মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ, ২০২৫  |   ৩২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৫, ১১:২৫

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নিষ্ক্রিয়তা!

অনলাইন ডেস্ক
জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নিষ্ক্রিয়তা!

গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত শীর্ষ সংবাদের শিরোনাম 'ঝিমিয়ে পড়েছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম।। মাদক উদ্ধারে তেমন তৎপরতা নেই'। সংবাদটিতে সোহাঈদ খান জিয়া লিখেছেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, চাঁদপুর জেলা-এর কার্যক্রমে ভাটা পড়ে আছে। মাদক উদ্ধারে তেমন তৎপরতা নেই বললেই চলে। জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পরে পুলিশের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়লে মাদক ব্যবসায়ীরা তৎপর হয়ে উঠে। চাঁদপুর জেলার শহর, গ্রাম-গঞ্জের আনাচেকানাচে সকল ধরনের মাদকে সয়লাব হয়ে যায় । এখন হাত বাড়ালেই মাদক পাওয়া যায়। মাদকের সহজলভ্যতায় ভরপুর হয়ে গেছে চাঁদপুর। আর এসব মাদক উদ্ধারে চাঁদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যক্রমে ভাটা পড়ে আছে । মাদক উদ্ধারে মাঝে মধ্যে অভিযান করলে সেটা তথ্যের ভিত্তিতে সোর্সের মাধ্যমে করে থাকে । না হলে মাদক উদ্ধারে তেমন সক্রিয়ভাবে কাজ করতে দেখা যায় না।

বর্তমানে ডিবি পুলিশ, থানা পুলিশ ও যৌথবাহিনী কর্তৃক মাদক উদ্ধার কার্যক্রম বেশি হচ্ছে। এর বিপরীতে অনেকটা হাত গুটিয়ে বসে আছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। একেএম দিদারুল আলম চাঁদপুরে এই অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক পদে দায়িত্বে থাকাকালীন মাদক ব্যবসায়ীদের ঘুম হারাম হয়ে যায়। প্রতিদিনই মাদকের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযান করার সংবাদ পাওয়া যেতো। মাদক ব্যবসায়ীরা তাঁর ভয়ে আতঙ্কে থাকতো। চাঁদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম বর্তমান সময়ের চেয়ে তখন বেশ গতিশীল ছিলো। বর্তমানে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের সংখ্যা বেশি হলেও সে তুলনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মাদক উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ীদের তেমন আটক করতে দেখা যায় না। একটি সূত্র জানায়, চাঁদপুর জেলা শহর হতে শুরু করে গ্রাম-গঞ্জে হাত বাড়ালেই মাদক পাওয়া যায়। মাদক ব্যবসায়ীরা স্থানীয় প্রভাবশালী অথবা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মচারীর ছত্রছায়ায় মাদক ব্যবসা করে আসছে। যার ফলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃক আগের তুলনায় মাদক উদ্ধার এবং মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের আটক করতে দেখা যায় না। আগে প্রধানত রাতের বেলা মাদক পাচার ও বেচাকেনা করা হলেও বর্তমান সময়ে দিন-রাত ২৪ ঘন্টাই চলে। মাদকের টাকা সংগ্রহ করার জন্যে সেবনকারীদের দ্বারা ছোটখাট চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ব্যাপারে চাঁদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের কার্যক্রম কোনো ঝিমিয়ে পড়েনি। আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে।

চাঁদপুরে বিদ্যমান সরকারি অফিসগুলোর মধ্যে গত ক'বছর ধরে খুবই আলোচিত জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। ক'বছর আলোচিত ছিলো সক্রিয়তার জন্যে ও এই কার্যালয়ের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাদক-সংশ্লিষ্টতার জন্যে, আর এখন আলোচিত নিষ্ক্রিয়তার জন্যে। এই অধিদপ্তরের জেলা পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তা (সহকারী পরিচালক) জেলায় কর্মরত সরকারের কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে আদৌ জবাবদিহি করতে হয় বলে মনে হয় না। সেজন্যে তিনি কাজ করেন অনেকটা স্বেচ্ছাধীন। প্রতিমাসের জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় তাকে তার কার্যক্রমের জন্যে কড়া জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত বলে আমরা মনে করি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়