বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:৩৩

কচুয়ায় নলকূপ দখল!

মোহাম্মদ মহিউদ্দিন
কচুয়ায় নলকূপ দখল!
ছবি : প্রতীকী

কচুয়া উপজেলার শ্রীরামপুর দক্ষিণ মাঠের গভীর নলকূপটি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্র সেচ) কচুয়া ইউনিট বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন ওই মাঠের স্ক্রীম ম্যানেজার আব্দুল বাতেন।

জানা যায়, শ্রীরামপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল বাতেন স্কীম ম্যানেজার হিসেবে ২০১১ সাল থেকে নলকূপটি পরিচালনা করে আসছিলেন। ২০২২ সালে জমির উপরে ড্রেন তৈরির পরিবর্তে আধুনিক পদ্ধতিতে মাটির নীচ দিয়ে ১ কিলোমিটার পাইপ স্থাপন করে সেচ কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর শ্রীরামপুর গ্রামের বাহার মিয়ার ছেলে জাবেদ ইকবাল তার বিরুদ্ধে উপজেলা বিএডিসি অফিসে একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। যার তদন্তপূর্বক কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে বিবাদী জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে তার পরিচালিত স্ক্রীমের ড্রেনগুলো নির্মাণ করে জোরপূর্বক সেচ মেশিন চালু করে দেয়।

স্কীম ম্যানেজার আব্দুল বাতেন জানান, গত ২০২৪ সালের সেচকার্য পরিচালনার জন্য নলকূপের পানি সঞ্চালন করতে গেলে মাটির নিচের ৩৫টি পাইপ ফেটে সেচকার্য বন্ধ হয়ে যায়। বিএডিসি গোডাউনে মজুদ কোনো পাইপ না থাকায় কৃষকের কথা চিন্তা করে তুবা পাইপ কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে পাটকেলঘাট, সাতক্ষীরা থেকে নিজ খরচে ২০ হাজার টাকা জমা দিয়ে ৩৫টি পাইপ এনে পুনঃস্থাপন করে সেচকার্য পরিচালনা করি। এতে নলকূপটি পুনঃস্থাপনে প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ও ৩টি সেচসহ উক্ত সেচ প্রকল্প চালু করতে আমার প্রায় ২ লাখ টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়। এ বিষয়ে উপসহকারী প্রকৌশলী বিএডিসি কচুয়া ও চাঁদপুর অফিসকে অবগত করি।

তিনি আরো জানান, আমি নিজ খরচে বিএডিসি অফিস থেকে গভীর নলকূপটি স্থাপন করে শ্রীরামপুর মাঠে কৃষি কাজে ব্যবহারের জন্য পানি সেচের ব্যবস্থা করে আসছি। কী কারণে জাবেদ মিয়া গং আমার পরিচালিত গভীর নলকূপটি জোরপূর্বক দখল করেছে জানি না। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের ন্যায়বিচারের সহযোগিতা কামনা করছি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জাবেদ ইকবাল জানান, সমিতির সদস্যরা নলকূপটি পরিচালনরা জন্য আমাকে লিখিতভাবে দিয়েছে। আমি কারো নিয়ন্ত্রণে থাকা নলকূপ জোরপূর্বক দখল করেনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হেলাল চৌধুরী বলেন, শ্রীরামপুর গ্রামের জনৈক আব্দুল বাতেন কর্তৃক একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডিসিকে/এমজেডএইচ

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়