প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:২৮
অ্যালিসের সাথে ওয়ান্ডারল্যান্ডে একদিন…

চমৎকার একটি দিন কাটালাম অ্যালিসের সাথে ওয়ান্ডারল্যান্ডে। Lewis Carroll ১৯৬৫ সালে বইটি লিখেছিলেন। সে কি জানতো এই বইটি এতো জনপ্রিয়তা পাবে! এই বইটির কাহিনী নিয়ে মুভি, নাটক, কার্টুন এমনকি রাজনৈতিকভাবেও ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন আঙ্গিকে। বইটি পড়েছি এবং মুভি দেখিছি।
বাস্তবে সেই গ্রীষ্মের প্রেক্ষাপটে রচিত অ্যালিস’ অ্যাডভেঞ্চার্স ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড-এর সূচনা হয় নদী তীরে বসে থাকা দিদির সাথে অ্যালিসের। ঘটনাচক্রে একটি শ্বেত খরগোশকে পিছু পিছু ধাওয়া করতে গিয়ে সে একটি খরগোশের গর্তে পড়ে গিয়ে আজব দেশে পৌঁছায়। সেখানে গিয়ে নানান অদ্ভূত চরিত্রের সাথে তার দেখা হয় এবং বহুবার তার আকার বদলে যায়। অবশেষে The Knave of Hearts-এর বিচারে সে নিজেকে সাক্ষী হিসেবে পায়। এরপর রাজা এবং রানি দ্বারা পরিত্যাগের আদেশ পেলে অ্যালিসের সাথে তাদের বাদানুবাদ ঘটে এবং সে জানায় যে, তারা তাসের পাতা ছাড়া কিছুই নয়। তর্কাতর্কির ফলে তারা অ্যালিসের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। পর মুহূর্তে অ্যালিস নিজেকে নদীতীরে পায় এবং বুঝতে পারে যে, সে স্বপ্ন দেখছিলো। এই সব চরিত্র আটলান্টা বোটানিক্যাল গার্ডেন খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছে পর্যটকদের জন্যে।
অ্যালিস আসলেই একজন স্নেহশীল এবং নম্র, বিনয়ী, বিশ্বাসী এবং অত্যন্ত কৌতূহলী ও জীবনকে পূর্ণরূপে উপভোগ করতে আগ্রহী একজন নিষ্পাপ, কল্পনাপ্রবণ, অন্তর্মুখী, ব্যক্তিত্বের সমালোচক এবং বুদ্ধিমতি বলে আমার মনে হয়। Lewis Carrolls-এর Alices Adventures in Wonderland বইটি নিয়ে হয়তো আরো অনেক আলোচনা সমালোচনা হবে। এভাবেই বেঁচে থাকে লেখকের লেখাগুলো আজীবন।
--- ড . আব্দুস সাত্তার, ওয়াশিংটন ডি সি, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক।
১৩ অক্টোবর ২০২৫।