প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২১, ১৫:১৪
শাহরাস্তিতে পরকীয়ার বলি রিপন, স্বামী-স্ত্রী আটক
শাহরাস্তিতে বেলায়েত হোসেন রিপন খুনের রহস্য একদিনেই উন্মোচন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত স্বামী স্ত্রী ২জনকে আটকও করেছে শাহরাস্তি থানা পুলিশ পুলিশ। আটককৃতরা হলেন শাহরাস্তির গঙ্গারামপুর গ্রামের মো. ফজলুর রহমান (৪৫) ও তার স্ত্রী আমেনা বেগম (৩০)।
|আরো খবর
আটককৃতরা পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, মৃত যুবক বেলায়েত হোসেন রিপনের সাথে আটককৃত আমেনা বেগমের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে গত ২২ জুলাই রাতে রিপন আমেনা বেগমের সাথে দেখা করতে যায়। আমেনার স্বামী ফজলুর রহমান তাকে দেখে ফেললে রিপন দৌড় দেয়। অল্পদূর সামনেই লাইলনের জালে আটকা পড়ে সে। তখন ফজলুর রহমান তার হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে রিপনের মাথার পেছনের দিকে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এরপর ফজলুর রহমান ও তার স্ত্রী আমেনা বেগম মিলে রিপনের গলায় রশি লাগিয়ে টানা-হেঁচড়া করে বিলের মধ্যে রেখে যায়।
পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বলেন, শুক্রবার সকালে রিপনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর পুলিশ ঘটনার রহস্য উন্মোচনে কাজ শুরু করে। অল্প সময়ের মধ্যে আমরা ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারি। নিহত যুবকের সাথে আটককৃত গৃহবধূর পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ঘটনার রাতে রিপন ওই নারীর সাথে দেখা করতে গেলে তার স্বামী তাদেরকে দেখে ফেলে। এরপর ওই হত্যাকান্ড ঘটে।
উল্লেখ্য, শাহরাস্তিতে বেলায়েত হোসেন রিপন (৩৫) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শুক্রবার (২৩ জুলাই) উপজেলার রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়নের উত্তর গঙ্গারামপুর মাঠ হতে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টায় গঙ্গারামপুর গ্রামের খোকনের স্ত্রী কানন বেগম (৪০) মাঠে ছাগল চরাতে গিয়ে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে। তার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এসে এটি ওই গ্রামের মৃত মৌলভী মকছুদ আলীর পুত্র রিপনের লাশ বলে শনাক্ত করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবদুল মান্নান জানান, নিহতের গলায় রশি বা কাপড় দিয়ে শ্বাস রোধ করা হয়েছে। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত রিপন বিবাহিত ছিল। তার ২ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তান রয়েছে।