সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   প্রাইভেটকারের ধাক্কায় বুয়েট শিক্ষার্থী নিহত: ডোপ টেস্টে ধরা পড়ল মাদকাসক্তি
  •   সাতক্ষীরায় ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ টাকা ছিনতাই: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ
  •   চাকা পাংচার হওয়ায় এনজিও কর্মকর্তার মৃত্যু
  •   বরগুনায় টিকটক নিয়ে পারিবারিক কলহ: স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী আত্মহত্যার চেষ্টা
  •   মানব পাচারের চক্রের বিরুদ্ধে বিজিবির সফল অভিযান: কিশোরী উদ্ধার, তিন আটক

প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২১, ০০:০০

কেনো এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড?

অনলাইন ডেস্ক
কেনো এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড?

চাঁদপুর জেলায় গেলো জুন মাসে চাঞ্চল্যকর কিছু হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে : চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের মজিবুর রহমান মজু খাঁ, চাঁদপুর শহরের নিউ ট্রাক রোডণ্ডখান বাড়ি সড়কের তামান্না শারমিন ভিলার তৃতীয় তলার ভাড়াটিয়া রেহান উদ্দিন মিজি এবং শাহরাস্তি উপজেলার নাওড়া গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক সমাজসেবা কর্মকর্তা নুরুল আমিন হত্যাকাণ্ড। এ তিনটি হত্যাকাণ্ডকে সাধারণ দৃষ্টিতে ক্লুলেস মনে হয়েছে। তারপরও পুলিশ হত্যাকাণ্ডের ৭ দিনের মাথায় রেহান মিজির খুনি খোরশেদ আলমকে সঠিকভাবে চিহ্নিত করে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। ১ জুলাই পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ, বিপিএম (বার) প্রেস ব্রিফিং করে রেহান মিজি হত্যা রহস্য উদ্ঘাটনের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে রেহান মিজিকে খুন করেছে খোরশেদ আলম (২৭)। ওইদিনই সে রেহান মিজি (৫৫)কে হত্যার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। একই দিন সকালে পুলিশ শাহরাস্তি উপজেলার নাওড়া এলাকায় নিজ বাসার ছাদ থেকে সাবেক সমাজসেবা কর্মকর্তা নূরুল আমিনের রক্তাক্ত মৃতদেহ এবং বাসার ভেতর থেকে তার স্ত্রী কামরুন্নাহারকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে। লাশের ময়না তদন্ত শেষে নূরুল আমিনকে পরদিন বিকেলে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। ৩ জুলাই বিকেলে স্ত্রী কামরুন্নাহার স্বামীর পথই ধরেছেন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

জানা যায়, নূরুল আমিনের পৈত্রিক বাড়ি শাহরাস্তি উপজেলার রাজাপুরা গ্রামে। ২৫ বছর পূর্বে শাহরাস্তি পৌর এলাকার নাওড়ায় জায়গা কিনে পাকা বাসা নির্মাণ করেন। তারা স্বামীণ্ডস্ত্রী দুজনেই সমাজসেবা অধিদপ্তরে চাকুরি করতেন। নুরুল আমিন লাকসাম উপজেলায় চাকুরি করাবস্থায় অবসরে যান। আর তার স্ত্রী কামরুন্নাহার ৪ মাস পূর্বে বরুড়া উপজেলা থেকে এলপিআরে যান। তাদের ১ ছেলে ও ৩ মেয়ে, যারা ঢাকায় বসবাস করেন। ছেলেণ্ডমেয়ে ব্যতীত নাওড়ার বাড়িতে একাকী বসবাস করতেন নূরুল আমিন ও তার স্ত্রী কামরুন্নাহার। একজন গণ্যমান্য ব্যক্তি হিসেবে এলাকায় সুপরিচিত ছিলেন নূরুল আমিন, যিনি এলাকাবাসীর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতেন। তারপরও কেনো অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করলো এবং তার স্ত্রীও হত্যার শিকার হলো সেটা নিয়ে এলাকাবাসী ভেবে কেনো কূল কিনারা খুঁজে বের করতে পারছে না। তবে ক্লুলেস মার্ডার হলেও রেহান মিজির হত্যারহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ যেমন সফল হয়েছে, আশা করি শাহরাস্তির নূরুল আমিন ও তার স্ত্রী কামরুন্নাহার হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনেও সক্ষম হবে।

পুলিশ নূরুল আমিন হত্যা মামলা নিয়ে নিশ্চয়ই অনেক কাজ করছে। নূরুল আমিনের পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে কিংবা অন্য কোনো কিছু নিয়ে কারো সাথে তার কোনো বিরোধ ছিলো কিনা নিশ্চয়ই সেটা খতিয়ে দেখবে। খুনিরা ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে কিংবা কারো দ্বারা দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে যে নূরুল আমিন ও তার স্ত্রীর ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আমাদের বিশ্বাস, পুলিশ এই হত্যারহস্যটিও উদ্ঘাটনে সক্ষম হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়