সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২১, ০০:০০

দাবিটি যৌক্তিক, মেনে নেয়া হোক
অনলাইন ডেস্ক

বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে কতো কিছুই করা গেলো না, কতো কিছুই করা যাচ্ছে না। অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যৃ, শোক, আতঙ্ক আমাদের অনেক আনন্দ-উচ্ছ্বাসকে ম্লান করে দিয়েছে। ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে ঘোষিত মুজিববর্ষ আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনে উদ্যাপন করা যায়নি। চলতি ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুজিববর্ষকে সম্প্রসারণ করা হলেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সব যেনো তছনছ হয়ে গেছে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর আমরা চলতি ২০২১ সালে স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরপূর্তিতে ব্যাপক আনন্দ আয়োজনে সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করতে চেয়েছিলাম। জাতীয় পর্যায়ে করোনা-ঝুঁকির মধ্যে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের বড় কর্মসূচির আয়োজন করা গেলেও সারাদেশে তেমন কিছুরই আয়োজন করা যায়নি। ১৬ ডিসেম্বরের পূর্বে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে শেষদিকে যদি কিছু করা যায়, সেটার জন্যেই চলছে অপেক্ষা। এমন কঠিন বাস্তবতা ও আশা-নিরাশার দোলাচালে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের পক্ষ থেকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, সুধীজন, প্রবাসীসহ বিভিন্ন জনের ভাবনা-বিষয়ক সাক্ষাৎকার। এ সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে মূল্যবান অনেক তথ্য, অভিমত, স্বপ্ন ও দাবি। এ সাক্ষাৎকারের বাইরেও চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণ, আকাক্সক্ষা ও দাবিও।

কচুয়ার মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন সিকদার তাঁর স্মৃতিচারণে পাকিস্তানি হানাদারদের হাতে সহযোদ্ধা সফিউল্লাহর শাহাদাতবরণের সংক্ষিপ্ত করুণ উপাখ্যান তুলে ধরেছেন। গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠের তৃতীয় পৃষ্ঠায় তাঁর এই স্মৃতিচারণটি ছাপা হয়েছে। তিনি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সফিউল্লাহর অবদান এবং আত্মত্যাগকে মূল্যায়ন করার দাবি জানিয়েছেন।

শহীদ সফিউল্লাহ ছিলেন চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলাধীন ৯নং কড়ইয়া ইউনিয়নের লুন্তি গ্রামের ঐতিহ্যবাহী নোয়াবাড়ির বাসিন্দা। তিনি ছিলেন বন্দর নগরী চট্টগ্রামের একজন হোটেল ব্যবসায়ী। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর অত্যাচারে চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে চলে যান। ৬ ফুট উচ্চতার সুঠাম দেহের অধিকারী সফিউল্লাহর সাহসী ভূমিকার জন্যে সকলে ছিলো তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। সর্বদা মৃত্যুর ঝুঁকি মাথায় নিয়ে সেবামূলক কাজে সফিউল্লাহ বাংলাদেশের ভেতরে বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করতেন। ৬ জুলাই ১৯৭১ রাজাকারদের হাতে তিনি ধরা পড়েন। তাকে তুলে দেয়া হয় পাক বাহিনীর জল্লাদদের হাতে। পৈশাচিক বর্বরোচিত নির্যাতনে তাকে ক্ষতবিক্ষত করে চাঁদপুর বড়স্টেশন টর্চার সেলে নিয়ে বস্তাবন্দী করে মেঘনা নদীতে ফেলে দেয়া হয়।

স্বাধীনতার ৫০ বছর চলাকালে মুক্তিযুদ্ধে কচুয়ার সফিউল্লার অবদানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আনোয়ার হোসেন সিকদার। তিনি যথার্থ কাজটিই করেছেন বলে মন করি। তিনি সফিউল্লাহর স্মরণে একটি রাস্তার নামকরণের দাবি জানিয়েছেন। তাঁর এই দাবিটি পূরণের জন্যে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ আগ্রহী সকলকে সোচ্চার হবার সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি। 

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়