কাজ করেছে, তাঁরা অবশ্যই প্রশংসার পাত্র বলেই বিবেচিত হবেন। ভিন্ন আঙ্গিকের এ উৎসব অন্যরাও অনুসরণ করুক-সে প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়