প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৩
নীলকমল নৌপুলিশ ফাঁড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে
'হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯'। এটি চাঁদপুর কণ্ঠসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের কমন শিরোনাম। চাঁদপুর কণ্ঠে মো. সাজ্জাদ হোসেন রনি লিখেছেন, হাইমচরের মেঘনা নদীতে মাটিভর্তি দুটি বাল্কহেডসহ ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি ২০২৫) সন্ধ্যায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিরুপম মজুমদারের নেতৃত্বে নীলকমল ইউনিয়নের বারো তহবিল নদীর পাড় থেকে তাদের আটক করে হাইমচর কোস্ট গার্ড। জানা যায়, বরিশালের হিজলা উপজেলার চরাঞ্চলের মাটি কেটে মুন্সিগঞ্জের একটি ইট ভাটায় নিয়ে যায় একটি চক্র। বেশ কিছু দিন যাবত হাইমচর ও চাঁদপুরের নদী দিয়েই বাল্কহেড ভর্তি মাটি নিয়ে যাওয়া হয় মুন্সিগঞ্জে। প্রতিদিন দিনে এবং রাতে মাটি পাচার হয় নদী পথে। নীলকমল নৌপুলিশ ফাঁড়ি একটি বাল্কহেডও ধরতে সক্ষম হয়নি। যার ফলে নৌপুলিশ নিয়ে জনমনে রয়েছে সমালোচনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় এক গণমাধ্যম কর্মীকে জানান, অবৈধ মাটি বোঝাই দুটি বাল্কহেড উপজেলার বারো তহবিল এলাকায় নদীর পাড়ে নোঙ্গর করা আছে। আপনারা যদি নীলকমল নৌপুলিশকে জানান, তাহলে তাদের ধরতে পারবেন না। তারা নীলকমল নৌপুলিশকে ম্যানেজ করে নদী দিয়ে মাটি পাচার করে। এ মাটির বাল্কহেড আটক করতে হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং কোস্ট গার্ড আসলে ধরতে পারবেন। এই গণমাধ্যমকর্মী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট বিষয়টি জানালে তিনি কোস্ট গার্ডের সাথে আলাপ করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিরুপম মজুমদারকে অভিযানে পাঠান। তথ্য মতে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুটি বাল্কহেডসহ ৯ জনকে আটক করে চাঁদপুর কোস্টগার্ড নিয়ে যায়। সংবাদটিতে বাল্কহেড জব্দ ও ৯জনকে আটকের খবরের চেয়ে হাইমচরের নীলকমল পুলিশ ফাঁড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগটি উল্লেখযোগ্য বলে আমাদের কাছে মনে হয়েছে। জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম চলাকালে এই ফাঁড়ির বিরুদ্ধে কম-বেশি অভিযোগ পাওয়া যায়। এই ফাঁড়ির কার্যক্রম প্রায় সবসময়ই প্রশ্নবিদ্ধ থাকে। নিষিদ্ধ সময়ে এবং নিষিদ্ধ উপকরণ ও উপায়ে ধৃত সুস্বাদু ইলিশ ও অন্য কিছু মাছের স্বাদে মাতোয়ারা হয়ে কিংবা নগদ নারায়ণে তুষ্ট হয়ে কেউ কেউ এই ফাঁড়ির জন্যে সাত খুন মাফের মানসিকতা প্রদর্শন করেন বলে কথিত আছে। এই ফাঁড়িকে ম্যানেজ করার অভিযোগকে অমূলক ভাবার অবকাশ নেই। কেননা এ ফাঁড়ির উল্লেখযোগ্য কোনো তৎপরতা সাধারণ্যে চোখে পড়ে না। বরং মুখরোচক নানা কথাই কানে বাজে। এই ফাঁড়িকে ম্যানেজ করে চরের মাটি কাটা ও নদীতে ড্রেজিং করে বালু উত্তোলন এবং বালু ও মাটি নিয়ে বাল্কহেডের অবাধ চলাচল স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নীরবতা কিংবা অভিযোগ চ্যালেঞ্জ না করাটা দুঃখজনক।