বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০

ইলিশ ও সরকারি নির্দেশনা

ইলিশ ও সরকারি নির্দেশনা
অনলাইন ডেস্ক

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইলিশের গুরুত্ব বিবেচনায় জেলেদের জীবনমান উন্নয়নে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। ইলিশের উৎপাদন কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত হোক আমরা তা চাই না। জেলে ও জনগণ সচেতন না হলে প্রশাসনের পক্ষে একা ইলিশ রক্ষা সম্ভব নয়। সেজন্যে ইলিশ সম্পদের উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা চাই। ইলিশ রক্ষায় সরকারি নির্দেশনা মেনে চললে দেশে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। সম্প্রতি জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য দপ্তর কর্তৃক চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে জানানো হয়, দেশের জিডিপিতে ইলিশের অবদান এক শতাংশের বেশি। বিশে^ আহরিত মোট ইলিশের ৮০ শতাংশের বেশি বাংলাদেশে পাওয়া যায়, যার পরিমাণ বছরে সাড়ে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন। ইলিশ আহরণের সাথে দেশের পাঁচ লাখ মানুষ সরাসরি এবং ২০ লাখের বেশি মানুষ পরোক্ষভাবে জড়িত। ইলিশের উৎপাদন ২০২৫ সাল নাগাদ ১৬ শতাংশ বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিয়ে সরকার ২শ’ ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের ২৯ জেলার ১৩৪টি উপকূলীয় উপজেলায় ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প গ্রহণ করেছে।

১০ ইঞ্চি বা ২৫ সেন্টিমিটারের কম দৈর্ঘ্যরে যে কিশোর ইলিশ জাটকা নামে পরিচিত, সেটি বছরের কোনো সময় না ধরা, প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা ইলিশ নিধন না করা, মার্চ ও এপ্রিল দু মাস অভয়াশ্রম চলাকালে শিশু ও কিশোর ইলিশ না ধরা হচ্ছে ইলিশ বিষয়ে প্রধান প্রধান সরকারি নির্দেশনা। কথা হলো, এ নির্দেশনা কি জেলেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানছে? এ ব্যাপারে কি সকলে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করছে? এ প্রশ্নের জবাব অধিকাংশটাই নেতিবাচক।

প্রতি বছর অভয়াশ্রম ও প্রজনন মৌসুম চলাকালে নদীতে মাছ ধরায় বিরত থাকতে জেলেদের আগাম সচেতন ও প্রচার করার উদ্যোগ নেয় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তর, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ। কোনো জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মী স্বতঃস্ফূর্তভাবে এমন সচেতন ও প্রচার করার উদ্যোগে সাধারণত এগিয়ে আসেন না। তাদেরকে অনুরোধ করলেই তবে তারা বিচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে আসেন। আর সাধারণ জনগণের সচেতন ক্ষুদ্র একটি অংশ ছাড়া বাকিরা এগিয়ে আসা তো দূরের কথা, বরং অসহযোগিতামূলক মনোভাব প্রদর্শন করেন। এমতাবস্থায় সরকারি প্রশাসনের একার পক্ষে ইলিশ রক্ষার কাজটি সামগ্রিকতার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না।

ইলিশ জাতীয় মাছ এবং স্বাদে গন্ধে আন্তর্জাতিকতায় উত্তীর্ণ। সেজন্যে দেশে যেমন চাহিদা, তেমনি প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ বিশে^র বহু দেশে এর চাহিদা ব্যাপক। এমতাবস্থায় দেশের স্বার্থে সরকারি নির্দেশনা মেনে ইলিশ সম্পদ রক্ষায় দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সাধারণ জনগণ, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে বলে আমরা মনে করি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়