শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:০৯

মো. গোলাম জাকারিয়ার অকপট সত্য কথা

অনলাইন ডেস্ক
মো. গোলাম জাকারিয়ার অকপট সত্য কথা

মো. গোলাম জাকারিয়া। পড়েছেন সাংবাদিকতা, বর্তমানে প্রশাসনিক কর্মকর্তা। চঁাদপুর জেলায় স্থানীয় সরকার বিভাগে উপ-সচিবের পদমর্যাদায় উপ-পরিচালক হিসেবে কর্মরত। বাড়তি দায়িত্ব পালন করছেন চঁাদপুর পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে। খুব একটা রাখঢাক দিয়ে কথা বলার অভ্যাস তঁার কম। অকপট সত্য বলেন  অবলীলায়, যার প্রমাণ পাওয়া গেলো বুধবার (২৯ জানুয়ারি ২০২৫) সন্ধ্যায় চঁাদপুর শহরের বিপণীবাগে আয়োজিত  এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তঁার বক্তৃতায়। তিনি তুলে ধরেছেন চঁাদপুর পৌরসভার বাস্তব চিত্র।

           বিপণীবাগ পৌর সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির অভিষেক ও পরিচিতি সভায় তিনি   বলেন, চঁাদপুর পৌরসভার অনেক সমস্যা রয়েছে। এখানে শিশুদের জন্যে কোনো মাঠ নেই। প্রবীণদের জন্যে হঁাটার কোনো রাস্তা নেই। চঁাদপুর পৌরসভা নাগরিকদের ৫০ ভাগ চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। কারণ, পৌরসভার আয়ের চেয়ে ব্যয় অনেক বেশি। অথচ চঁাদপুর পৌরসভা একটি সম্পদশালী প্রতিষ্ঠান। পৌরসভার অনেক সম্পদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। বাংলাদেশের অনেক পৌরসভার এমন সম্পদ নেই। এই সম্পদের সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না। তিনি বলেন, নাগরিক যেমন, জনপ্রতিনিধিও তেমন হয়। আমরা সঠিক জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারি নি। এজন্যে আমাদের সমস্যা সমাধান হচ্ছে না। আমি অল্প সময়ের জন্যে এখানে এসেছি। পৌর নাগরিকদের স্বস্তির জন্যে কিছু করার চেষ্টা করছি। এজন্যে আপনাদের সহযোগিতা দরকার। রাস্তাগুলো সংস্কার কাজ চলছে। যানজট নিরসনে অনেক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে চেষ্টা করেও রাস্তার পাশকে অবৈধ দখলমুক্ত করতে পারছি না। সকালে উচ্ছেদ করলে বিকেলে দখল হয়ে যাচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায়, রাস্তার পাশে দোকান মালিকরা তার সামনের ফুটপাত ভাড়া দিচ্ছে। আইন মানার প্রবণতা কম। তিনি বলেন, বিপণীবাগ বাজার এই শহরের ৫০ বছরের পুরোনো একটি বাজার। ধীরে ধীরে বাজারের সৌন্দর্য হারিয়েছে। মাছের বাজার রাস্তার ওপর এসে গেছে। আমরা অনেক টাকা খরচ করে মাছ বাজার সংস্কার করেছি। কিন্তু কেউ সেটি ব্যবহার করে না। আমি মনে করি, আপনাদের চিন্তার পরিবর্তন না হলে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।

           চঁাদপুর পৌরসভার বাস্তব চিত্র এভাবে জনসমক্ষে অতীতে স্থানীয় সাংবাদিকরা সীমাবদ্ধতার কারণে, আর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা কৌশলগত কারণে তুলে ধরেন নি। কোনো প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য চাপের কারণে কিংবা অন্য কোনো বিবেচনায় অতীতে জনপ্রতিনিধিরা চেপে গেছেন চঁাদপুর পৌরসভার বাস্তব চিত্র। অবশেষে বর্তমান পৌর প্রশাসক মো. গোলাম জাকারিয়া অকপটে তুলে ধরেছেন সেই চিত্র। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে, স্বল্প সময়ে তঁার দায়িত্বপালনজনিত তিক্ত অভিজ্ঞতায় তিনি এমন চিত্র ব্যক্তিগত দায়বোধ থেকে তুলে ধরেছেন। কারণ, তঁার ওপর নাগরিকদের প্রত্যাশার চাপের বিপরীতে তিনি এমনটি করার যৌক্তিকতা রয়েছে। আমরা তঁার এমন সত্য উচ্চারণকে যথার্থ বলে মনে করছি এবং সে আলোকে নাগরিকদের চিন্তার পরিবর্তনসহ চঁাদপুর পৌরসভাকে নিয়ে নূতন করে ভাবা ও সংশ্লিষ্ট সকলের করণীয় নিয়ে মনোযোগী হবার অনুরোধ জানাচ্ছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়