প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২১, ০৯:০৯
প্রবাসী কল্যাণ কার্ড সেবায় জেদ্দা কনস্যুলেট শীর্ষে
প্রবাসীদের বিভিন্ন সেবা সম্বলিত বাংলাদেশ সরকারের চালু করা প্রবাসী কল্যাণ কার্ড বিতরণে অন্যান্য বছরের মতো বিদেশি সবকয়টি দূতাবাস কনস্যুলেট ও মিশন গুলোকে পিছনে ফেলে শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরবের জেদ্দা কনস্যুলেট। মঙ্গলবার প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। সর্বশেষ পরিসংখ্যানে ২৪টি মিশনের মধ্যে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮১৭৮৯ জন প্রবাসীকে এই কর্মসূচির আওতায় এনে মিশনগুলো, এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪১২০৭ জন রয়েছে জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট এর পর রয়েছে রিয়াদ দূতাবাস।
|আরো খবর
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী রিয়াদ দূতাবাস ২১০৭৪ জন, ইটালির মিলান ৪৭৮৯ জন,রোম ৪০২৭ জন, মালদ্বীপ ২৬, অস্ট্রেলিয়া ১৯২, মিশর ১৪৮, গ্রীস ২২৩১, ওমান ১৪২, জেনেভা ৭, দুবাই ৪০৭৯, আবুধাবি ১১২৩, কুয়েত ১৮৩৩, বাহারাইন ১৮০, কাতার ১৮৩, লিবিয়া ১৭, জাপান ১২, স্পেন ১২১, মাওরিটিওস ৩, লেবানন ৯, মালয়েশিয়া ৪৮, সিঙ্গাপুর ৫৮, জর্ডান ১৩৭ এবং ইরাক ১৫০ জনকে এই কর্মসূচির আওতায় আনতে পেরেছে।
২০১৭ সালের জুন মাস থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রম একমাত্র সৌদি আরবের জেদ্দা কনস্যুলেট ছাড়া তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি অন্য কোন দেশের দূতাবাস বা কনস্যুলেট। জেদ্দা, রিয়াদ মিলান,রোম, গ্রীস, দুবাই ছাড়া প্রবাসী কল্যাণ কার্ড নিবন্ধন এর এই চিত্র দেখে অনেকটা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিদের সার্থ বিষয় নিয়ে কাজ করেন প্রবাসী বিভিন্ন কমিউনিটি, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
তারা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিকট দাবি জানান নিস্ক্রিয় যেসব মিশন সে সব মিশনকে জবাব দিহিতার আওতায় এনে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।বহির্বিশ্বে কর্মরত রয়েছেন এক কোটির বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি। এইসব প্রবাসী বাংলাদেশিদের কল্যাণে ২০১৭ সালে নিবন্ধনের আওতায় আনার মাধ্যমে প্রবাসীদের মেধাবী সন্তানদের জন্য প্রতি বছর শিক্ষা বৃত্তির সুবিধা, সন্তানদের বাংলাদেশের সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবাসী কোটায় ভর্তির সুযোগ, বিপদগ্রস্ত প্রবাসী কর্মীকে বিদেশ হতে দেশে প্রত্যাগমনের ব্যবস্থা, মৃতদেহ স্বজনদের নিকট হস্তান্তরের সময় বিমান বন্দরে স্থাপিত প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক হতে দেশের অভ্যন্তরে লাশ পরিবহন ও দাফন খরচ বাবদ ৩৫ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য প্রদান, প্রবাসে মৃত্যু হলে মৃত কর্মীর পরিবারকে ৩লাখ টাকা আর্থিক অনুদান, বিপদ গ্রস্থ প্রবাসীকে প্রত্যাগমনের ব্যবস্থা ছাড়াও প্রবাসী কল্যাণ কার্ড এর থাকলে সর্ব নিম্ন সুদে হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন সহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নিয়ে বাড়ি বানানো , ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে সহায়তা করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার এই কর্মসূচী চালু করেন।
অন্যদিকে প্রবাসী কল্যাণ কার্ড সম্পর্কে জানেনই না বেশির ভাগ প্রবাসী। সাধারণ প্রবাসীদের মনে করেন এই জন্য প্রয়োজন ব্যাপক প্রচারণা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজন এর কথা বলছেন জেদ্দা বাংলাদেশের কনস্যুলেটের শ্রম কাউন্সিলর মোঃ আমিনুল ইসলাম।
তিনি বলেন জেদ্দা কনস্যুলেট এর শ্রম উইং এর কর্মতৎপরতার কারণে প্রবাসীদেরকে এই কর্মসূচির আওতায় আনতে পেরেছেন তবে গত ১৬ মাস যাবত বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস এর কারণে কর্ম তৎপরতায় কিছুটা বিঘ্ন না ঘটলে জেদ্দা অঞ্চলের লক্ষাধিক প্রবাসীকে এই কর্মসূচির আওতায় আনা যেত বলে মনে করেন তিনি।
জেদ্দা কনস্যুলেট এর শ্রম কাউন্সেলর আমিনুল ইসলাম বলেন আমরা প্রতিটি প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রবাসী কল্যাণ কার্ড সেবা দিতে প্রতিটি প্রাদেশিক অঞ্চলে কাজ করছি। অল্প সময়ের মধ্যে যেন সেবা দেয়া যায় এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বার্তা আমরা জনগণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের স্বপ্ন পুরন হবে সেই লক্ষে কাজ করছে জেদ্দা কনস্যুলেট। পাশাপাশি প্রবাসী সেবা কেন্দ্র ইডিসি অফিস গুলিও কাজ করে যাচ্ছে।