প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২১, ১৩:১৯
ফেসবুকে আত্মহত্যার আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়ে যুবক নিখোঁজ
ফেসবুকে আত্মহত্যার আবেগঘন দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়ে এক যুবক নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ যুবক তার ফেসবুকে কেন সে আত্মহত্যা করতে চায় সে ব্যাপারে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দেয়। স্ট্যাটাসে তার আত্মহত্যার জন্য সেলিনা নামে এক নারী ও তার ভাই দায়ী থাকবে বলে উল্লেখ করেন। নিখোঁজ যুবককে পরিবার সারারাত খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে দুপুরে হাজীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে।
|আরো খবর
নিখোঁজ যুবক চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার ৬নং বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের আড়ুলী বেপারী বাড়ির মোঃ হূমায়ন আহমেদের ছেলে মোঃ রাশেদুজ্জামান (২৫)। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে রাশেদই পরিবারের বড় সন্তান।
রাশেদের বাবা হুমায়ুন আহমেদ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, আমার ছেলের খোঁজ এখনো পাইনি। থানায় জিডি করেছি দুপুরে। থানা থেকে বলছে, ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে নাকি জানতে পেরেছে গতরাত ৩টা ৩১ মিনিটের সময় রাশেদ মোবাইল খুলেছিল। লোকেশন দেখিয়েছে হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড। এরপর আর তার অবস্থান জানা যায়নি।
রাশেদুজ্জামান তার ফেসবুকের স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, মানুষ কেন সুন্দর জীবন থাকতে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় আজ নিজ থেকে শিক্ষা নিলাম। আমরা হয়তো আত্মহত্যাকারীর বাহির দেখে বলি, সে আত্মহত্যা করলো! কিন্তু ভেতরটা কেউ দেখে না। নিখোঁজ যুবক রাশেদুজ্জামান তার স্ট্যাটাসের নিচের অংশে লেখেন, এই পৃথিবী আমার মত নিঃস্বার্থ রাশেদের নয়। এই পৃথিবী তাদের মতো মিথ্যাবাদী, প্রতারক, ঠকবাজদের জন্য। প্রতিটি মুহূর্তে নিজের কাছে নিজেকে ঘৃণিত মনে হচ্ছে, সবাই ভালো থাকুন। সবার কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থী। আমার মৃত্যুর জন্য এই ছেলে (স্ট্যাটাসে একটি যুবকের ছবি দেয়া আছে ) এবং তার বোন সেলিনা দায়ী থাকবে।
তবে ফেসবুকে রাশেদের দেওয়া স্ট্যাটাসটি হঠাৎ উধাও হয়ে যায়। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাশেদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। রাশেদের পরিবারের ধারণা, ফেসবুকের স্ট্যাটাসটি যাকে অভিযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে, তারাই সুকৌশলে তা সরিয়ে ফেলেছে।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, নিখোঁজ যুবকের বাবা হাজীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। যুবকটিকে খুঁজে বের করতে পুলিশ কাজ করছে।
রাশেদুজ্জামানের বন্ধু আল ফোরকান বলেন, রাশেদ গতকাল সন্ধ্যা থেকেই নিখোঁজ। রাতে তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেখতে পাই। স্ট্যাটাসে সে আত্মহত্যা করবে এবং আত্মহত্যার কারণও লিখে। আমরা সারারাত বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করি। কিন্তু এখনো রাশেদকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না।