শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫  |   ২৭ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরপরই তার্কিশ এয়ারলাইন্সের ইঞ্জিনে আগুন

প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৫, ০৮:৫৪

সোহাগের মতো সচেতন অন্য সকলেরও এগিয়ে আসা উচিত

অনলাইন ডেস্ক
সোহাগের মতো সচেতন অন্য সকলেরও এগিয়ে আসা উচিত

বেশ কয়েক মাস যাবত, বিশেষ করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর চাঁদপুর শহরে কিশোর গ্যাংয়ের নানামুখী অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে চাঁদপুর শহরবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এই কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধ দমনে এক পর্যায়ে শহরবাসী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি সদিচ্ছার আহ্বান জানান। বিশেষ করে ছাত্র সংগঠনগুলোর এ বিষয়ে জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তাতে সাড়া দিয়ে মঙ্গলবার (২৭ মে ২০২৫) বিকেলে চাঁদপুর শহরের চিত্রলেখা মোড়ে হাজী মহসীন রোড এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের দু গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে চাঁদপুর জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান সোহাগ তিনি তার কিছু রাজনৈতিক সহযোদ্ধাদের নিয়ে কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যদের ধাওয়া করেন। এতে কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। তবে সোহাগ তাদের ফেলে রাখা দেশীয় ৭টি অস্ত্র (চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি, কিরিচ) উদ্ধার করেন এবং তাৎক্ষণিক চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বাহার মিয়াকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে মডেল থানা পুলিশের একটি ফোর্স পাঠিয়ে এই অস্ত্রগুলো মডেল থানা পুলিশের হেফাজতে নেন। এ ঘটনায় জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান সোহাগ প্রশংসায় ভাসছেন।

চাঁদপুর শহরে দেশীয় অস্ত্র হাতে কিশোর গ্যাং সদস্যদের অপতৎপরতা নিরীহ সাধারণ মানুষকে চেয়ে চেয়েই দেখতে হয়। ভয়ে এদের প্রতিহত করা দূরে থাক, বরং চুপ করেই থাকতে হয়। সেনাবাহিনী ও পুলিশ কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে তৎপর থেকে এদেরকে অস্ত্র সহ ধরপাকড় করে আদালতে পাঠালেও এরা আইনের ফাঁকফোকরে জেল থেকে বেরিয়ে যায় এবং পূর্বের ন্যায় আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়। সশস্ত্র পুলিশ ও সেনাবাহিনী গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সশস্ত্র কিশোর গ্যাংকে প্রতিহত করে, কিন্তু নিরস্ত্র জনতা তথা নিরীহ সাধারণ মানুষ তাদেরকে প্রতিহত করতে পারে না। এমন বাস্তবতায় চাঁদপুর জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান সোহাগ তার দলের সদস্যদের নিয়ে কিশোর গ্যাংকে যেভাবে প্রতিহত করলেন, নিঃসন্দেহে সেটা সাহসিকতাপূর্ণ ও স্রোতের বিপক্ষে কাজ করার সমতুল্য। কিশোর গ্যাংকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার বিষয়ে যেখানে রাজনৈতিক সংগঠনের ছাত্র, যুব ও স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল উঠে, সেই অভিযোগ নিরসনে ছাত্রদল নেতা সোহাগ করলেন কিশোর গ্যাং-প্রতিরোধী কাজ। তিনি হঠাৎ সুযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক উদ্যোগে সেটি করেছেন, তিনি যদি ভবিষ্যতে এমনটি আরো করেন, তাহলে তাকে কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতা রোধে বিশেষ কিছু ভাবা যাবে। তবে সোহাগের দেখাদেখি যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীদের অনেকে যদি কিশোর গ্যাং প্রতিরোধী হয়, তাহলে সেনাবাহিনী ও পুলিশের জন্যে কিশোর গ্যাং নির্মূলের কাজটি সহজ থেকে সহজতর হয়ে যাবে বলে আমরা মনে করি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়