প্রকাশ : ১০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৭
মিশরে ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু শিশুদের নিয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ঈদ উদ্যাপন

ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই উৎসব, ঈদ মানে সুখ-দুঃখের ভাগাভাগি, ঈদ মানেই আত্মার সাথে আত্মার মিলন। ঈদুল ফিতর নিয়ে মিশরে প্রবাসী বাংলাদেশীরা যখন নিজেদের বন্ধুবান্ধব ও পরিবারকে ঘিরে বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করছিলো, ঠিক তখনই আল-আজহারে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের মানবিক সংগঠন বাংলাদেশ- প্যালেস্টাইন ফ্রেন্ডশিপ অর্গানাইজেশনের স্বেচ্ছাসেবকগণ আয়োজন করছিলো মিশরে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু শিশুদের জন্যে ঈদ উদ্যাপনের।
সম্প্রতি মিশরের রাজধানী কায়রোর হাদিকাতুদ দাওলিয়ায় (আন্তর্জাতিক উদ্্যান) আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন মিশরে আশ্রয় নেওয়া শতাধিক ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু পরিবার। যারা বর্বর ইসরায়েলিদের দ্বারা নির্যাতিত হয়ে আশ্রয় নিয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ মিশরের বুকে। এই ঈদ উদ্যাপনটি কেবলমাত্র একটি উৎসব নয়, এটি ছিল সহমর্মিতার প্রতীক, সংহতির বার্তা এবং একসাথে থাকার দৃঢ় অঙ্গীকারের ঘোষণা।
আল-আজহার শিক্ষার্থী হাসান মাহমুদের সঞ্চালনা ও আবু সায়েমের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া ঈদ আনন্দ অনুষ্ঠানে প্রতিটি ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু পরিবারের জন্যে ছিলো একটি করে ঈদ উপহারের বিশেষ খাম, সুস্বাদু খাবার, শিশুদের জন্যে বাহারি রংয়ের খেলনা ও ঈদ সালামী।
বাংলাদেশ প্যালেস্টাইন ফ্রেন্ডশিপ অর্গানাইজেশনের সভাপতি উসামা বিন শফিক তার বক্তব্যে বলেন, এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে আমরা বার্তা দিতে চাই ফিলিস্তিনের জনগণ একা নয়। বাংলাদেশের মানুষ তাদের পাশে ছিলো, আছে, এবং ভবিষ্যতেও তাদের পাশে থাকবে ইনশাআল্লাহ।
সংগঠনের সেক্রেটারি মারুফ হোসাইন সাদ্দান তার বক্তব্যে বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের মানবিক ও নৈতিক দায়িত্ব। আমরা বিশ্বজনমত গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখবো।
মিশরে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের প্রতিনিধি আফছার হোসাইন সংগঠনটির সভাপতি উসামাকে ঈদের বিশেষ উপহার খাম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, এটা একান্ত গোপন বিষয়। আল্লাহর সাথে তার বান্দার লেনদেন। তবে এতোটুকু নিশ্চিত করতে পারি, ঐ খামে যা ছিলো তা আমাদের ফিলিস্তিনি অতিথিদেরকে খুশি করবে।
ফিলিস্তিনিদের উদ্বাস্তু পরিবারদের নিয়ে ঈদ আনন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্যালেস্টাইন ফ্রেন্ডশিপ অর্গানাইজেশনের এক্সিকিউটিভ কমিটি, উপদেষ্টা পরিষদ, ফাউন্ডিং মেম্বার্স, সাবেক ও বর্তমান স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ।