প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৪
ইলিশ সংক্রান্ত প্রতারণা রোধ শুধু নয়, মূল্য নিয়ন্ত্রণও চাই

চঁাদপুর শহরে টাস্কফোর্সের বিশেষ অভিযানে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া অনলাইনে ইলিশ প্রতারণা রোধে সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) চঁাদপুর জেলায় গঠিত বিশেষ টাস্কফোর্স চঁাদপুর শহরের বড় স্টেশন ও স্ট্র্যান্ড রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানশেষে অনলাইনে ইলিশ মাছ নিয়ে প্রতারণা রোধে চঁাদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাথে সচেতনতামূলক সভাটি করা হয়। মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সদস্যবৃন্দ এ সভায় উপস্থিত ছিলেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চঁাদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরানসহ টাস্কফোর্সের সদস্যবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এ সভায় অনলাইনে ইলিশ বিক্রির নামে কিছু প্রতারক কীভাবে ফঁাদ পেতে আগ্রহী ক্রেতাদের হয়রানি করে সেটা নিয়ে এবং প্রতারণা থেকে বঁাচতে সচেতনতা অবলম্বনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু ইলিশের মূল্য নিয়ন্ত্রণ কিংবা ট্রেড জাস্টিস (বাণিজ্য ন্যায়বিচার) নিয়ে মনেহয় আলোচনা হয় নি। এটা নিয়েও আলোচনা হওয়া দরকার ছিলো। বস্তুত বাণিজ্যে ন্যায়বিচার নেই বলেই চঁাদপুরের ইলিশের নামে সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা চলে। এই অপতৎপরতা রোধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সহ টাস্কফোর্স উল্লেখযোগ্য তৎপরতা চালায় বলে মনে হয় না। এক্ষেত্রে যেনো শৈথিল্যের আবর্ত থেকে বের হতে পারছে না ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ টাস্কফোর্স। ইলিশ আহরণের কোন্ পর্যায়ে কেমন মূল্য নির্ধারিত হবে সেটার কোনো নীতিমালা অনুসরণ করা হয় বলে ক্রেতাদের কাছে মনে হয় না। এ ব্যাপারে সরকারের মৎস্য মন্ত্রণালয় মনিটরিংয়ের মাধ্যমে নিতে পারে সমন্বিত কার্যকর উদ্যোগ। আমরা ক্রেতাদের পক্ষে সেই উদ্যোগ প্রত্যাশা করছি।
অনলাইন তথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্লাটফর্ম ব্যবহার করে লোভনীয় বিজ্ঞাপনে ইলিশ নিয়ে প্রতারণার বিষয়টি ক্রমান্বয়ে চঁাদপুরের জন্যে বিষফোড়ায় পরিণত হচ্ছে। এটি ইলিশকেন্দ্রিক চঁাদপুরের সুনাম ও প্রসিদ্ধিকে ম্লান করে দেবার উপক্রম হয়েছে। তারপরও টাস্ক ফোর্স এই প্রতারণা রোধে অনেক বিলম্বেই মৎস্য ব্যবসায়ীদের সাথে সচেতনতামূলক সভা করেছে। যে সভায় গণমাধ্যমকর্মী ও প্রতারণার শিকার ক্রেতাদের উপস্থিত রাখাটা উচিত ছিলো।কিন্তু এই ঔচিত্যবোধ রক্ষা করা হয়নি। কথা হলো, এই সভাই কি যথেষ্ট? নিশ্চয়ই নয়। ইলিশ-প্রতারকদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় না আনা পর্যন্ত প্রতারণাবিরোধী টাস্কফোর্সের কার্যক্রম বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারবে না।