প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:৫৫
চাঁদপুরে ঈদে মিলাদুন্নবীর জুলুছে অসংখ্য নবী প্রেমিকের ঢল
মাজার-মসজিদে হামলা হলে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে -------- যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মাসউদ হোসাইন আল-কাদেরী

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের যুগ্ম মহাসচিব বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন আল্লামা মাসউদ হোসাইন আল-কাদেরী বলেছেন, প্রিয় নবীর আগমনে ঈদ উদযাপন করা নসিবের ব্যাপার। বদনসিব যাদের তারা নবীর আগমনে খুশি হবে না এটাই স্বাভাবিক। যেমন খুশি হতে পারেনি ইবলিশ মালউন শয়তান। সেই ইবলিশ শয়তানের প্রেতাত্মারা আজো আছে, কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে। রবিউল আউয়াল মাস আসলেও এদের চুলকানি শুরু হয়। ঈদে মিলাদুন্নবী নিয়ে তারা নানা বিভ্রান্তিমূলক ফতোয়া দিতে থাকে। শয়তানের মত অনুসরণ করে তারা নানা যুক্তি দিয়ে থাকে। অথচ কোরআনে পাকে আল্লাহ পাক নিজেই নির্দেশ দিয়েছেন তাঁর প্রিয় হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামাকে পেয়ে খুশি উদযাপন করতে। সে জন্যেই মুমিন মুসলমানগণ রবিউল আউয়াল মাসে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামার পবিত্র বেলাদাত শরীফকে উপলক্ষ করে ঈদ উদযাপন করে। আর এই ঈদ উদযাপনই হচ্ছে জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী।
|আরো খবর
তিনি ২০২৪'র ৫ আগস্টের পর দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাজার ও মসজিদে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, হুঁশিয়ার করে দিতে চাই, আর ছাড় নয়। এবার প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে, দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে। তাই এখনও যেসব সুন্নী মুসলমান নানা দলে-মতে বিভক্ত হয়ে আছেন, তাঁদেরকে বলবো, ঐক্যবদ্ধ হোন, বাতেলদের প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। আর বসে থাকার সময় নেই।
মাওলানা মাসউদ হোসাইন চাঁদপুর জেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আয়োজনে জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) চাঁদপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এই জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯টায় শুরু হয়ে দুপুর পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলে। আলোচনা পর্বের পর কয়েক হাজার নবী প্রেমিক সুন্নী মুসলমান শহরে ঈদে মিলাদুন্নবীর জুলুছ বের করে।
আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত চাঁদপুর জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা আনম মুহিবুল্লাহ। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও জশনে জুলুছ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা এএইচএম আহসান উল্লাহ এবং সদস্য সচিব পীরজাদা মাওলানা খাজা মোহাম্মদ জোবায়েরের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন গাউছিয়া বোরহানিয়া দরবার শরীফের পীর সাহেব আল্লামা মুহাদ্দিস রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চাঁদপুর জেলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক মুফতি ফজলুল কাদের বাগদাদী, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত কচুয়া উপজেলার সভাপতি মাওলানা আলমগীর শাহ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি অ্যাড. এমদাদুল হক পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবুল হাশেম শাহ মিয়াজি, দাসাদী কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মেহেদী হাসান রুহানী, বাগাদী দরবার শরীফের পীরজাদা মাওলানা মাহফুজ উল্লাহ ইউসুফী প্রমুখ ওলামায়ে কেরাম। উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, সাংবাদিক সম্পাদক গাজী মোহাম্মদ আবদুর রাহীম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা চাঁদপুর জেলা সভাপতি মোহাম্মদ কামরুল হাসান বাবু প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সবশেষে মিলাদ কিয়াম ও দোয়া মুনাজাতের পর তবররুক বিতরণ করা হয়।