শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫:১৩

সরকারি বই বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে!

সরকারি বই বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে!
অনলাইন ডেস্ক

সরকার থেকে বিনামূল্য বিতরণের জন্য বিদ্যালয়ে পাঠানো জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের বই কেজি দারে বিক্রি করা হয়েছে। মাধ্যমিক স্তরের বিভিন্ন বিষয়ের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির বই ফেরিওয়ালার নিকট বিক্রি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে মৌলভিবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায়।

বিক্রিত বইগুলোর মধ্যে রয়েছে গণিত, কৃষিশিক্ষা, বাংলা, ইংরেজী, সাধারণ বিজ্ঞান, ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, গাহস্থ্য বিজ্ঞান, পৌরনীতিসহ আরো অন্যান বিয়য়ের বই। এর মধ্য রয়েছে ২০২০ শিক্ষা বর্ষের নতুন বই ও ২০১৯ শিক্ষা বর্ষের উলুকাটা বইও।

শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর ইউনিয়নের ভুনবীর দশরথ হাই স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ফেরিওয়ালা বই গুলো এনে বিক্রি করেছে শহরের সগরদিঘী সড়কের মেসার্স ইউসুফ আয়রন মার্টে। ওই আয়রন মার্টে গিয়ে সরজমিনে দেখা যায়, তারা বই গুলো স্কেলে মেপে গুদামজাত করছে।

ইউসুফ আয়রন মার্টরে মালিক ইউসুফ জানান, তিনি ফেরিয়ালার নিকট থেকে ৭০০ কেজি বই কিনেছেন। প্রতি কেজি বইয়ের দাম দিয়েছেন ১২ টাকা করে। বিদ্যালয়ের দারোয়ান রাম গোপাল দাশ বলেন, তিনি প্রধান শিক্ষকের সম্মতিতেই বই গুলো বিক্রি করেছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঝলক চক্রবর্তী বলেন, 'নতুন বই বিক্রির বিষয়টি আমার জানা নেই। দারোয়ান শুধু উঁইপোকায় বই বিক্রির কথা আমাকে বলেছিল। তাছাড়া বই বিক্রির সময় আমি বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলাম না।'

উপজেলা মধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীলিপ কুমার বর্ধন জানান, কোন বিদ্যালয় থেকে সরকারি বই এভাবে কেজি দরে বিক্রি করার নিয়ম নেই। অবন্টনকৃত বাই গুলো উপজেলা মাধ্যমিক বই বিতরণ ও সংরক্ষণ কমিটির নিকট জমা দিতে হয়। পরে এগুলো দরপত্র অহবান করে বিক্রি করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়