বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

দখলমুক্ত করার অভিযান হোক টেকসই
অনলাইন ডেস্ক

চাঁদপুরে রেলওয়ের জায়গায় অবৈধ দখলের যতো উচ্ছেদ অভিযানই হয়েছে, তার অধিকাংশই টেকসই হয় নি। মশা মারতে কামান দাগানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি করে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েও রেল কর্তৃপক্ষ শতভাগ সাফল্য পায়নি। একদিকে জায়গা দখলমুক্ত করা হয়, কোথাও কোথাও ক’দিন নয়, ক’ ঘন্টার ব্যবধানেই সে জায়গা দখল হয়ে যায়। একই অবস্থা সড়ক ও জনপথ (সওজ)-এরও। রেলওয়ের মতো সওজ ঘন ঘন উচ্ছেদ অভিযান চালাতে পারে না জনবলের অভাবে। সেজন্যে সওজ-এর জায়গায় এমন স্থায়ী স্থাপনা হয়ে যায়, যা ভাঙ্গার জন্যে সাহসের অভাবেও ভুগতে দেখা যায় সওজ-এর কোনো কোনো কর্মকর্তাকে।

চাঁদপুর শহরে ও হাজীগঞ্জ শহরে পৌরসভার উচ্ছেদ অভিযানও শতভাগ সফল হয় না। ফুটপাতে একদিকে উচ্ছেদ চলে, অন্যদিকে পুনর্দখলও চলে। চাঁদপুর শহরের লাইফলাইন হিসেবে পরিচিত কিছু খাল দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ দখলদারিত্বে সঙ্কুচিত হয়ে গেছে এবং পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক/অর্থবহ কারণে এসব খাল দখলমুক্ত করার ফাঁকা আওয়াজে ভয় দেখানোর কোশেশ করে, কিন্তু কাজের কাজ করে না। চাঁদপুর শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ডাকাতিয়া নদীর ফোরশোর ল্যান্ডের কতো জায়গা যে দখল হয়ে আছে, তার সঠিক হিসাবও সম্ভবত বিআইডব্লিউটিএ’র কাছে নেই। আর তাদের দখল উচ্ছেদ অভিযান তো বির‌্যল ঘটনা। কালেভদ্রে হলেও সেটা থমকে যায় কিংবা পুরোপুরি থেমে যায়।

প্রাগুক্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনায় এ কথা বলা অত্যুক্তি হবে না যে, কিছু দখলই কার্যত টেকসই হয়ে যাচ্ছে, উচ্ছেদ অভিযান নয়। কথা হলো, উচ্ছেদ অভিযান কি টেকসই করা যায় না?

গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে ‘শাহরাস্তিতে প্রশাসনের অভিযানে দখলমুক্ত করা হলো খাল’ শীর্ষক সংবাদ থেকে জানা যায়, ২০১২ সালে তৎকালীন শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন উপজেলা সদর হতে নোয়াগাঁও ব্রিজ পর্যন্ত বিদ্যমান খালটি দখলমুক্ত করেন। ২-১ বছর পর আবারো খালটি দখল হয়ে যায়। সম্প্রতি শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদের পুকুরটি সেচ করার সময় পানি প্রবাহিত না হওয়ায় খালটি দখল হবার বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। এরপর ইউএনও’র নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) দখলদারদের খালটি দখলমুক্ত করার আহ্বান জানান। কিন্তু কেউ সে আহ্বানে সাড়া দেয়নি। এমতাবস্থায় গত ১৯ জানুয়ারি দিনব্যাপী খালটি দখলমুক্ত করার অভিযান চালানো হয়। এখন দেখার অপেক্ষা, খালটি পুনর্দখল হয় কবে?

আমাদের মতে, যে কোনো উপায়েই হোক, যে কোনো উচ্ছেদ অভিযানকে টেকসই করার প্রক্রিয়া খুঁজে বের করতেই হবে। লাগাতার উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে সেটা করা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখা দরকার।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়