প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:০৭
শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভা
আমরা চাই ভালোভাবে পূজা উদযাপন হোক ---জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আব্দুর রকিব, পিপিএম, চাঁদপুর আর্মি ক্যাম্পের অপারেশনাল অফিসার লেফটেনেন্ট জাবিদ হাসান, চাঁদপুর পৌর প্রশাসক মো. গোলাম জাকারিয়া (উপ সচিব) ও নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান।
|আরো খবর
রাজনৈতিক দলসমূহের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সলিম উল্লাহ সেলিম, জামায়াতের জেলা আমির মো. বিল্লাল হোসেন মিয়াজী, সেক্রেটারি অ্যাড. মো. শাহজাহান মিয়া, খেলাফত মজলিস চাঁদপুর জেলা সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মাও. হাবিবুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি গাজী মুহাম্মদ হানিফ, এনসিপি জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী মাহবুব আলম প্রমুখ।
জেলা, পৌর ও উপজেলা পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বাসুদেব মজুমদার, অ্যাড. ভাস্কর দাস, চাঁদপুর সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্রধর, সাধারণ সম্পাদক মানিক লাল ঘোষ, চাঁদপুর পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নেপাল সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুমন সরকার জয়, ফরিদগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তী, মতলব উত্তরের শ্যামল দাস, হাইমচরের বিবেক লাল ঘোষ, অজয় কৃষ্ণ মজুমদার, কচুয়ার ফণীভূষণ, বিকাশ সাহা, মতলব দক্ষিণের চন্দন সাহা, কিশোর কুমার ঘোষসহ সভা সংশ্লিষ্ট অংশীজন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, এ বছর চাঁদপুর জেলায় ২২৪টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের গুজব ছড়ানো ও অপ্রীতিকর ঘটনা যেনো না ঘটে সেদিকে সকলকে খেয়াল রাখতে হবে। সেই সাথে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড়ো ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে পালন করতে পারে সেই স্বার্থে পুলিশ, সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, আনসার মাঠে থাকবে। পৌর প্রশাসক ও ইউএনওগণ আপনাদের পাশে থাকবে। প্রতিটি পূজা মণ্ডপে পূজা কমিটির নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক টিমের ২৪ ঘণ্টার পাহারা থাকতে হবে। শব্দ দূষণ যেনো না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পূজা মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা এবং জেনারেটর থাকতে হবে। প্রতিমা তৈরির সময় এবং পূজা শেষে মধ্য রাত থেকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। রাত আটটার মধ্যে বিসর্জন শেষ করতে হবে। আমরা চাই, দল-মত নির্বিশেষে ভালোভাবে পূজা উদযাপিত হবে।