প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১২:২২
রেলওয়ে হকার্স মার্কেটের বিশৃঙ্খলা দূর করুন

গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে শীর্ষ সংবাদ হয়েছে রেলওয়ে হকার্স মার্কেটের বিশৃঙ্খলা নিয়ে। এ সংবাদটিতে লিখা হয়েছে, চাঁদপুর শহরে সব শ্রেণীর ক্রেতার জন্যে উপযোগী বৃহৎ বিপণী বিতান রেলওয়ে হকার্স মার্কেট। চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড় থেকে এসবি খাল পর্যন্ত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কের দক্ষিণ পাশে এবং চাঁদপুর কোর্ট স্টেশনের উত্তর পাশে এ মার্কেটটির অবস্থান। এখানে তিন শতাধিক দোকান রয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ কেনাকাটা করার জন্যে এই মার্কেটে ভিড় করে। কিন্তু মার্কেটের ভেতরের গলিগুলোতে দোকানদারদের রাখা পণ্যের কারণে হাঁটাচলা প্রায় দুষ্কর হয়ে পড়েছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রেলওয়ে হকার্স মার্কেটটি বহু গলিতে বিভক্ত। গলিগুলোতে আগত ক্রেতাদের হাঁটাচলার জন্যে মাত্র ৫/৬ ফুট জায়গা। কিন্তু দোকানদারেরা ক্রেতাদের আকর্ষণ করার জন্যে তাদের পণ্যগুলো দোকানের বাইরে গলিতে সাজিয়ে রাখে। যার কারণে ক্রেতাদের হাঁটাচলার জন্যে খুবই বেগ পেতে হয়। সঙ্কীর্ণ গলিতে চলাচলরত অবস্থায় অসাবধানতাবশত কোনো পণ্য নষ্ট হলে দোকানিরা ক্রেতার সাথে অশোভন আচরণ করে থাকেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন ক্রেতা ও সচেতন মানুষের সাথে কথা বললে তারা অভিমত প্রকাশ করেন যে, হকার্স মার্কেটের এ রকম পরিস্থিতি খুব দ্রুত সমাধান করার জন্যে মার্কেটের কমিটি বা প্রশাসনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। রেলওয়ে হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির দীর্ঘদিনের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিজের হোটেল ব্যবসাসহ অন্যান্য ব্যবসা গুটিয়ে চাঁদপুরে নেই এবং সভাপতি পদেও নেই। সভাপতি থাকাবস্থায় একটা স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতায় জেলা ওলামা দলের সেক্রেটারী ও সমিতির সেক্রেটারী হাফেজ জাকির হোসেনকে নিয়ে মার্কেটের উন্নয়ন ও শৃঙ্খলায় যতোটুকু ভূমিকা রাখতেন, সেটা কিছুটা হলেও ক্রেতাবান্ধব ছিলো। এখন নূতন সভাপতির নেতৃত্বে মার্কেটে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যে ব্যর্থতা, সেটা দেখে সচেতন ব্যক্তিমাত্রই উদ্বিগ্ন হতে হয়। এমন ব্যর্থতায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহযোগিতায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোবাইল কোর্ট এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে অভিযান চালানো জরুরি হয়ে পড়েছে। এ মার্কেটকে ঘিরে রেল কর্তৃপক্ষ ও মার্কেট নির্মাণের উদ্যোক্তাদের স্বচ্ছতা বরাবরই প্রশ্নবিদ্ধ। সেজন্যে ব্যবসায়ীদের মধ্যে শৃঙ্খলা রক্ষায় তাদের প্রভাব ও ভূমিকা দুর্বল কিনা সেটা নিয়ে ভাববার অবকাশ আছে। এ মার্কেটটি অগ্নিঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ ঝুঁকি এড়াতে করণীয় সম্পর্কে জানান দিতে মার্কেটটিতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে কর্মসূচি পালন করা আবশ্যক বলে আমরা মনে করছি।







