প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৫, ০০:৩১
মুন্সীগঞ্জে নারকীয় ঘটনা: শিশু ফাতেমাকে ধর্ষণ করে হত্যা,
ঘাতকের মুখে লোমহর্ষক স্বীকারোক্তি

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে এক হৃদয়বিদারক ঘটনায় শিশু ফাতেমা আক্তারকে (৬) ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সাব্বির খান (২৫) পুলিশের কাছে দোষ স্বীকার করে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পুলিশ রশুনিয়া গ্রামের একটি পুকুর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে।
|আরো খবর
ফাতেমা রশুনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব রশুনিয়া গ্রামের কুয়েত প্রবাসী শহিদুল ইসলামের মেয়ে। সে স্থানীয় মাহমুদিয়া নূরানীয়া মাদরাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বাড়ির পাশে ওয়াজ মাহফিলে গিয়ে ফাতেমা নিখোঁজ হয়। পরে জানা যায়, ওয়াজ মাহফিলের পাশে আইসক্রিম বিক্রি করতে আসা সাব্বির খান ফাতেমাকে বিনামূল্যে আইসক্রিম খাইয়ে প্রলোভন দেখায় এবং পরে ধর্ষণ শেষে তাকে হত্যা করে।
স্থানীয়রা সন্দেহভাজন হিসেবে সাব্বিরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। বুধবার ফাতেমার মা বিলকিস বেগম সিরাজদিখান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সাব্বিরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে।
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ আল মামুন জানান, সাব্বিরের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে পুকুর থেকে ফাতেমার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতেই ফাতেমাকে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
ডিসিকে/এমজেডএইচ