প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১:০৪
ভাইফোঁটা উদযাপন
'ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যম দুয়ারে পড়লো কাঁটা, যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা, আমি দিলাম আমার ভাইকে ফোঁটা'--এমন প্রার্থনা আর আত্মবিশ্বাস নিয়েই সনাতনী ধর্মের বোনেরা তাদের দাদা/ ভাইদের কপালে ফোঁটা দিলেন, যা ভাইফোঁটা হিসেবে পরিচিতি পেয়ে আসছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে। ৩ নভেম্বর রোববার সনাতন ধর্মাবলম্বী অনেক পরিবারের গৃহমাঝে উৎসবমুখর পরিবেশে ভাইফোঁটা অনুষ্ঠিত হতে দেখা গেছে। বোন বা দিদিদের হাতে আনন্দ চিত্তে ভাইফোঁটা গ্রহণ করেছেন দাদা- ভাইয়েরা। এক্ষেত্রে বয়স বা আপন-পর বিবেচিত হয়নি, মায়ের পেটের বোন থেকে শুরু করে যে কোনো বয়সের নারীরাই দাদা/ভাই জ্ঞানে যে কোনো পুরুষকে ফোঁটা দিয়ে আপন করে নিয়েছেন মনের আনন্দে। পৃথিবীতে ভাই-বোনের সম্পর্ক সবচেয়ে আপন ও ঘনিষ্ঠ। এই ঘনিষ্ঠতা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর সময় পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখার লক্ষ্যেই সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবারে এই ভাইফোঁটা প্রচলন অব্যাহত রয়েছে। ভাইফোঁটার দিনে দাদা-ভাইদের মঙ্গল কামনা করে বোনেরা তাদের কপালে ফোঁটা দেন মহা আনন্দে। তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস, এই দিনে দাদা- ভাইদের কপালে ফোঁটা দিলে সকল অমঙ্গল কেটে গিয়ে তারা দীর্ঘদিন বেঁচে থাকবে। তারা দীর্ঘায়ু লাভ করবে।
ছবিতে ভাইফোঁটার দিনে দিদির হাতে ভাইফোঁটা নিতে দেখা যায় চাঁদপুরের বিশিষ্ট ব্যক্তি ষাটোর্ধ্ব সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডঃ বিনয় ভূষণ মজুমদারকে। যেখানে বয়সের কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না। ।