বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০

পুলিশের যে সাফল্যে স্বস্তি লাগে

পুলিশের যে সাফল্যে স্বস্তি লাগে
অনলাইন ডেস্ক

চাঁদপুর জেলায় সাম্প্রতিক সময়ে যেভাবে খুনের ঘটনা বেড়েছে, ক’বছর আগে এমনটি ছিলো না। তখন খুনের রহস্য উন্মোচনে পুলিশের ত্বরিত সাফল্য ছিলো না, যেমনটি বর্তমানে আছে। তাই বলা যায়, খুন বাড়লেও খুনের রহস্য উন্মোচনও বাড়ছে। খুনে শোক সঞ্চার হলেও খুনের রহস্য উন্মোচনে আশার সঞ্চারও হচ্ছে এজন্যে যে, অন্তত খুনিরা রেহাই পাবে না।

অতি সম্প্রতি মতলব উত্তর ও কচুয়ায় সংঘটিত দুটি খুনের রহস্য উন্মোচনে পুলিশের সাফল্য সংক্রান্ত সংবাদ গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে গুরুত্ব সহকারে ছাপা হয়েছে। এতে স্থানীয় জনমনে যে স্বস্তি লেগেছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। পিবিআই, র‌্যাবের চেয়ে পুলিশ যে কম চৌকস নয়, সেটাও প্রমাণিত হলো।

কচুয়া পৌরসভার কোয়া চাঁদপুর গ্রামের হাজী বাড়ির বাসিন্দা ও কচুয়া বাজারের ইকরা ভ্যারাইটিজ স্টোরের মালিক আবুল বাশার (৩৮) গত শনিবার দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে দোকানের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি দোকানে যেতে না পারায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে এবং রাত ১০টায় কচুয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে। মাত্র পাঁচ ঘন্টার মাথায় শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় পুলিশ আবুল বাশারকে যে কচুয়া বিশ্বরোডে ছালেহ মুসার আড়তে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে তার আলামতও উদ্ধার করে। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পরদিন বিকেল ৩টায় দাউদকান্দি উপজেলার রায়পুর গ্রাম থেকে আবুল বাশারের বস্তাবন্দী লাশেরও সন্ধান পায়। আর খুনি ছালেহ মুসাকে আটক করে কুমিল্লা শহরতলী থেকে। চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) সুদীপ্ত রায় চাঁদপুর কণ্ঠকে বলেন, এটি একটি নৃশংস ঘটনা। আবুল বাশার ও কড়ইয়া গ্রামের ছালেহ মুসার (২০)-এর মধ্যে লেনদেন নিয়ে ঝামেলা ছিলো। শনিবার দুপুরের দিকে আবুল বাশারকে ডেকে নিয়ে মুসা তার মাছের আড়তে গলা কেটে খুন করে লাশ দাউদকান্দিতে ফেলে আসে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। এ বিষয়টি জানতে পেরে সোমবার বিক্ষুব্ধ লোকজন হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মিছিল বের করে।

সোমবার মতলব উত্তর থানা পুলিশ সোহেল রানা পাঠান (২৫) নামে এক যুবকের খুনের ঘটনায় তার পরকীয়া প্রেমিকা সুফিয়া বেগম (২৫) ও প্রেমিকার স্বামী মাসুদ পাঠান (৩৩)কে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে। ষাটনল গ্রামের মৃত নুরুল হক পাঠানের ছেলে সোহেল রানা পাঠানের লাশ শনিবার সকালে তার বাবার কবরের পাশের ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ এবং ওইদনি রাতে তার মা রোকেয়া বেগমের দায়েরকৃত হত্যা মামলার তদন্ত শুরু করে। তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, উত্তর ছেঙ্গারচর গ্রাামের আলমগীর হোসেনের মেয়ে সুফিয়া বেগমের সাথে চার বছর পূর্বে ষাটনল গ্রামের হাবিব উল্লাহ পাঠানের ছেলে মাসুদ পাঠানের বিয়ে হয়। তাদের একটি সন্তানও রয়েছে। মাসুদ পাঠান হচ্ছে সোহেল রানা পাঠানের ফুফাতো ভাই। এ ভাইয়ের স্ত্রী সুফিয়ার সাথে সোহেলের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। ১ এপ্রিল শুক্রবার রাতে সোহেলকে ডেকে নেয় সুফিয়া এবং তারপর সোহেল নিখোঁজ হয়। আর শনিবার সকালে পাওয়া যায় সোহেলের লাশ।

কচুয়া ও মতলব উত্তরে যথাক্রমে আবুল বাশার ও সোহেল রানা পাঠানের খুনের ঘটনায় পুলিশ সুপারের নির্দেশে দুজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে সার্কেলে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা ও থানা পুলিশের ওসিসহ অন্যান্য কর্মকর্তা সম্মিলিতভাবে আন্তরিকতার সাথে কাজ করেছেন। যার ফলে খুনের রহস্য উন্মোচনে ত্বরিত সাফল্য এসেছে। এতে জনমনে স্বস্তি বিরাজ করছে। আমরা আইন মোতাবেক খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। আর শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়