শনিবার, ০২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুরে রাজনৈতিক মামলায় আসামীদের আটক অভিযান অব্যাহত। যুবলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫ নেতা-কর্মী আটক
  •   ছেঁড়া তারে প্রাণ গেল যুবকের
  •   চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
  •   রাজধানীতে কচুয়ার কৃতী সন্তানদের সংবর্ধনা
  •   সম্প্রীতির চমৎকার নিদর্শন আমাদের বাংলাদেশ --------------জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০

চাঁদপুর সম্পর্কে পিআইবি মহাপরিচালকের মন্তব্য

চাঁদপুর সম্পর্কে পিআইবি মহাপরিচালকের মন্তব্য
অনলাইন ডেস্ক

তাঁর নাম আলী ওয়াজেদ জাফর। তাঁর লেখক নাম জাফর ওয়াজেদ। তিনি দেশের একজন প্রখ্যাত সাংবাদিক ও কবি। তিনি ২০২০ সালে সাংবাদিকতায় পেয়েছেন একুশে পদক। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি)-এর মহাপরিচালক হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে কর্মরত। তিনি কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলাধীন মহিচাইল ইউনিয়নের জোড়পুকুরিয়া গ্রামের মোঃ ইছমত আলী ও মোসাম্মৎ রোকেয়া বেগম দম্পতির ষষ্ঠ সন্তান। তিনি বাংলা সাহিত্যে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও ১৯৮৩ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি এ বিশ^বিদ্যালয়ে পড়াবস্থায় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)-এর সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

শিক্ষাজীবন শেষ করেই জাফর ওয়াজেদ সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। তিনি বাংলাবাজার পত্রিকা ও দৈনিক মুক্তকণ্ঠের প্রধান প্রতিবেদক, দৈনিক সংবাদের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ও দৈনিক জনকণ্ঠের সহকারী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সাংবাদিকদের সংগঠনে নেতৃত্বও প্রদান করেন। তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার তাঁকে পিআইবির মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন।

একজন পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে পিআইবির মহাপরিচালক পদে অধিষ্ঠিত হয়ে জাফর ওয়াজেদ সারাদেশে কর্মরত সাংবাদিকদের পেশাগত মানোন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। গত দু বছরের করোনাকালে তিনি দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে আর্থিক প্রণোদনা নিয়ে। তিনি অনলাইন, আইপিটিভি, ক্যাবল টিভির দাপটে ইলেকট্রনিক মিডিয়া হিসেবে টিভির দর্শক এবং প্রিন্ট মিডিয়া হিসেবে সংবাদপত্রগুলোর পাঠক সংখ্যা হ্রাসের বিষয়ে শুধু উদ্বিগ্ন নন, উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের বিষয়েও নানা উদ্ভাবনী চিন্তা-চেতনায় নিজেকে ব্যাপৃত রেখেছেন সদা সর্বদাই। তিনি আগামী দিনগুলোতে সাংবাদিকতায় পরিবর্তনের নানান দিক নিয়ে সম্ভাব্য করণীয় সম্পর্কেও প্রতিনিয়ত ভাবছেন। তিনি সাংবাদিকতা বিষয়ে প্রশিক্ষণের প্রয়োজনে গত ক’বছরে সারাদেশে ব্যাপক সফর করেছেন এবং তাঁর পর্যবেক্ষণ-দক্ষতায় বিচিত্র অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।

এ সম্পাদকীয় নিবন্ধে একজন জাফর ওয়াজেদের জীবনী উল্লেখপূর্বক তাঁর স্তুতি করাই আমাদের উদ্দেশ্য নয়। তিনি গত শনিবার চাঁদপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে চাঁদপুর সম্পর্কে তাঁর পর্যবেক্ষণ-দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার আলোকে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে যে মন্তব্য করেছেন, তাতে প্রতিজন চাঁদপুরবাসী আত্মশ্লাঘা বোধ করারই কথা। তিনি বলেন, ইলিশের বাড়ি বলে চাঁদপুরের প্রতি আমার দুর্বলতা বা প্রীতি আছে। এছাড়া সাংবাদিকতা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড রক্ষা করা হয় বলে চাঁদপুরের প্রতি আমার বিশেষ প্রীতি রয়েছে। এখানকার সাংবাদিকরা শুধু সাংবাদিকতাই করেন না, তারা সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চাসহ সামাজিক কাজকর্মেও সক্রিয়ভাবে নিবেদিত, যেমনটি দেশের অন্যত্র বিরল। আমরা শ্রদ্ধেয় জাফর ওয়াজেদের এমন মন্তব্যের অনুকূলে চাঁদপুরের সাংবাদিকদের ইতিবাচক কর্মকা-ের ধারাবাহিকতা প্রত্যাশা করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়